কুমিল্লা বোর্ড

জেএসসি থেকে ছিটকে পড়েছে দেড় লাখ শিক্ষার্থী



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১০ সালে প্রথমবারের মতো অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয়েছিল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা পদ্ধতি। ওই বছর কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ৬টি জেলা থেকে অংশগ্রহণ করা সব শিক্ষার্থী পাস করেছিল। তবে এরপর থেকে গত নয় বছরে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে দেড় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়ে ছিটকে পড়েছে।

কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নিয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গঠিত।

শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেক অভিভাবকরা দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের স্কুল জীবনের মধ্যখানে জেএসসি পরীক্ষার আসলে কোন যৌক্তিকতাই নেই। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায় মাঝ পথে।

বোর্ড সূত্র জানায়, সবশেষ অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ৬টি জেলার ১ হাজার ৯শ’ ৩০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৬১ হাজার ৯শ’ ৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিল। তবে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৪২ হাজার ৪শ’ ৯০ জন। এ বছর জেএসসি থেকে ছিটকে পড়ে ১৯ হাজার ৪শ’ ১৬ শিক্ষার্থী।

জেএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হবার পর শুধুমাত্র ২০১০ সালেই কোনো পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েনি কুমিল্লা বোর্ডে। এরপর থেকে প্রতি বছরই অনেক শিক্ষার্থী ছিটকে পড়েছে এই পরীক্ষা থেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় গত ৯ বছরে ছয়টি জেলার স্কুলগুলো থেকে মোট ২২ লাখ ৭২ হাজার ৬শ’ ৯৯ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। এদের মধ্যে ২১ লাখ ১৫ হাজার ১শ’ ২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫শ’ ৭২ জন শিক্ষার্থী ফেল করে জেএসসি থেকে ছিটকে পড়ে।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮শ’ ৭৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঝরে পড়ে ১১ হাজার ৫শ’ ২৪ শিক্ষার্থী। ২০১২ সালে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২শ’ ৬১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঝরে পড়ে ১৩ হাজার ৮শ’ ৭০ জন। ২০১৩ সালে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪শ’ ৯২ জনের মধ্যে ঝরে পড়ে ১১ হাজার ৮শ’ ৬৪ জন শিক্ষার্থী।

২০১৪ সালে ২ লাখ ১৪ হাজার ৩শ’ ৪৭ জনের মধ্যে ঝরে পড়ে ২৪ হাজার ১শ’ ৩৪ জন। ২০১৫ ঝরে পড়ে ১২ হাজার ৯শ’ ৮৫ জন। ২০১৬ সালে ১২ হাজার ৪শ’ ৬০ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। ২০১৭ সালে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬শ’ ১ জন অংশ নিয়ে ২২ হাজার ৩শ’ ৭৫জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। আর ২০১৮ সালে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮শ’ ৮৪ জনের মধ্যে ঝরে পড়ে ২৮ হাজার ৯শ’ ৪৪ জন।

এদিকে, জেএসসি পরীক্ষা চালুর পর থেকেই তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। অনেক অভিভাবকই জেএসসি পরীক্ষার যৌক্তিকতা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তি হয়। আর এইচএসসির সার্টিফিকেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু জেএসসিও স্কুলের একটি ধাপ। তাই এই পরীক্ষার কোন যৌক্তিকতাই নেই। বরং এসব বোর্ড পরীক্ষার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে অকালে।

এ বিষয়ে কথা হয় কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভার তলাগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে। তারা বলেন, আগে সবার টার্গেট থাকতো এসএসসিতে ভালো করা। আর এখন পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বোর্ড পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয়। এত পরীক্ষার চাপে শিক্ষা জীবনের শুরুতেই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। আবার অনেকে ফেল করার পর লজ্জায়ও লেখাপড়া থেকে ছিটকে যায়। তাই পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার আসলে কোন যৌক্তিকতাই নেই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.আবদুস সালাম বলেন, দেশের অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে কুমিল্লা বোর্ডে জেএসসিতে ঝরে পড়ার হার কম। আর শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে বিভিন্ন কারণে। যেমন বাল্যবিয়ে, দারিদ্র্য, পড়াশোনার প্রতি অনীহা, অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি। তবে অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি আর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হলে এভাবে ঝরে পড়ার হার অনেকাংশেই কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;