বঙ্গবন্ধু সেতু

ওজন স্টেশনের সড়কে খানাখন্দ, চালকদের ভোগান্তি



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
সড়ক জুড়ে খানাখন্দ  তৈরি হয়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

সড়ক জুড়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রবেশের আগেই ওজন স্টেশনে প্রবেশ নিয়ে চালকদের ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই ভোগান্তি বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে। সেতুতে প্রবেশের আগে স্থাপিত ওজন স্টেশনে উঠতেই যানবাহনের ওজন যাচ্ছে বেড়ে।

ওজন স্টেশনের প্রবেশ পথের তিনটি লেনের সড়ক খানখন্দে পূর্ণ। প্রায় দুইশ’মিটার এলাকাজুড়ে চার-পাঁচ ইঞ্চি করে সড়ক দেবে গেছে। খানাখন্দের কারণে ওজন স্টেশনে প্রবেশের সময় ঝাঁকুনিতে যানবাহনের পরিমাপ যেমন বাড়ছে সেই সঙ্গে যানবাহনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর ঝাঁকুনিতে বিকল হয়ে পড়া যানবাহন অপসারণ করতে রেকার বিল দিতে হচ্ছে চালকদের। যেসব যানবাহনের ওজন বেশি ধরা পড়ছে সেগুলোকে ৫০ টাকার রশিদের মাধ্যমে স্টকইয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে।

অনেক সময় সড়কেই গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় পাড়ে ট্রাকসহ ভারী যানবাহনের পরিমাপের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হয়েছে। এতে সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে ছয়টি লেনে ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসিয়ে যানবাহনের ওজন পরিমাপ করা হচ্ছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।

জানা গেছে, গত এক বছর আগে ওজন স্টেশনের সড়কে সংস্কার কাজ করা হয়। এতে সড়কে সিলকোট করে সংস্কার কাজ করে সেতু কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সড়ক সংস্কার করার মাস দুই পরেই সড়ক দেবে যায়। সড়ক জুড়ে তৈরি হয় খানাখন্দ। এতে গাড়িগুলো ওজন স্টেশনে উঠতে ঝাঁকুনিতে ওজন বেড়ে যায়।

দীর্ঘদিন যাবত সড়কের এমন বেহাল দশা

অন্যদিকে চার-পাঁচ ইঞ্চি পর্যন্ত সড়ক দেবে যাওয়ায় যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কের এমন বেহাল দশা থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।

সেতু এলাকায় দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নিরাপত্তাকর্মী জানান, যানবাহনের চালকরা সড়কের বেহাল দশার জন্য নিরাপত্তাকর্মীদের গালমন্দ করেন। সড়ক দেবে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সড়কেই গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে।

মহাসড়কে চলাচলকারী চালকদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপারে টোল দিলেও সেতুতে প্রবেশের আগে যে সড়কের বেহাল দশা সেটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। সড়কে খানাখন্দের কারণে গাড়ি চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মালামালসহ গাড়ির ওজন সঠিক থাকলেও ওজন স্কেলে প্রবেশ করতেই গাড়ির পরিমাপ বেড়ে যায় খানাখন্দের কারণে। আবার সড়ক দেবে যাওয়ায় গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি সরাতে সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে রেকার বিল নিচ্ছে ৪-৫ হাজার টাকা করে। এছাড়া ওজন বেশি হওয়ায় গাড়ি ঘুরিয়ে স্টকইয়ার্ডে পাঠাচ্ছে। এতে আরও ৫০ টাকা করে দিতে হচ্ছে।

সড়ক সংস্কার করার মাস দুই পরেই সড়ক দেবে যায়

নাম গোপন রাখার শর্তে সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, কয়েক মাস ধরে ওজন স্টেশনের এই সড়কের বেহাল দশা। গাড়ির চালকরা বেশি উত্তেজিত হলে তখন কিছু বালু আর খোয়া ফেলে দায় সারা হয়। আবার অনেক সময় শুধু মাটিযুক্ত বালু ফেলা হয় লোকজন দিয়ে। এতে ধুলায় ওজন স্টেশন এলাকার বায়ু দূষিত হচ্ছে। ওজন স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যে কর্মকর্তা আছেন তিনি প্রতিদিন দিনমজুর দিয়ে সড়কে টুকিটাকি কাজ করেন আর বিল তোলেন।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকর্তা রতন জানান, ওজন স্টেশনের সড়ক দেবে যাওয়া ও খানাখন্দ সংস্কার কাজের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সড়কটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টির পানিতে এমন বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রতিনিয়ত সড়কে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;