অনিয়মে সাড়ে ৭ হাজার গাছ বেচল সেতু কর্তৃপক্ষ!

  • অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম টাঙ্গাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার অজুহাতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নামমাত্র দামে বিক্রি করা হয়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার অজুহাতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নামমাত্র দামে বিক্রি করা হয়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার অজুহাতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নামমাত্র দামে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না পেলেও গত বছর গাছগুলো বিক্রি করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে এই গাছগুলো বিক্রির কারণে মহাসড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হতে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কে চার লেনের কাজ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে এলেঙ্গা হতে সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজ পর্যন্ত সেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে চার লেনের কাজ করা হবে। এই কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখন পর্যন্ত চার লেনের কাজের জন্য কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পায়নি।

বিজ্ঞাপন

টাঙ্গাইল বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত আকাশমণি, কাঁঠাল, কড়ই, বাবলা, মেহগনি, শিশু, ছাতিয়ান, রাজকড়ই, নিম, ফেরফেরি, বকাইন, অর্জুন, বিদেশি জারুল, ইউক্যালেপ্টাস, গামার, কদম, শিমুল ও শিল কড়ই মিলে ৭ হাজার ৬৮৯টি গাছ ছিল। যার মূল্য বন বিভাগ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৪টাকা।

ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চলাচল করা চালকরা জানান, চার লেনের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। অথচ আগেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। গাছ না থাকায় মহাসড়কে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাবে। মহাসড়কে কাজ শুরু সময়ও গাছ কাটা যেত।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু সেতুর সহকারী প্রকৌশলী পাভেল কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, চার লেনের কাজের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের অপেক্ষা।

টাঙ্গাইল বনবিভাগ থেকে গাছের সংখ্যা ও মূল্য নির্ধারণ করে ঠিকাদারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করা হয়েছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।