লালমনিরহাট জেলা আ.লীগের সম্মেলন শুরু
হেমন্তের শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ১১টা ৪০ মিনিটে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম মাঠে শান্তির প্রতীক বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। সঞ্চলনা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুরো জেলা শহর বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। দীর্ঘ ৭ বছর পর শুরু হওয়া সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন কয়েকশ কাউন্সিলর ও ডেলিগেট। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও উপজেলা থেকেও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়েছেন সম্মেলনে। সকাল থেকেই দলে দলে সম্মেলন স্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন আ' লীগ নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মধ্যদিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মোতাহার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আ্যড. মতিয়ার রহমান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবারের সম্মেলনে শীর্ষ দুই পদের জন্য লড়াইয়ে আছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাদল আশরাফ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপন অন্যতম আলোচিত প্রার্থী।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাংগঠনিক ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি যিনি দলের দু:সময়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত তাকেই তারা আগামীর নেতা হিসেবে দেখতে চান।
সম্মেলন প্রসঙ্গে রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, লালমনিরহাট জেলার সম্মেলন আয়োজনের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন। সৎ, যোগ্য ও পরিশ্রমী ব্যক্তিদের হাতেই আগামীর নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, কোনো কারণেই লালমনিরহাটের কোন শাখায় তথা তৃণমূলের কোন পর্যায়ের কোনো কমিটিতেই অনুপ্রবেশকারী কিংবা স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর কাউকেই স্থান দেওয়া হবে না।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ রহমান।
এছাড়া লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, সম্মেলনে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।