নেত্রকোনায় আ.লীগ-যুবলীগের ৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনা জেলার মানচিত্র, ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনা জেলার মানচিত্র, ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুলসহ ৬ নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, তাপস পোদ্দার, ছাত্রলীগ নেতা আফরিদ জাহান খান স্বপন ও ইফতিকার হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তবে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুলকে।

এছাড়া আরো অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে ওই মামলায়।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পাইকুড়া ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও এক যুবলীগ নেতার সাথে বিরোধের জের ধরে হুমায়ূন কবীর চৌধুরীর ব্যক্তিগত চেম্বার ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন।

ঘটনার ৩ দিন পর এজাহার দেওয়ায় মামলা নিতে বিলম্ব হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনও একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেটিও মামলা হবে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসামিরা তাদের লোকজন নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেন্দুয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সড়কের সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন হুমায়ূন কবীর চৌধুরীর ব্যক্তিগত চেম্বারে হামলা করে ভাংচুর চালায়। এ সময় ওই চেম্বারে থাকা টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়। এছাড়া ওই চেম্বারের টেবিলের ড্রয়ারের ভেতরে রাখা ৪ লাখ টাকাও ড্রয়ারের তালা ভেঙে হামলাকারীরা নিয়ে যায় বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।