কুমিল্লায় ১৫ দিনে ৫ খুন, ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ঘাতকরা



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন বছরে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কুমিল্লায় আলোচিত ৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় প্রতিটি ঘটনা সংগঠিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। আর প্রতিটি খুনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে মামলাও হয়েছে।

এদিকে, থানা পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি খুনের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য মাঠে কাজ করছে সিআইডি, পিবিআই, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম। তবে এসব খুনের ঘটনায় জড়িত ঘাতকরা এখনো রয়েছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, খুব শিগগিরই এসব ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবেন তারা। তবে আশ্চর্যজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে আলোচিত এই ৫টি খুনের ঘটনার মামলার আসামিরাই অজ্ঞাত।

সর্বশেষ, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে জেলার বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের একটি টমেটো ক্ষেতের মধ্যে পাওয়া যায় আমেনা আক্তার (২৫) নামে এক নারীর মরদেহ। আমেনা ওই গ্রামের কৃষক মাজেদ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) তার বাবা মাজেদ মিয়া অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ, স্থানীয় সূত্র এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া ব্রিজের নিচ থেকে নগরীর বিষ্ণপুর (মুন্সেফ কোয়ার্টার) এলাকার ডা. লিয়াকত আলীর ছেলে সাবাত হোসেনের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। উদ্ধারের সময় দেখা যায় মরদেহের হাতে স্কচ টেপ প্যাঁচানো রয়েছে। সাবাত ঘটনার দুই দিন আগে থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক জানান, সাবাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর হাতে স্কচ টেপ প্যাঁচিয়ে মরদেহ নদীতে ফেলা হয়ে থাকতে পারে। তবে এ ঘটনায় মামলা হলেও ঘাতকরা এখনো অধরা রয়েছে।

গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকা থেকে মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। নিহতের শরীরে, মুখে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা তাকে অন্যত্র হত্যার পর এই স্থানে মরদেহ ফেলা হয়। তবে এই ঘটনায় মামলা হলেও খুনের রহস্য এখনো বের হয়নি।

এদিকে, নিখোঁজের ৬ দিন পর গত ১১ জানুয়ারি শনিবার রাতে জেলার লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় প্রবাসী জুয়েল রানার শিশু ছেলে আবু সুফিয়ান সানির (৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও হত্যার কারণ ও খুনিরা এখনো অধরাই রয়ে গেছে।

অপরদিকে, গত ১৩ জানুয়ারি সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নাওতলা থেকে নৈশপ্রহরী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. নাছির উদ্দিনের (২৬) ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যার রহস্য এবং খুনিদের বিষয়টি এখনো অজানাই রয়ে গেছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব বিষয়ে জানতে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. নুরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আজিম উল আহসান বার্তা২৪.কমকে জানান, কুমিল্লা জেলায় অতীতের তুলনায় বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক স্ট্রং। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক কাজ করাসহ তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন পুলিশের সদস্যরা।

তিনি আরও জানান, আপনারা দেখেছেন যে প্রতিটি ঘটনা ঘটার পরপরই পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি এবং পিবিআইও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে তারা এসব ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। এছাড়া থানা পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি ঘটনার গভীরে তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রশিক্ষিত টিম।

মো. আজিম উল আহসান আরও জানান, কুমিল্লা জেলার উত্তর এবং দক্ষিণের জন্য দুইজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রয়েছেন। তারাও সার্বক্ষণিক এই বিষয়গুলো মনিটরিং করছেন। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই এসব হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;