কুড়িয়ে পাওয়া তিনটি চেক বই দিয়ে ব্ল্যাকমেল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,কুমিল্লা
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় মো. মোবারক হোসেন নামে একজন আবাসন ব্যবসায়ী ইসলামী ব্যাংকের তিনটি চেক বই হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ওই তিনটি বইয়ে মোট ১১৭টি খালি চেকের পাতা ছিল।

চেক বই হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন মোবারক। পাশাপাশি তিনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

এদিকে, ব্যবসায়ী মোবারক হোসেনের হারিয়ে যাওয়া ওই চেক বই তিনটি কুড়িয়ে পান মো. একরামুল হক নামের এক ব্যক্তি। তিনি জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফকিরহাট গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, একরামুল বর্তমানে ওই চেকগুলো ব্যবহার করে ব্যবসায়ী মোবারক হোসেনের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করছেন। আর চাঁদার টাকা না দিলে তিনি চেকগুলো ব্যবহার করে ব্যবসায়ী মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মামলা করে তাকে হয়রানি করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। সর্বশেষ এ ঘটনায় ১১৭টি পাতার নম্বর উল্লেখসহ তিনটি চেক বই উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন। আবাসন ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন জানান, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর নগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে চকবাজার যাওয়ার সময় ব্যাগ থেকে আমার নিজ নামীয় ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার তিনটি চেক বই হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও চেকগুলো না পেয়ে এ ঘটনায় গত ২৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এরই মধ্যে আমার হারিয়ে যাওয়া চেকগুলো কুড়িয়ে পান একরামুল হক নামের ওই ব্যক্তি। এরপর তিনি ১১৭টি পাতার মধ্য থেকে একটি পাতা দিয়ে এবং আমার স্বাক্ষর জাল করে তার নিজস্ব একটি ব্যাংক একাউন্টে কালেকশনের জন্য চেক জমা দেন। প্রতারক এনামুল ওই চেকে নিজের মনগড়া মত ৪০ লাখ টাকার একটি অ্যামাউন্টও বসিয়ে দেন। তার অ্যাকাউন্ট অন্য ব্যাংকে হওয়ায় আমার স্বাক্ষর না মিললেও চেকটি ডিজঅনার হয়। মূলত এর পরেই আমি জানতে পারি আমার হারিয়ে যাওয়া সেই তিনটি চেক বইসহ মোট ১১৭টি চেকের পাতা তার কাছেই রয়েছে।

মোবারক হোসেনের অভিযোগ, এই খবর পাওয়ার পর আমি তাকে চেকগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি চেক বইগুলো ফেরত দিতে আমার কাছে প্রথমে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর কখনো ২০ লাখ, এখনো ১০ লাখ আবার কখনো ৫ লাখ টাকাও চান। আর আমি তার সঙ্গে সমঝোতায় গিয়ে তাকে মোটা অঙ্কের চাঁদা না দিলে তিনি তার চক্রের লোক দিয়ে আমার নামে এভাবে জাল সই দিয়ে চেক ডিজঅনার করিয়ে বিভিন্ন স্থানে মামলা করবেন। সোজা কথা ওই প্রতারক চক্রের মূলহোতা একরামুল হক আমাকে ব্ল্যাকমেল করছেন।

ভুক্তভোগী মোবারক আরও জানান, সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি আমি ওই প্রতারক ও চাঁদাবাজ একরামুল হকের কাছ থেকে ১১৭টি পাতাসহ তিনটি চেক বই উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। আদালত আমার মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এরই মধ্যে সে আমাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তিনি বলছেন আমি মামলা প্রত্যাহার না করলে সবগুলো চেক ডিজঅনার করে একের পর এক দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করবেন। আমি চেক বইগুলো হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি থানায় জিডির পাশাপাশি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও লিখিতভাবে জানিয়েছি।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, মোবারক হোসেন নামের ওই গ্রাহক আমাদেরকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন ১১৭টি খালি পাতাসহ তার তিনটি চেক বই হারিয়ে গেছে। তিনি এ ঘটনায় থানায় জিডিও করেছেন।

এদিকে, এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত একরামুল হকের সঙ্গে গত দুই দিন ধরে যোগাযোগের করা হলেও তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেলেই কল কেটে দিচ্ছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করে কল কেটে দেন। এরপর আরও দুইবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে রাখছেন, তবে অপর প্রান্ত থেকে কোন কথাই বলেননি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;