রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড ‘মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে’



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেনি কক্সবাজারসহ সারাদেশের জেলেরা। তাই কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। জেলেরা ছিল বেকার। বাজারগুলোতে আকাল ছিল মাছের। কিন্তু এখন দৃশ্য পাল্টে গেছে। রূপালি ইলিশের রমরমা কারবার চলছে এখন। পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ে নতুন রেকর্ড করেছে কক্সবাজার 'মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র'।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানায়, ৬৫ দিন খুব কষ্টে দিন পার করলেও এখন তার সুফল পাচ্ছে সবাই। ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। যার ছোঁয়া পড়েছে প্রতিটি বাজারে। দামও ক্রেতাদের অনুকূলে। বড় সাইজের প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়ছে ৫শ টাকা থেকে ৬শ টাকার মধ্যে। তাই সহজেই ক্রয় করতে পারছে ক্রেতারা। স্থানীয় বাজার ছাড়াও সারাদেশে যাচ্ছে কক্সবাজারের ইলিশ।

শহরের নুনিয়াছড়া ফিশারীঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দেখা যায়, ট্রলার মালিক, জেলে পল্লী, ভোক্তা সাধারণের মুখে হাসি ফুটেছে। সম্প্রতি সাগরে মৎস্য শিকার বন্ধ থাকার পর বর্তমানে কক্সবাজারের হাটবাজারে ইলিশে ভরে গেছে। কিছুদিন আগে বাজারে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের আকাল চললেও এখন ইলিশ পেয়ে দারুণ খুশি স্থানীয়রা।

কক্সবাজার 'মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র' সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জুলাই থেকে চলতি মাসের ২১ জানুয়ারি (৬ মাস) এ বরফ সেক্টর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪১ লাখ ৫৪ হাজার ৬২৬ টাকা। কিন্তু ২০১৮-২০১৯ পুরো অর্থ বছর জুড়ে রাজস্ব আদায় হয় ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ৭২৪ টাকা।

২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জুলাই থেকে চলতি মাসের ২১ জানুয়ারি (৬ মাস) মাছ সেক্টর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। আর পুরো ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় হয় ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এছাড়াও বিভিন্নভাবে রাজস্ব আদায় ৯ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৪ টাকা। মাত্র ৬ মাসের মাথায় যা গত অর্থবছরের খুবই কাছাকাছি চলে এসেছে। এটিকে নতুন সফলতা হিসেবে দেখছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজারে ইলেশের স্তূপ

ফিশিং ট্রলারের মালিক সেলিম বহদ্দার বলেন, গত ৭-৮ দিন ধরে বঙ্গোপসাগর থেকে যেসব ট্রলার ঘাটে ভিড়ছে। দেখা গেছে, অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের তুলনায় প্রায় বোটে ইলিশই বেশি। কারো ট্রলারে ২০ হাজার, কারো ২৫ হাজার এমনকি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ইলিশও ধরা পড়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, যেভাবে ইলিশ ধরা পড়ছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে বিদেশেও ইলিশ রফতানি করা যাবে। আগের চেয়ে কম মূল্যে ইলিশ ক্রয় করে খুশি মনে ঘরে ফিরছেন ক্রেতারা। বর্তমানে কক্সবাজারের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে ইলিশ মাছ। স্তূপে স্তূপে ইলিশ সাজিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাজারসহ হাটবাজারে ইলিশের মূল্য হাতের নাগালে এসেছে। একটু ছোট্ট সাইজের হলে কেজি মাত্র ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা ও বড় হলে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।

শহরে ইলিশ মাছের দাম সস্তা শুনে বাজারে আসা কপিল মাহামুদ জানান, এক সময় ফিশারি ঘাট থেকে কেজি প্রতি দুই হাজার টাকায় ইলিশ কিনেছি। কিন্তু এখন বড় সাইজের ইলিশ কিনেছি ৫৫০ টাকায়। বাসার জন্য অনেক ইলিশ কিনেছেন তিনি।

কক্সবাজারে ইলিশ মাছের দাম সস্তা শুনে চট্টগ্রাম থেকে আসা এক পাইকারি ব্যবসায়ী আবু ছৈয়দ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ইলিশের শেষ মৌসুমে কারণে সকালে এখানে চলে এসেছি মাছ কিনতে। তবে এত মাছ ধরা পড়বে তা কল্পনাও করিনি। তিনি বলেন, প্রায় ৫ মণ ইলিশ মাছ ক্রয় করেছি। তাও আবার বিভিন্ন দামে কেনা হয়েছে। তবে বড় আকারের ইলিশের সংখ্যা ছিল কম। তবে মাঝারি ও ছোট্ট আকারের মাছ বেশি।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম লিকন বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত ২১ দিনে কক্সবাজারের জেলেদের জালে আনুমানিক ৬শ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আহরণে ব্যস্ত জেলেরা। ৬৫ দিন বন্ধের সুফল পাচ্ছে জেলে ও ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি সরকারও পাচ্ছে রাজস্ব।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;