মৌলভীবাজারে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, যাত্রীদের ভোগান্তি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মৌলভীবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মৌলভীবাজারে পরিবহন ধর্মঘট

মৌলভীবাজারে পরিবহন ধর্মঘট

মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা জেলাব্যাপী সর্বস্তরের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।

জেলার অভ্যন্তরীণ কোনও রুটে দূরপাল্লার কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। তবে ধর্মঘট চলার ফাঁকে ফাঁকে সিএনজি অটোরিকশায় জেলার বিভিন্ন সড়কে মানুষজন চলাচল করতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

আকর্ষিক এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন কলেজের শিক্ষার্থী, নানা পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষজন।

জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান চালক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলাব্যাপী সর্বস্তরের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় জেলার প্রবেশদ্বার শ্রীমঙ্গল শহর ঘুরে দেখা যায়, অনেক যাত্রী ধর্মঘটের কারণে সকাল ৬টা থেকেই ঢাকা-সিলেট রুটের হানিফ, শ্যামলী, এনা, হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন গাড়ির জন্য ফিরে যাচ্ছেন। দূরপাল্লার কোনও যানবাহন শ্রীমঙ্গল থেকে কোথাও ছেড়ে যায়নি।

এছাড়া জেলা শহর থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ সকল সড়কে লোকাল বাস, সিএনজি, মালবাহী ট্রাক, কার, জিপগাড়িও চলাচল করছে না।

তবে সড়কগুলোতে বাইরে থেকে আসা কিছু মালবাহী বাস ও বনভোজনের গাড়ি শ্রমিক নেতাদের সহযোগিতায় শহর অতিক্রম করেছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার মতিগঞ্জ থেকে আসা আব্দুল গফুর তিনি সিলেটে যাবেন। তাঁর মেয়ের বাসায়। কিন্তু শহরে এসে দেখেন হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন বাস চলছে না। হবিগঞ্জ সড়কে র‌্যাব ক্যাম্পের তিনি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন।

সাংবাদিক পরিচয় শুনে বললেন, ‘ধর্মঘটের কথা জানতাম না। জানলে তো বাড়ি থেকেই আসতাম না। তার পাশেই দাঁড়ানো দুজন ব্যাংকার যাবেন মৌলভীবাজারের শেরপুর। তারাও ব্যাংকে যেতে পারছেন না।

কথা হয় সিলেটের যাত্রী দীপন পালের সঙ্গে। তিনি সুনামগঞ্জ জগন্নাথ পুরের বাসিন্দা। সিলেটের মা ও শিশু হাসপাতালে তার মেয়ের অপারেশন। মেয়েকে দেখতে যাওয়া দীপন পাল বলেন, ‘আধাঘণ্টা ধরে হবিগঞ্জ-সিলেটের বাসের জন্য অপেক্ষো করছি। কোনও বাস আসেনি। ধর্মঘট জানলে বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতেই সিলেট গেলা মনে। আকতা ধরি (হঠাৎ করে) শ্রমিক ধর্মঘট ডাকছে কেউ জানে না। এখন পুরা কষ্টত পড়ি গেছি।’

শ্রীমঙ্গলের হানিফ কাউন্টারের ম্যানেজার সুমন জানান, ‘সকাল ৬টা থেকে আমাদের কাউন্টারে ২০/২৫ যাত্রী সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২০/২৫ যাত্রী ফিরে গেছে। ধর্মঘটের কারণে শ্যামলীর দুই কাউন্টারই বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। তবে সিলেট, ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানের যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে রেলস্টেশেন ভিড় জামাচ্ছেন।

ট্রাক লরি কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আজাদুর রহমান অদুদ বলেন, ‘সারা জেলায় বাস, ট্রাক, ট্যাংকলরি ,সিএনজি, লাইটেস কার কোথাও চলাচল করছে না। সাধারণ শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘আমি সকালে মৌলভীবাজার পর্যন্ত রাস্তায় ঘুরে আসলাম। গাড়ি তো সীমিত পরিসরে চলতেছে। মূলত: ট্রাক ছাড়া অন্য গাড়ি চলছে বলে দাবি করেন তিনি।