সেবিকা হত্যা: বিচারক ও আইওর ক্ষমা প্রার্থনা, ওসিকে শোকজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোর জেনারেল হাসপাতালের সেবিকা ও অর্থব্যবস্থাপক মিতা খাতুন হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় আদালতে নিজেদের ভুল স্বীকার করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। প্রথমবার এমন ভুল হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ ও নবীন তদন্ত কর্মকর্তা হওয়ায় উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা এমন ভুল করেছেন জানিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমান সরকার বরাবর লিখিত জানিয়েছেন তারা।

পাশাপাশি গত বছরের ২১ নভেম্বর আজিজ মোল্লাকে অব্যাহতির সুপারিশ আমলে নেওয়ার ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে সোমবার (২৭ জানুয়ারির) মধ্যে পুলিশ হেফাজতে নিতে আদেশ দিলেও তা পালনে ব্যর্থ হওয়ায় নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদকে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

সোমবার বিকেলে বিচারক ও তদন্ত কর্মকর্তার ব্যাখ্যা গ্রহণ করে এসব নির্দেশনা দেন জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান সরদার।

ব্যাখ্যায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ বলেন, 'অভিযুক্ত সাগর জমাদার দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করলেও পরবর্তীতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রিট্রাকশনের আবেদন করেন, যা নথিভুক্ত রয়েছে। রিট্রাকশন আবেদনে সাগর জানান, তাকে পাঁচ দিন অজ্ঞাতস্থানে আটক রেখে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়ে বাধ্য করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাগর জমাদার দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করলেও আসামি আজিজ মোল্লা নিজে কোনো দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেননি।'

ব্যাখ্যাদানের দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিচারক বলেন, ‘এজাহারে কোনো আসামির নাম না থাকায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে সন্দিগ্ধ আসামি আজিজ মোল্লাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ায় এবং এ ব্যাপারে এজাহারকারী ও কোর্ট পরিদর্শকের কোনোরূপ আপত্তি না থাকায় সার্বিক বিবেচনায় সরল বিশ্বাসে আমি অভিযোগপত্র গ্রহণ করি। প্রথমবার হওয়ায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আদেশদানের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকব মর্মে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

মামলার এজাহারে কোনো আসামির নাম না থাকায় মূল অভিযুক্ত আজিজ মোল্লাকে বাঁচানোর লক্ষ্যে নিজের প্রতিবেদন ‘আপত্তিহীন’ করতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুদ রানা সেবিকা মিতার ভাই শেল্লাল প্রামাণিকের ১৬১ ধারার জবানবন্দী গ্রহণ করলেও মিতার সঙ্গে তার যোগাযোগ কম ও বসবাস দূরে ছিল বলে ব্যাখ্যায় স্বীকার করেন। ভাইয়ের অনাপত্তি তদন্তে প্রভাবিত করে না বলে ব্যাখ্যায় উল্লেখ করলেও তার উপর ভিত্তি করেই প্রতিবেদন ‘আপত্তিহীন’ করতে ভূমিকা পালন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

লিখিত ব্যাখ্যায় উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা বলেন, ‘একজন নির্দোষ ব্যক্তি যাতে সন্দেহপূর্ণভাবে বিচারে সোপর্দ না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আসামি আজিজ মোল্লাকে অব্যাহিত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যা তদন্ত তদারকি কর্মকর্তারা সমর্থন করেছেন। মামলার প্রারম্ভিক তদন্তকালে আদালতে প্রেরিত বিভিন্ন ফরোয়ার্ডিংয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমি যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছি তা বিচ্ছিন্নভাবে এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে। এমন অভিব্যক্তি অভিযোগপত্রের ক্ষেত্রে যে এতোটা গুরুত্বপূর্ণ, তা'নবীন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছি। ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাননি। হাতে পেলে নির্দেশনা মাফিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তদন্তকার্যে পুলিশের ত্রুটি বিচ্যুতি বা গাফিলতি মাঝেমাঝে পরিলক্ষিত হলেও তা পর্যবেক্ষণ না করে সরল বিশ্বাসে অনুমোদনের ঘটনায় বিচারকের ক্ষমা প্রার্থনার ঘটনা বিরল ঘটনাটি খারাপ নজির হিসেবে চিহ্নিত থাকলো বলে মনে করছেন সিনিয়র আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় নাটোর জেনারেল হাসপাতালের সেবিকা মিতা খাতুনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কারও নাম উল্লেখ ছিল না। তদন্তকালে পুলিশ প্রথমে হাসপাতালের সুইপার সাগর জামাদার ও পরে মালিক আজিজ মোল্লাকে গ্রেফতার করে। হাসপাতালের মালিককে সম্পৃক্ত করে সাগর ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। তবুও তদন্ত কর্মকর্তা মালিককে বাদ দিয়ে শুধু সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছরের ২০ নভেম্বর বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে আদালত তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না-তার ব্যাখ্যা তলব করেন। একই সঙ্গে অব্যাহতির সুপারিশ কেন মঞ্জুর করা হয়েছে, সে ব্যাখ্যা দিতে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদকে নির্দেশ দেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;