লালমনিরহাটে বোরো চারা সংকট

  • নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বোরো বীজতলা, ছবি: বার্তা২৪.কম

বোরো বীজতলা, ছবি: বার্তা২৪.কম

লালমনিরহাটে এখন চলছে বোরো ধান রোপণের ভরা মৌসুম। কিন্তু টানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারণে বেশিরভাগ বোরো বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। এতে করে ভরা মৌসুমেও বোরো চাষে মাঠে নামতে পারেনি এ অঞ্চলের কৃষকরা। ফলে বোরো আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে সংকটের কারণে হাট-বাজারে উচ্চ মূল্যেও চারা ও বীজ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আর এ বছর বোরো আবাদের জন্য যে পরিমাণ বীজের প্রয়োজন তা চাহিদা মতো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা হয়নি। পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ না থাকায় বিভিন্ন কোম্পানি ও খোলাবাজারের বীজ উচ্চ মূল্যে কিনতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ার পাশাপাশি ফলন নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

তবে কৃষি বিভাগ বলছে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। কৃষকদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

জানা যায়, জেলায় এবার ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ওই পরিমাণ জমি আবাদে চাহিদা ২৪শ হেক্টর বীজতলা।

বিজ্ঞাপন

হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোরো-২৯ জাতের চারা এক আটি ৬-৭ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর বিক্রি হয়েছিল ১ টাকা।

কৃষক মনির হোসেন জানান, বোরো চারা সংকটে বিপাকে পড়েছেন তিনি। বিভিন্ন হাটে চারা মিললেও অনেক দাম দিয়ে নিতে হচ্ছে।

লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিদু ভূষণ রায় জানান, ইতোমধ্যে এ জেলার প্রায় ৭০ ভাগ কৃষক বোরো রোপণ করে ফেলেছেন। তবে টানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারণে বেশিরভাগ বীজতলা মরে গেছে। এতে প্রভাব পড়বে না।