বিএসএফের হয়রানিতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বর্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

সিঅ্যান্ডএফ স্টাফদের বাণিজ্যিক কাজে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে এ পথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান তাজিম বার্তা২৪.কমকে জানান, বাণিজ্যিক সুবিধার্থে দুই পাশের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফরা কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা স্টাফদের বন্দরে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশি ট্রাকচালকেরা জানান, ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় পণ্য বোঝাই দুই শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। পেট্রাপোল বন্দরেও একই অবস্থা।

বিজ্ঞাপন
আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে আটকে আছে দুই শতাধিক ট্রাক, ছবি: বার্তা২৪.কম

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোনো আলোচনা ছাড়াই বিএসএফের এমন সিদ্ধান্ত বেআইনি। এতে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য সচল করার চেষ্টা করছি।

জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চার থেকে সাড়ে চারশ’ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেড়শ’ থেকে দুইশ’ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্প কারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। একদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকলে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়।

 

বিজ্ঞাপন