আমের মুকুলে দোল খাচ্ছে চাষিদের স্বপ্ন
গাছে গাছে ছড়িয়ে ভরা আমের মুকুল। এলাকার চারপাশে ছড়াচ্ছে মিষ্টি সুবাস। সবারই যেন মন জুড়িয়ে যায়। আর কিছুদিন পরই আমের মুকুল পরিণত হবে এক পরিপূর্ণ দানায়। মধুমাসে এসব গুটি আম পরিণত হবে পরিপক্ব আমে। তাই আমের মুকুলে দোল খাচ্ছে চাষিদের স্বপ্ন । সেই সোনালি স্বপ্নকে বুকে ধারণ করেই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চুয়াডাঙ্গার আম চাষিরা।
জেলার কয়েকটি আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা আম গাছের বাড়তি পরিচর্যা করছে। পোকা মাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় কৃষি অধিদফতরের সদস্যদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও স্প্রে করছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলা অধিকাংশ আম বাগান মালিকরা।
পুড়োপাড়া এলাকার আম বাগান মালিক রেজাউল শেখ বলেন, ‘দিন বিশেক আগে তার বাগানের আমগাছগুলোতে মুকুল আসা শুরু করে। বাগানের ১৩৫টি আম গাছের প্রতিটিতে মুকুলে ছেয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তবে আমের ফলন ভালো হবে। ফলে লাভের পরিমাণও অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হবে।’
বেলগাছি গ্রামের নিয়াজ মন্ডল বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করেন। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও তিনি আমের বাগান লিজ নিয়েছেন। তিনি জানান, মুকুল আসার পরই বাগানের প্রতিটি গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন তিনি। প্রতিবছর স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা তার বাগানের এসে আম কিনে নিয়ে যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলী হাসান বার্তা২৪.কম-কে জানান, এই অঞ্চলের আম খুবই সুস্বাদু। গতবছর জেলার চার উপজেলায় ১ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছিল। এ বছর চলতি মৌসুমে মাত্রা বাড়িয়ে ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।