গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে মিষ্টি সুবাস
গাছে ভরা আমের মুকুল, চারপাশে ছড়াচ্ছে মিষ্টি সুবাস। মুকুলের মিষ্টি সুবাস ও ঘ্রাণে যেন মন জুড়িয়ে যায়। ছোট্ট এ মুকুল কয়েক দিন পর একটি পরিপূর্ণ দানায় পরিণত হবে এবং জ্যৈষ্ঠ মাস বা মধুমাসে গুটি আমগুলো পরিপক্ব আমে পরিণত হবে। আর এই আমের মুকুলেই স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা।
পঞ্চগড়ের উৎপাদিত আম জেলার বিভিন্ন বাজারের চাহিদা মিটিয়ে এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের বেশির ভাগ আম বাগান চুক্তি দেওয়া হয় পাইকারদের। পাইকাররা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে বাগান চুক্তি নিয়ে থাকে।
শনিবার (৭ মার্চ) সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নতুন-পুরোনো আম বাগানগুলোতে দোল খাচ্ছে আমের মুকুল এবং বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও শ্রমিকরা। মুকুলেরা মিষ্টি সুবাসে যেন কৃষকদের স্বপ্ন লুকিয়ে আছে। তবে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার আশাবাদী এসব আম চাষি ও বাগান মালিকরা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, যে জমিতে এক সময় কোনো আবাদ হতো না সেই পতিত জমিতেই গত কয়েক বছর ধরে সে আম চাষ করা হচ্ছে। এ সব জমিতে আমের ফলনও ভালো হচ্ছে। এ জেলায় অনেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ শুরু করেছে।
জেলার সদর উপজেলার চাকলার হাট এলাকার প্রবাসী মিজানুর সিদ্দিকী রঞ্জু বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমার চা বাগানের মাঝখানের পতিত জমিতে আমের বাগান করি। আর রোপণের এক বছরের মধ্যেই গাছে আম ধরে এবং প্রথমবারেই ভালো ফলন হয়। এবারও ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।
এবিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিক ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, দিন দিন পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় আম বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম চাষের জন্য পঞ্চগড়ের মাটি উর্বর, উপযোগী ও লাভজনক হওয়ায় চাষিরা এখন আম চাষে উৎসাহী হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরাও চাষিদের বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি।