সাভারে লাজ ফার্মায় অতিরিক্ত মূল্যে মাস্ক বিক্রি, আটক ২
অতিরিক্ত মূল্যে মাস্ক বিক্রির দায়ে সাভারে লাজ ফার্মা লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে দুই বিক্রয়কর্মীকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ক্রেতা সেজে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাস্ক কিনতে গেলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বাড়তি চাহিদার কথা বলে তার কাছে দুই টাকা মূল্যের সাধারণ মাস্ক ৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
এ সময় বিক্রয় রসিদ চাইলেও তা দিতে অপারগতা জানান ফার্মেসি কর্মকর্তারা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে আসা পুলিশ গিয়ে হাতেনাতে আটক করে ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান ও বিক্রয়কর্মী পাপন দেবনাথকে।
এছাড়াও প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে সময়ক্ষেপণের অভিযোগে আটক করা হয় সাভারে লাজ ফার্মা লিমিটেডের ম্যানেজিং পার্টনার আলমগীর হোসেন মাখনকে। পরে মুচলেকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এর নেতৃত্বে দুপুরে সাভার থানা রোডে সবগুলো ফার্মেসিতে চলে অভিযান।
ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্কে সাভারের ফার্মেসিগুলোতে রাতারাতি মাস্ক এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।
তিনি জানান, লাজ ফার্মা লিমিটেডে দুই টাকা মূল্যের মাস্ক বিক্রি করা হচ্ছিল ৪০ টাকায়। তারা কোথা থেকে কত টাকায় এই মাস্ক সংগ্রহ করেছে- তা দেখাতে পারেনি, এমনকি বিক্রয় রশিদ দেয়নি।
এছাড়াও সেখানে গিয়ে অননুমোদিত অসংখ্য প্রসাধন সামগ্রী জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
যোগাযোগ করা হলে লাজ ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, সাভারে আমাদের যে আউটলেটে জরিমানা করা হয়েছে, সেখানে এভাবে মাস্ক বিক্রির কথা নয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।
যারা অবৈধভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত দামে লাজ ফার্মায় মাস্ক বিক্রি করেছে, তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।