সাংবাদিক আরিফুলের জামিন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জামিন পাওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে আরিফুলকে, ছবি: বার্তা২৪.কম

জামিন পাওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে আরিফুলকে, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মধ্যরাতে কারাদণ্ড পাওয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন'র সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে জামিন দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

রোববার (১৫ মার্চ) সকালে সাংবাদিক আরিফকে ২৫ হাজার টাকা জামানত রেখে জামিন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

জামিনের পরপরই তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আরিফুলের জামিনের বিষয়ে কিছুই জানেন না তার পরিবার। তারা বার্তা২৪.কমকে জানান, আরিফুলের জামিনের বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোনও আবেদন করা হয়নি। 

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকরা জানান, তারা সাংবাদিক আরিফুলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে আসলেও আদালত ২৫ হাজার টাকা মুচলেকায় মামলাটি চলমান রেখে তার জামিন প্রদান করেন। এ সময়, সাংবাদিক ও এলাকাবাসী আরিফুলের নিঃশর্ত মুক্তিসহ মামলা প্রত্যাহার ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

জানা যায়, শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাত ১২টার পর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট আনসার সদস্যদের নিয়ে সাংবাদিক আরিফুলের বাড়িতে উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক দরজা ভেঙে তার ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী সন্তানের সামনেই তাকে মারধর করে ধরে নিয়ে আসেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাকে নিয়ে আসা হয়। তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মিতু জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে খাওয়া শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ কে বা কারা দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে আমার স্বামী ফোনে স্বজনদের বিষয়টি জানান। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে তারা আমার স্বামীকে মারধর শুরু করেন। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও মারতে উদ্যত হয়। পরে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়।

কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল ইসলাম এ বিষয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। আরেকটি বিষয়েও সংবাদপ্রকাশের জন্য তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন।  

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস জানান, আমার জানা মতে সাংবাদিক আরিফুল মদ-গাঁজা তো দূরের কথা কোন দিন সে একটি সিগারেটও স্পর্শ করেনি। যারা ধূমপান করে তাদেরকে বরং বিভিন্ন সময় তিরস্কার করেছেন।