বর্ণিল সাজে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিসৌধকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।
প্রথমবারের মতো লাল-সবুজের আলোক সজ্জায় সেজেছে পুরো চত্বর। সন্ধ্যা হলেই আলোকিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বিশ্ববরেণ্য এই নেতার জন্মশতবার্ষিকী মঙ্গলবার (১৭ মার্চ)।
দিনটি উপলক্ষে তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স আলোকিত করা হয়েছে। সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আকর্ষণীয় আলোকসজ্জা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় ছবি শোভা পাচ্ছে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের দেয়ালে দেয়ালে।
জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙে রাঙানো হয়েছে সমাধিসৌধ-সংলগ্ন বাড়িঘর, ব্রিজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রাস্তাঘাটও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনস্ থেকে বেদগ্রাম মোড়, গোপালগঞ্জ-বাশবাড়িয়া সড়কের ঘোনাপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত করা হয়েছে আলোকসজ্জা। সড়ক-মহাসড়ক ছেয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুন-তোরণে। সড়কের গোল চত্বরে সুদৃশ্য রেলিং দিয়ে ঘিরে শোভাবর্ধন করা হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলাকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জেলাব্যাপী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়াসহ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই সময়ে যেহেতু দেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি আছে, তাই আমরা শিশুদেরকে ঝুঁকির বাইরে রাখতে চাই। এই মুহূর্তে শিশু সমাবেশ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সময় সুযোগ মতো আমরা এই অনুষ্ঠানটি করবো।