অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত, জানতো না পুলিশ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা থেকে মুক্তি পেতে দোয়া মাহফিলে গণজমায়েত, ছবি: সংগৃহীত

করোনা থেকে মুক্তি পেতে দোয়া মাহফিলে গণজমায়েত, ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী ৫০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনে বাংলাদেশেও গণজমায়েত এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরে রায়পুরের হায়দরগঞ্জে সেই নির্দেশনা না মেনে অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ খতমে শেফা, দোয়া ও মোনাজাত করেছেন। এজন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। 

বুধবার (১৮ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহে জামে মসজিদের খতিব ও আওলাদে রাসুল (সাঃ) সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবীরি আল মাদানী মোনাজাত পরিচালনা করেন। রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ তাহেরিয়া আর এম কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়। এসময় মাদরাসা, ঈদগাহ প্রাঙ্গণ ও হায়দরগঞ্জ বাজারে অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষের ভিড় দেখা দেয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুফতি সাইয়্যেদ মোঃ তাহের ইজ্জুদ্দীন জাবেরী আল-মাদানী, স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানের খতিব সাইয়্যেদ মো. জাহেদ ইজ্জুদ্দীন জাবেরী আল-মাদানী, রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাজী জামসেদ কবির বাক্কী বিল্লাহ, হায়দরগঞ্জ তাহেরিয়া আর.এম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ মজুমদার ও হায়দরগঞ্জ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. একেএম ফজলুল হক প্রমুখ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দোয়ার আয়োজন ও গণজমায়েতের জন্য প্রশাসন থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা পরে শুনেছি।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে হায়দরগঞ্জ তাহেরিয়া আর.এম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এতো বড় জমায়েত অনুষ্ঠিত হলে জানতে পারেনি পুলিশ
গণ জমায়েত এড়িয়ে চলতে বলা হলেও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ

তবে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, তাদের এত বড় আয়োজন ছিল না। উপস্থিত মুসল্লিদের নিয়েই খতমে শেফা ও মোনাজাত করা হবে। কিন্তু দোয়ার আয়োজনের কথা শুনতে পেরে হঠাৎ করে উৎসুক মুসল্লি জড়ো হয়ে পড়ে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী ৫০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে। বাংলাদেশেও এই নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে জেলাব্যাপী ২১৪ জন মানুষকে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) থাকতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে ২১২ জন প্রবাসী ও ২ জন ঢাকার কারখানার শ্রমিক।

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গাফ্ফার বলেন, সম্প্রতি ৩ হাজার ৫০ জন প্রবাসী লক্ষ্মীপুরে এসেছেন। রায়পুরের গণজমায়েতে তাদের অনেকেই উপস্থিত থাকতে পারেন। যদিও দোয়া-মাহফিল নিয়ে কোনও কিছু বলা উচিত নয়। করোনা আতঙ্ক নিয়ে এতো বড় জমায়েত প্রয়োজন ছিল না।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদগুলোতে জমায়েত না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।