শিবচরের ৪ এলাকায় কড়া নজরদারি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চারটি এলাকাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়াও পুরো উপজেলাটিকে নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জেলার প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম।
শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,‘সম্প্রতি ইতালি থেকে অনেক প্রবাসী মাদারীপুরে এসেছেন। এদেরও মধ্যে শিবচরের চারটি এলাকায় তাদের উপস্থিতি বেশি। এখান থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। এজন্য এ চারটি এলাকাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।’
তিনি জানান, শিবচর পৌরসভার ২টি ওয়ার্ড, পাঁচ্চর ইউনিয়নের ১টি গ্রাম ও দক্ষিণ বহেরাতলা ইউনিয়নের ১টি গ্রাম এবং এ সংলগ্ন কিছু এলাকা আমরা বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এছাড়াও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সকল দোকানপাট বন্ধ থাকছে। চায়ের দোকান ও খাবারের হোটেল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে যাতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না ছড়াতে পারে।’
অন্যদিকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নূরে আলম মিনা বিকেল তিনটার দিকে সাংবাদিকদের আরেক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মাদারীপুর জেলার শিবচরের চারটি স্থানের প্রতি বিশেষ নজরদারি আসছে। এসব এলাকার প্রবেশ ও বাহির পথের নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ওই চারটি এলাকায় প্রয়োজনীয় কোনো দ্রব্যের প্রয়োজন হলে ফোন করলে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এখানকার সকল পুলিশের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।'
প্রবাসীদের আনাগোনা বেশি থাকায় ও প্রবাসীরা বাড়িতে সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারেন্টাইন) মেনে না চলার কারণে করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা। এখানকার ঝুঁকিপূর্ণ ৪টি এলাকা প্রশাসনের বিশেষ নজরদারিতে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়।
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নূরে আলম মিনা আরো বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে উপজেলার ২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ২টি ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ওই সকল এলাকার প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ গতিরোধ করবে পুলিশ। এজন্য প্রায় ২৫০ জন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে চারটি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানকার কোনো মানুষ অন্য এলাকায় যেতে পারবেন না। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। সকল সেবামূলক কাজ চালিয়ে যেতে সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিও গঠন হয়েছে। এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মজুদ বন্ধে পুলিশ কাজ করে যাবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহাবুব হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) আবির হোসেন, শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাংক কুমার ঘোষ, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন- শিবচরে দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ