শিবচরে বেদে সম্প্রদায়েদের খাদ্যসামগ্রী দিল উপজেলা পরিষদ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাদারীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক দূরত্বে বেদে সম্প্রদায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

সামাজিক দূরত্বে বেদে সম্প্রদায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাদারীপুর জেলার শিবচরে বাড়িতে সঙ্গরোধে থাকা, গরীব, অসহায় ও কর্মহীন বেদে সম্প্রদায়ের পরিবারের পৌঁছে দেওয়া হলো উপজেলা পরিষদের খাদ্য সহায়তা।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে মাদবরেরচর ইউনিয়নে ৫৫টি বেদে পরিবারে এ খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

গত ১৪ দিন ধরে শিবচরের চারটি এলাকায় প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ নজরদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শিবচর পৌর বাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ দুটি ওয়ার্ড ও দুটি ইউনিয়নের ২ গ্রামে পুলিশ পাহারায় রেখে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। উপজেলা জুড়ে প্রতিটি এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ব্যতীত সব দোকান টানা ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় কমছে লোকসমাগম।

উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপজেলায় বসবাসরত বেদে সম্প্রদায়ের ৫৫টি পরিবারকে ২০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি লবণ, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি আটা ও দুটি সাবানের একটি প্যাকেজ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন
বেদে সম্প্রদায়দের পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দলি উপজেলা পরিষদ

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিবচর পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, মাদবরেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চৌধুরী সুলতান মাহমুদ, মাদবরেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার, মাদবরেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ. হালীম রাঢ়ি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মুন্সী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান খানসহ অন্যান্যরা।

বেদে সম্প্রদায়ের সর্দার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ আমরা অনেক খুশি। উপজেলা প্রশাসন আমাদের দিকে তাকিয়েছে। ১৫ দিন ধরে আমরা কর্মহীন। এ খাবার আমাদের অনেক উপকার করবে।’

এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিবচরে অসহায়, দুস্থ প্রতিবন্ধী, বেদে সম্প্রদায় সবাই আমাদের খাদ্য সহায়তার অংশ। সহায়তা কার্যক্রম চলছে। আজ আমরা এখানে ৫৫টি পরিবারে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে আরও পরিবার ও খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।’