টেকসই যোগাযোগ রক্ষায় নদীর বিকল্প নাই: নসরুল হামিদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশে নদীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম টেকসই যোগাযোগের জন্য আমাদের নদী রক্ষার কোনো বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে, আলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকার সহযোগিতায়, "নদীর ঐতিহ্য: পুরান ঢাকা থেকে শেখা" প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা গড়ে উঠেছে বুড়িগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে। তাই ঢাকার ইতিহাস, ঐহিত্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে বুড়িগঙ্গা নদীর বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এই প্রদর্শনীটি পুরান ঢাকার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্য উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে "রিভার হেরিটেজ" এর তৃতীয় অধ্যায়ের প্রকল্প। এই প্রদর্শনীতে মুম্বাই, ত্রিবান্দ্রম, প্যারিস এবং ঢাকার স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক কাজ প্রদর্শিত হবে।

ফ্রান্সের বিশিষ্ট স্থপতি ক্লাউদিও সেকি এবং ভারতের বিখ্যাত স্থাপত্য পরামর্শক কমলিকা বোসের নেতৃত্বে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যেখানে ৪৯ জন স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থী গত ৪ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে একটি গবেষণামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। প্রদর্শনীটি সৃজনশীল কাজের প্রদর্শনের চেয়ে বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পুরান ঢাকার ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি আখ্যান, যা তরুণ স্থপতিদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী মানুষ ও তাদের ঐতিহ্য তুলে ধরেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকার ডিরেক্টর, ফ্রান্সের ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট গেল, রোমানিয়ার পার্ফমিস্ট আর্স্টিস্ট রোমানা, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই. মামুন, জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু।

ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্থাপত্য অন্বেষণের মিশ্রণে আয়োজিত প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।

   

উৎসবে কেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়?



ড. মাহফুজ পারভেজ
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঠের ক্রিকেট রোমাঞ্চকর ভঙ্গিতে চলছে হাট-বাজারে। আলু হাফ সেঞ্চুরি করেছে আগেই। কিছু কিছু সবজি সেঞ্চুরি করেছে। ডিম দেড় সেঞ্চুরি আর মরিচ ডাবল সেঞ্চুরি। মাছ-মাংসের দাপটে স্কোর বোর্ড লাফিয়ে চলেছে। অন্যদিকে, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ ‘ক্লিন বোল্ড আডট’ হচ্ছে সাধারণ নাগরিকগণ।

সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্য কিছুদিন পর পরই বেড়ে চলছে। একবার বাড়লে সেটা আর কমছে না। বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাই যেন কর্তৃপক্ষের নেই। বলা হয়, সিন্ডিকেটের হাতের মুঠো বন্দি বাজারের কর্তৃত্ব। সবাই যেন তাদের হাতে অসহায় ও জিম্মি।

বিশেষ করে, উৎসব উপলক্ষ্যে মূল্যবৃদ্ধি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। রোজার আগে আগে, ঈদের সময়ে, কোরবানির সময়ে দাম বাড়ানো যেন দস্তুর। সব ধরনের পণ্যে কমবেশি দাম বাড়লেও কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধির মতো ঘটনাও ঘটে। যেমন, রোজার আগে পেয়াজ আর কোরবানির আগে মশলা মাত্রাছাড়া দামে কিনতে বাধ্য হয় সাধারণ মানুষ। মনে হয়, এই অনাচার, অত্যাচার, জুলুম ও বাড়াবাড়ির কবল থেকে আম-জনতার নিস্তার নেই।

বাজারের এই বেলাগাম অবস্থা কেন? বিশেষত, উৎসবের সময়ে জনতার পকেট-কাটার আয়োজন কেন থামানো যাচ্ছে না? এই অব্যবস্থা সম্পর্কে কে বা কারা উত্তর দেবেন? প্রতিকারের ব্যবস্থা করবে কে?

এমন নয় যে, দ্রব্যমূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পায় এবং হঠাৎ কমে যায়। মাঝে মাঝে এমন হলে মানুষ সেটা সামালও দিতে পারে। কিন্তু যখন দ্রব্যমূল্য প্রতিদিনই বাড়ে, বাড়লে আর কমে না এবং উৎসবের উপলক্ষ্যে আকাশচুম্বী হয়, তখন নির্দিষ্ট আয়ের সাধারণ মানুষ সেটা সামলাবেন কেমন করে? শুধু দ্রব্যমূল্যই নয়, বাড়িভাড়া থেকে ইউটিলিটি বিল সব কিছুই যখন বাড়ে, তখন সে ধকল মোকাবিলা করতে পারে না সীমিত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষজন। এমনকি, বাজেটের সময় মানুষ আতঙ্কে থাকে দাম বাড়ার ভয়ে।

এসব কারণেই কিছু সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, অনেক মধ্যবিত্তের মানুষ নিম্ন আয়ের কাতারে নেমে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকেই নিরুপায় হয়ে পরিবার-পরিজন-সন্তানদের গ্রামে রেখে আসতেও বাধ্য হচ্ছেন। কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় ও আনুসাঙ্গিক খরচ যে হারে বাড়ছে, বেতন ও আয় সে হারে বাড়ছে না। ফলে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের বিন্যাস ভেঙে যাচ্ছে। অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেকে ঘুষ, দুর্নীতি, অপরাধ, অপকর্মের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছেন।

এভাবেই আর্থিক সমস্যার কারণে শুধু অর্থনীতিতেই নয়, সামাজিক সমস্যার বিস্তারও ঘটছে। যার কুফল বহুমাত্রিক ও ভয়াবহ। অনেক সময় আর্থিক ও সামাজিক অবক্ষয় ও ধস এতোটাই প্রবল আর মারাত্মক হয় যে, রাজনীতি সেটা সামাল দিতে পারে না। এমনকি, রাজনৈতিক অর্জনও তলিয়ে যায় অর্থনীতিক চাপ ও সামাজিক স্থিতিহীনতার অভাবে। অতএব, বাজার ব্যবস্থা তথা মানুষের আর্থিক ও সামাজিক জীবনকে স্থিতিশীল রাখা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের সামনে এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে এড়িয়ে গিয়ে নয়, মোকাবিলা ও নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে দমন করাই রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আর এতেই নিহিত রয়েছে তাদের সাফল্য।

কাগজেকলমে বাজার ব্যবস্থা ও পণ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে দায়িত্ব পালনের জন্য নানা রকমের সংস্থা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা আছে। সেসব বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সজাগ হলে পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ হতো না এবং সব কিছুর জন্য রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষকে উত্তর দিতে হতো না। প্রতিটি পর্যায়ে জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত হলে সকল প্রশ্ন মন্ত্রীর সামনে উত্থাপিত হওয়ারও সুযোগ হ্রাস পেতো।

সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা না থাকায় দফায় দফায় কেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়, তার সঠিক কারণ ও সদুত্তর কেউ দিতে পারে না। বিশেষত নানা উৎসবের আবহে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় না। বছর বছর রোজা, ঈদে দাম বাড়লেও এহেন মূল্যবৃদ্ধির কারণ চিহ্নিত হয় না। অথচ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে এবং সরকারের নানা সংস্থায় গবেষণার ব্যবস্থা আছে। তাদের পক্ষ থেকে এজন্য উপযুক্ত কারণগুলোকে চিহ্নিত করে উপস্থাপনও করা হয় না। হলে সবাই তা জানতে পারতো এবং সেসব কারণগুলোকে সমাধানের পথে এগিয়েও নিয়ে যেতে পারতো।

বাস্তবে তেমনটি হচ্ছে না। দাম বাড়লে হৈচৈ ও কিছু চিৎকার হয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। একটি দুটি কারণকে সমাধানে এনে বিশেষ উপলক্ষ্যে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির প্রবণতাও ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অত্যাচার সহ্য করেই মানুষ আর্থিক ও সামাজিক জীবনে পিছিয়ে পড়ছে। যার চাপ এক পর্যায়ে প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের জন্য বিরাট ঝুঁকির কারণ হচ্ছে।

‘বারো মাসের তের পার্বণের দেশ বাংলাদেশ‘ সম্পর্কে পৌরনীতি ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বইগুলোতে যে বিহ্বলতা ও আবেগ লিপিবদ্ধ রয়েছে, বাস্তবে সেটা আংশিক সত্যে পরিণত হচ্ছে দিনে দিনে। প্রকৃত সত্য উদ্ধৃত করতে ‘পার্বণে উৎসবে বাংলাদেশে দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ঘটনা‘ মর্মে বাক্যটিও জুড়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে চলে আসবে আর্থিক, সামাজিক বিপর্যয় ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথাও। এসব প্রসঙ্গ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্রকে ম্লান করবে, যা মোটেও কাম্য নয়। ফলে উৎসবে কেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় সেটা খতিয়ে দেখে সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়াই সংশ্লিষ্টদের জরুরি কর্তব্য।

লেখক: অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম; চেয়ারম্যান ও প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।

;

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচের শীর্ষে ভারত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য কিনে ৫০৭ কোটি টাকা খরচ করেছেন। যা মার্চের তুলনায় এপ্রিলে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি। মার্চে খরচ করেছিল ৫০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে থেকে এতথ্য জানা যায়।

তবে, এপ্রিল মাসে বিদেশিরা বাংলাদেশে ২০০ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন ক্রেডিট কার্ডে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড ও আরব আমিরাত। বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচের ৫০ শতাংশই এই চার দেশে হয়ে থাকে।

বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ভারতে। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতিবেশী দেশটিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ভারতে খরচের এ অঙ্ক মার্চে ছিল ১০৬ কোটি টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশিরা ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছে, যা মোট খরচের ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ; থাইল্যান্ড গিয়ে ৪৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং আরব আমিরাতে খরচ হয়েছে ৪০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সৌদি আরবে ৩৭ কোটি, সিঙ্গাপুরে ৩৫ কোটি ৭০ লাখ, যুক্তরাজ্যে ৩১ কোটি ৮০ লাখ এবং কানাডায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা কার্ডে খরচ করেছেন বাংলাদেশিরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে গিয়ে প্রতি বছর ১২ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে পারেন। এ অর্থ কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারেন, আবার বিদেশে যাওয়ার সময় নগদ ডলারও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। তবে কার্ডের মাধ্যমে ডলার পেমেন্ট করতে গেলে একবারে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করার সুযোগ রয়েছে।

;

ঈদুল আজহার পশুর হাট

‘শোরুমের একদাম, ১১ মণ দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা’



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা২৪, রুস্তম-এর দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা

ছবি: বার্তা২৪, রুস্তম-এর দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মেরাদিয়া পশুর হাটে প্রবেশ করতেই দেখা মিললো সাদা-লালের সংমিশ্রণে ডোরাকাটা মাঝারি দেহের ‘রুস্তম’।

‘বড় গরু না হলে মালিকের শোরুমের একদাম ১১ মণ দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা’র হাঁকডাকে ক্রেতাদের ভিড় এখানে।

‘রুস্তম’ রোজ সকালে নিয়ম করে সাইলেজ, দুপুরে নেপিয়ার ঘাস, বিকেলে খেজুর, রাতে কলা খায়। রুস্তমের আরেকটি বড় সৌখিন স্বভাব রয়েছে। তিন বেলা সে ঘুমায়। ঘুম ভাঙলে তাকে দিতে হয়, গমের ভাঙানো ভূষি দিয়ে কুসুম-গরম পানি।

মেরাদিয়া হাটের এই রুস্তম এসেছে নাটোর জেলা থেকে। কৃষক কালাম মিয়া তিনবছর লালন-পালন করে রুস্তমকে নিয়ে এসেছেন এবারের পশু কোরবানির হাটে।

কালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রস জাতের গরুটির বয়স তিন বছর। লালন-পালনের পর গরুটির ওজন এখন ১১ মণ। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার দিয়েছি। হাটে আনার আগে ওজন মেশিনে পরিমাপ করে দেখেছি, এর ওজন প্রায় ৪শ ৫০ কেজি।

রুস্তমের খাবারের সৌখিন স্বভাব নিয়ে কালাম মিয়া বলেন, রুস্তমকে সকালে দানাদার খাবার সাইলেজ দিতে হয় ২ কেজি ও দুপুরে নেপিয়ার কাঁচাঘাস, বিকেলে নিয়ম করে দুটো খেজুর খাওয়াতে হয়। সেইসঙ্গে রোজ রুস্তমকে গমের ভূষি, খেসারি, জব, ধানের কুড়া খাওয়ানো হয়। দেখতে গম্ভীর হলেও স্বভাবে বেশ শান্ত রুস্তম।

মেরাদিয়ার গরুর হাট, ছবি- বার্তা২৪.কম

রুস্তমকে একদামে কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কালাম মিয়া বলেন, রুস্তম আমার অনেক শখের গরু আর বড় করার ইচ্ছেও ছিল। হঠাৎ করে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় টাকার প্রয়োজনে রুস্তমকে বিক্রি করতে হচ্ছে। শখের গরুকে কেউ যাতে দামাদামি করে ছোট করতে না পারে, সে কারণে শোরুমের মতো একদাম বলে দিয়েছি।

মেরাদিয়া হাটে মহাখালী থেকে আসা ক্রেতা নূর উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, গরুটি পছন্দ হয়েছে। দাম একটু বেশি। একদামে কী আর গরু বিক্রি হয়! তাই আরেকটু দেখবো।

এদিকে, হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাটে সব ধরনের পশুর সরবরাহ বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ নিয়ে হাটে নিয়ে এসেছেন। এখনো ঈদের ছুটি হয়নি; তাই হাটগুলোতে এখনো বেচাবিক্রি তেমন একটা শুরু হয়নি। ব্যবসায়ীদের আশা, শুক্রবার থেকে হাটে বেচাবিক্রি বাড়বে।

;

‘প্রস্তাবিত বাজেটে ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘প্রস্তাবিত বাজেটে ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে’

‘প্রস্তাবিত বাজেটে ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে’

  • Font increase
  • Font Decrease

ভবিষ্যতের যানবাহন হচ্ছে ইলেক্ট্রিক যানবাহন (ইভি)। প্রস্তাবিত বাজেটে (২০২৪-২৫) ইভির ক্ষেত্রে কোন সহায়তা দেখিনি। বিনিয়োগের শর্তে যদি ডিউটি সুবিধা দেওয়া যায় তাহলে বিকাশ সম্ভব, না হলে এই খাতের বিকাশ কঠিন।

বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ অটোমোবাইলস এসেম্বলার্স এন্ড ম্যানুফ্যাকক্সারার্স এসোসিয়েশন (বামা) নেতৃবৃন্দ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস এসেম্বলার্স এন্ড ম্যানুফ্যাকক্সারার্স এসোসিয়েশন (বামা) প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে সরকার ভালোভাবে বাজেট দিয়েছে, আমরা মনে করেছিলাম সব জায়গায় ডিউটি আরোপ হবে তেমনটি হয়নি। তবে বাজেটে অনেক আশা ছিল, কিছু সাপোর্ট পাবো, কিছু সাপোর্ট পেয়েছি সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে অন্য ক্ষেত্রে সেভাবে পাওয়া যায়নি। ইভিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। চীন পনের বছর ধরে সহায়তা দিয়েছে, ভারত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশেও সহায়তা প্রয়োজন, না হলে এই খাতটি বিকশিত হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে খরচ হয়েছিল ২ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা, আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। সরকার যদি বহুচাকার ট্রাকে ছাড় দেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। সারাবিশ্বে বহুচাকার ট্রাকের উপর ছাড় দেওয়া হয়। রোড, ব্রীজ ও ফেরীর টোল কমিয়ে আনা উচিত। তাহলে বড়গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেলে সড়কের ক্ষতি কমে আসবে।

তিনি বলেন, আমরা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে খুবই বিব্রত, সরকারও বিব্রত। আমরা যে চ্যাসিস দেই, সবাই বডি বানায়। আমার মনে হয় বডি বানানোর ক্ষেত্রে নীতিমালা থাকা উচিত। সরকার অনুমোদিত ছাড়া কেউ বডি বানাতে পারবে না, সরকারের রেগুলেশন করা দরকার। টায়ারের ডিউটি বেশি অনেকে টায়ার নির্ধারিত সময়ে বদলাচ্ছে না। এতে দুর্ঘটনার হার বাড়ছে। চাকার ডিউটি শূন্য না হলেও অর্ধেকে নামিয়ে আনা উচিত।

রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, অতীতে যে প্রোনোদনা দিয়েছে, তার ভিত্তিতে টু হুইলার শিল্পে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ইভির ক্ষেত্রে সারাবিশ্বে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও সহায়তা দেওয়া জরুরি।

ইজিবাইক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজুর রহমান খান বলেন, টেকনিক্যাল বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত আসবে। এটাকে কিছুটা আধুনিকায়ন করে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

আকিজ মটরস এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ আমিন উদ্দিন বলেন, সবার আগে হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্য। আজকে ঢাকার অবস্থা কি, আমাদের গর্ভবতী মায়েদের কি অবস্থা এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিতে হবে। ইভি পরিবেশ বান্ধব যানবাহন সারাবিশ্বে এর ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশে সহায়তা দেওয়া না হলে পিছিয়ে পড়বে এই খাত। আমরা চাই কমপ্লিট ইভি নীতিমালা।

বিভাটেক এন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান পরাগ, ইফাদ গ্রুপের পরিচালক আবির বকশীসহ অনেক উদ্যোক্তা এতে অংশ নেন। তারা সরকারের কাছে বাজেট রিভিউ করার দাবি জানান।

;