ব্যাটারি ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের, কাজ তো চলবেই



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যাটারি ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের, কাজ তো চলবেই

ব্যাটারি ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের, কাজ তো চলবেই

  • Font increase
  • Font Decrease

কেমন হতে পারে শক্তিশালী ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি চালিত স্মার্টফোনের অনন্য স্বাধীনতার অভিজ্ঞতা! হরহামেশা চার্জার নিয়ে টানাটানির দরকার নেই, নেই বৈদ্যুতিক আউটলেটের লাগাতার সন্ধান। দিনভর দুনির্বার গতি ও চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে প্রিয় স্মার্টফোনটি।

ভাবুন তো, কেমন হয় যদি প্রিয় শো বা মুভি স্ট্রিম করতে পারেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিংবা ব্যাটারির চার্জ ফুরানোর চিন্তা ছাড়াই লাগাতার গেমিংয়ের অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে পারেন। এ সবই সম্ভব স্মার্টফোনে যদি থাকে একটি শক্তিশালী পাওয়ার ব‌্যাকআপ।

৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করে পেতে পারেন সারাদিন কানেক্টেড ও প্রোডাক্টিভ থাকার সক্ষমতা। এ স্মার্টফোনে লেখাপড়া বা কাজ সংক্রান্ত ইমেইল, ব্যাক-টু-ব্যাক কনফারেন্স কল বা সারাদিনের ইন্টারনেট নির্ভর যোগাযোগ হবে দ্রত ও নির্বি‌ঘ্নে। প্রয়োজনে ও বিনোদনে স্মার্টফোনটি দেবে সেরা পারফরম্যান্স।

স্মৃতিকে মুঠোবন্দি করতে ভালোবাসেন? ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন ইচ্ছেম‌তো ছবি তোলার স্বাধীনতা। বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সেরা সব মুহূর্ত কিংবা ক্লাসের লেকচার যত খুশি ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। অ্যাডভ‌্যাঞ্চার প্রিয় তরুণ প্রজন্মের জন্য হতে পারে ভ্রমণের সেরা সঙ্গী শক্তিশালী এই স্মার্টফোন, যা দীর্ঘতম ভ্রমণে দেবে নির্ভরযোগ্য জিপিএস ও বাধাহীন নেভিগেশন।

এমনকি জরুরি পরিস্থি‌তি‌তে স্মার্টফোনটি পাশে থাকবে নির্ভরযোগ্য বন্ধুর মতো। কারণ বিপদে-দুর্যোগে প্রিয়জনের সাথে কানেক্টেড রাখতে ও প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অ্যাক্সেস দিতে স্মার্টফোনের ব্যাটারি পাওয়ারই মূল ভরসা।

এছাড়া একবার চার্জ দিয়ে সারাদিন তুমুল ব্যবহারের পরও ব্যাটারির চার্জ ফুরাবে না, এমন স্মার্টফোন চান সবাই। বারবার চার্জ দরকার না হওয়া মানেই স্মার্টফোনের ব্যাটারি কম ব্যবহার হওয়া, যা ব্যাটারি হেলথ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। আর স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ব্যাটারি হেলথই নিশ্চিত করে এর বাকি সব পারফরম্যান্স।

এমন এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্মার্টফোনকে নিজের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে পেতে প্রস্তুত হোন। কারণ শিগগিরই বাজারে আসছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির নতুন স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই২৮! সাথে থাকছে ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ, ৮ জিবি + ৮ জিবি এক্সটেন্ডেড র‌্যাম এবং ৪৮ মাস স্মুথ পারফরম্যান্স।

১০০ কূপ খনন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কূপ খনন প্রকল্প/ছবি: বার্তা২৪.কম

কূপ খনন প্রকল্প/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে ১০০ কূপ খনন প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন বলে বার্তা২৪কমকে নিশ্চিত করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার আগে থেকেই আমরা কাজগুলো এগিয়ে রেখেছিলাম। যাতে দ্রুত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) করা যায় সে বিষয়ে কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা সময় ও অর্থ সাশ্রয় করার জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ এড়াতে চাইছি। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে কাজগুলো করতে চাচ্ছি, যেখানে পেট্রোবাংলার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কনসালটেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া খুবই দীর্ঘ প্রক্রিয়া, আবার অনেক ব্যয়বহুল। কনসালটেন্টের মাধ্যমে যে কাজ ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে। একই কাজ আমরা নামমাত্র মূল্য ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় সম্পন্ন করতে পারবো। কনসালটেন্ট যে কাজ করতে কয়েকমাস সময় নেবে আমরা সেই কাজ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে পারবো।

পেট্রোবাংলার চেয়ার‌ম্যান বলেন, পেট্রোবাংলা কূপ খনন করবে সেই কূপে গ্যাস পাওয়া যেতে পারে আবার নাও পাওয়া যেতে পারে। যেখানে শতভাগ ফেল করার সম্ভাবনা থাকে সেখানে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত না। পেট্রোবাংলার কাজের ধরণ পুরোপুরি ভিন্ন বিধায় সেইভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত। তাহলেই দেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে গতি আসবে।

বর্তমানে ৪৮ কূপ খননের একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া ১০০ কূপ খনন প্রকল্প ২০২৬ সাল থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ হবে। এতে ২০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ৭ হাজার কোটি টাকা। সরকারের কাছে প্রত্যেক বছরে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা করে অর্থায়ন চাওয়া হয়েছে।

দেশে গ্যাস সংকটের জন্য অনুসন্ধান স্থবিরতাকেই দায়ী করে আসছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। পেট্রোবাংলার কয়েক দশকের ঢিলেমির কারণে সমালোচনায় মুখর ছিলেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই দিন এখন বদলে যেতে শুরু করেছে। পেট্রোবাংলার খোলনলচে বদলে দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। একদিকে যেমন গতিময় হয়েছে, অন্যদিকে নতুন মাত্রাও যুক্ত হয়েছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার

এতদিন তেল-গ্যাস অনুসন্ধান একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আটকে ছিল বাংলাদেশ। আরও ছোট করে বলতে গেলে সুরমা বেসিন তথা, সিলেট থেকে শুরু করে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী এবং ভোলার মধ্যে আটকে ছিল। অন্যান্য এলাকায় কিছু অনুসন্ধান কার্যক্রম হলেও তার পরিমাণ নগণ্য বলাই যায়। সেখানেও আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা।

বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে ১১২ বছরে অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে কমবেশি ৯৯টি। আর ৩ বছরে ৬৯টি কূপ খনন করতে চায় পেট্রোবাংলা। একে অনেকে উচ্চাভিলাষী মনে করলেও খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, একটি কূপে গ্যাস পাওয়া না গেলে হৈচৈ শুরু করলে চলবে না। ১০টির মধ্যে ৮টি ড্রাই হলে ফেলে আসবো তাহলে সম্ভব না। রাজস্থানে ইউনোকল টানা ১৩টি কূপ খনন করে ড্রাই পায়। এরপর কোম্পানির সদরদফতর বলেছিল আর কূপ খনন না করতে, কিন্তু জিওলজিস্ট অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চৌদ্দ নম্বর কূপ খনন করে ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় খনি আবিষ্কার করেছে।

পেট্রোবাংলার ১০০ কূপ খনন প্রকল্প সংক্রান্ত সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেছিলেন, ২৫টি কূপ খনন করে যদি ব্যর্থ হন, আর ছাব্বিশ নম্বর কূপে গিয়ে যদি গ্যাস পাওয়া যায়, তার দাম অনেক বেশি। খরচের কয়েকগুণ উঠে আসবে।

ওই অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেছিলেন, আমরা অন্ধকার যুগ থেকে বের করে এনেছি। কূপ ফেল করলে আমি চেয়ারম্যান দায় গ্রহণ করবো। কথা দিচ্ছি কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা কিংবা তদন্ত কমিটি হবে না। সাফল্য পেলে সবার আর ফেল করলে দায়িত্ব আমি মাথা পেতে নেবো।

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের এমন ঘোষণা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সাহসের সঞ্চার করেছে। যে কারণে বাস্তবিক অর্থেই গতিতে ফিরেছে পেট্রোবাংলায়।

;

দেশের নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডলার/ছবি: সংগৃহীত

ডলার/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা জুন মাসের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব কেবলমাত্র আইএমএফকে সরবরাহ করা হয় এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না।

ঋণ সহায়তা পাওয়ার পর রিজার্ভ বেড়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

;

বেনাপোল কাস্টমসে ১২ বছর পর রাজস্ব আয়ে রেকর্ড- ৬১৬৪ কোটি টাকা



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আয় বেনাপোল বন্দরে

ছবি: বার্তা২৪, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আয় বেনাপোল বন্দরে

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ১২ বছর পর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার পর তা রেকর্ড ছুঁয়েছে, বেনাপোল কাস্টমস হাউস। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমদানি পণ্য থেকে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৫ হাজার ৯শ ৪৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১শ ৬৫ কোটি টাকা।

এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২শ ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বেশি আর শতকরা প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। 

এসময় এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭শ ৮০ মেট্রিক টন পণ্য।

বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে এ অর্জন পদ্মাসেতুতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমস বন্দরের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বন্দরে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসংশিষ্টরা।

১৩ স্থলবন্দরের মধ্যে বেশি রাজস্ব আয় হয় বেনাপোলে
রাজস্ব আয়ের দিক থেকে চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরের পর বেনাপোল স্থলবন্দরের অবস্থান। দেশের চলমান ১৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় আর রাজস্ব আসে বেনাপোল বন্দর থেকে।

তবে আরো বেশি বাণিজ্যের চাহিদা থাকলেও সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা আর অবকাঠামোগত নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারতেন না আমদানিকারকেরা। এতে গত ১২ বছর ধরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছিলেন না কাস্টমস হাউস, বেনাপোল।

অবশেষে, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি অবকাঠামো উন্নয়ন করে বেনাপোল বন্দরে আর সেইসঙ্গে পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় অন্য বন্দর ব্যবহারকারীরাও আমদানি শুরু করেন বেনাপোল দিয়ে। এর সুফল পেলো এ যাবত কালের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ে রেকর্ড গড়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউস।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭শ ৮০ মেট্রিক টন পণ্য, ছবি- বার্তা২৪.কম


যেসব পণ্যে রাজস্ব আয় বেশি

বিদায়ী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে, ফেব্রিকস, পচনশীল দ্রব্য, ইংগড, ট্রাক চেচিস, মোটরপার্টস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঁচামাল থেকে আর সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল আমদানিকারক পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বিডি, এসএমসিএল নিলয়এসএম করপোরেশন

আমদানিকারক আব্দুস সামাদ জানান, ৫ ঘণ্টায় এখন সহজে বেনাপোল থেকে পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে। পদ্মাসেতু চালুর আগে ফেরিতে যানজট ও ঘন কুয়াশার কারণে দুইদিন পর্যন্ত সময় লাগতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যারা অন্য বন্দর ব্যবহার করতেন তারা এখন বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করছেন। এটাও রাজস্ব বৃদ্ধির বড় একটা কারণ।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, এ বছরের শেষের দিকে বেনাপোল বন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হবে। এতে ব্যাপক সুবিধা সৃষ্টি হবে বন্দরে। তখন এপথে রাজস্ব আয় আরো বাড়বে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল জানান, পদ্মাসেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে গত বছর সক্রিয় ছিল কাস্টমস।

তিনি বলেন, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে ব্যবসায়ীরা বেনাপোল বন্দর বেশি ব্যবহার করেছেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমসের পাশাপাশি বন্দরেরও ভূমিকা রয়েছে। তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, বন্দরে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু, অবকাঠামো উন্নয়ন ও পণ্যের ওজন স্কেলের সঠিক পরিমাপের কারণে রাজস্ব আয়ে এবার রেকর্ড গড়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা সুলতানা জানান, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান কাস্টমস কমিশনারের সঠিক দিকনির্দেশনা ও কাজের স্বচ্ছতার কারণে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা এ বছর ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছিল ৫ হাজার ৭শ ৮৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরে ঘাটতি দেখা দেয় ১ হাজার ৪শ ৫০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩শ ৯২ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ১শ ৪৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১শ ৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা আবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ২শ ৩ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১শ ৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৪শ ৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১শ ৯৪ কোটি টাকা।

;

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিল্পের উন্নয়নে নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিল্পের বিকাশ, উন্নয়ন এবং রফতানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তা চান এই খাতের ব্যবসায়ীরা। দেশে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরির উপকরণ ও কাঁচামাল সহজলভ্য করা, বিলুপ্ত প্রায় ঔষধী গাছ সংরক্ষণ এবং ভেষজ বনায়ন গড়ে তোলা, হার্বাল পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পণ্য উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণসহ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ হার্বাল প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচারক এবং ইউনিভার্সেল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়্যারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক খাতের বাণিজ্যিক এবং রফতানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এফবিসিসিআই নীতিগত সহায়তা প্রদান করবে। খাতের প্রতিবন্ধকতা সমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি। এ জন্য, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

এ সময় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, হার্বাল ঔষধ, খাদ্যদ্রব্য এবং কসমেটিকস শিল্পে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ রয়েছে। সারাবিশ্বেই হার্বাল এবং হালাল পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই বাজার ধরতে হলে উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি ও গবেষণায় বিনিয়োগে মনযোগী হতে হবে। এ সময়, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে সকল অংশীজনকে সাথে নিয়ে দ্রুত একটি কৌশলপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন মো. আমিন হেলালী।

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিল্পের মেডিক্যাল রেকর্ড এবং ডেটা কালেকশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ প্রীতি চক্রবর্তী। হার্বাল পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণেও এই খাতের উদ্যোক্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আয়ুর্বেদিক শিল্পের অবকাঠামো, হিমাগার ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে ঔষধী বনায়ন গড়ে তোলার ওপর আলোকপাত করেন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আলমগীর মতি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।

;