সদ্ব্যবহার হচ্ছে না বাপেক্সের রিগগুলোর



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্যাস সংকট মোকাবেলায় চড়া মূল্যে এলএনজি আমদানি করায় দাম বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়েছে- জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলা এই বক্তব্য হরহামেশাই দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা একে মনুষ্যসৃষ্ট ও কৃত্রিম সংকট বলে মন্তব্য করেছেন।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেছেন, বর্তমানে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট যুক্ত হবে। আমরা যদি বর্তমান দরে গ্যাস বিক্রি করি তাহলে বছরে সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।

তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি যথা সময়ে তেল-গ্যাস অনুসন্ধ্যান জোরদার করা যেত তাহলে এমন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতো না। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানিকে (বাপেক্স) অকার‌্যকর করে রাখাকে দায়ী করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাস্তবিক অর্থেই বাপেক্সের কার্যক্রম মন্থর গতিতে চলছে। বহু হাকডাক করে কেনা হয় অত্যাধুনিক অনুসন্ধ্যান রিগ বিজয়-১০। দুই হাজার হর্স পাওয়ারের এই রিগটি দেশে আনার পর থেকে সেভাবে কাজে লাগানো যায়নি, বলতে গেলে কাজে লাগানো হয়নি। রিগটি বাঙ্গুরা-৭ কূপ খনন কাজ শেষ করে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর পুরো ২০১৭ সাল ও ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৫ মাস অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে।

এরপর মার্চে নেওয়া হয় সালদা নদীতে। সেখানে কূপ খননের কাজ শেষ হয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে বসে রয়েছে অত্যাধুনিক রিগটি। অথচ সঙ্গে সঙ্গে নেওয়ার কথা ছিলো শ্রীকাইলে।

গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের ১৯৭ কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয় বিজয়-১২ অনুসন্ধ্যান রিগটি। এক হাজার ৫০০ হর্স পাওয়ারের এই রিগটি দেশে আনা হয় ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে। প্রথমে নেওয়া হয় পাবনার মোবারকপুরে। সেখানে মাত্র একটি কূপ খনন করেছে। এরপর দীর্ঘদিন বসে থাকার পর ২০১৮ সালের মার্চে নেওয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ করে বসে আছে। এরপর কোথায় নেওয়া হবে তার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

রিগটি দেশে আসার পর অতিবাহীত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার বছর। একটি অনুসন্ধান কূপ খননে আদর্শ সময় ধরা হয় গড়ে ছয় মাস (রিগ পরিবহন ২০ দিন, সেটিং ২০ দিন, নামানো ১০দিন ও খনন ৯০ দিন)। সেই হিসেবে সাড়ে চার বছরে রিগটি দিয়ে ৯টি কূপ খনন করার সুযোগ ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মাত্র দুইটি কূপ খনন করেই ঢেকুর তুলছে পেট্রোবাংলা।

এখানেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করছে বাপেক্স কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে ডিপিপি পাঠালেও অনেক সময় নেওয়া হয় অনুমোদনে। আবার এমনও নজীর রয়েছে কূপ খননের জন্য ৫৫ কোটি টাকার ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদন হয়েছে। যে পেট্রোবাংলা অনুমোদন করে সেই কাজটি তারাই বাতিল করে ২০০ কোটি টাকা দরে বিদেশি কোম্পানিকে দিয়েছে।

অন্য চারটি রিগের একই অবস্থা। যথাযথভাবে ব্যব্হৃত হয়নি কোনোটাই। অথচ এই রিগগুলো ব্যবহার করে আরও বেশি অনুসন্ধ্যান করা সম্ভব। আর তাতে হয়তো দেশীয় গ্যাসের রিজার্ভ বাড়তো- এমনটাই মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি নীতিমালায় বছরে চারটি অনুসন্ধ্যান কূপ খনন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তার ধারের কাছেও নেই বাপেক্স। অনুসন্ধান যথাযথ না হওয়ায় সেই হারে বাড়েনি দেশের রিজার্ভ।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, `বাপেক্সকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা চলছে। বাপেক্সের পরিকল্পনা গ্রহণ করার কোনো সক্ষমতা নেই। বাপেক্সের বোর্ড চেয়ারম্যান সচিব। ওনারা মন্ত্রণালয়ে বসে যে সিদ্ধান্ত দেন, সেটাই বাস্তবায়িত হয়।’

তিনি বলেন, ‘বাপেক্সকে আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি গড়তে বলেছিলাম। স্থলভাগে তারা এককভাবে কাজ করবে ভবিষ্যতে যাতে গভীর সমুদ্রেও কাজ করতে পারে। এর স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য ছিল যাতে গ্যাস উৎপাদনে দেশীয় কোম্পানির শেয়ার বেড়ে যায়। গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কিন্তু এখন বাপেক্সের গ্যাসক্ষেত্রে কাজ দেওয়া হচ্ছে বিদেশি কোম্পানিকে। এটাকে আমি অপরাধ বলে গণ্য করি।’

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোঃ আব্দুল হান্নান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা ২০২৩, ২০৩০ ও ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্লান করেছি। ভবিষ্যতে এভাবে রিগ বসে থাকার সুযোগ কমে যাবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১৩টি কূপ খনন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

জ্বালানি নীতিমালায় বছরে মোট চারটি কূপ খনন করার কথা বলা হয়েছে। ১১ বছরে ৪৪টি কূপ খনন করার কথা। এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হান্নান বলেন, ‘সম্ভাব্যতার প্রাক যাচাই ছাড়া কূপ খনন করলে ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। সেই কারণে একটু হলেও নিশ্চিত হয়ে অগ্রসর হতে হবে। এ জন্য টু-ডি ও ত্রি-ডি সার্ভে কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।’

   

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারের ব্যবহার বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সফটওয়্যার বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ।

দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিস্তৃতি সত্বেও লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। সাইবার ঝুঁকি এড়াতে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এখন জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর তরুণ সাওনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার তথ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। যার ফলে সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ, তথ্য চুরি ও ম্যালওয়্যার আক্রমণের শঙ্কা বেড়ে যায়। এসব ঘটনা গ্রাহক, অংশীদার ও সহযোগীদের বিশ্বাস ও আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়া এটি যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য আইনী ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি ‍সুনাম ক্ষুণ্নের কারণও হতে পারে। আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন, যার ফলে যে কোন সংস্থা বা সংগঠন মামলা, জরিমানা অথবা আইনি জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে তাদের কোম্পানিগুলোয় সফটওয়্যার সক্রিয়ভাবে পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে। অনেক কোম্পানিই তাদের ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনায় লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন, বিশেষ করে নির্মাণ এবং অবকাঠামোর উন্নয়নের সাথে যুক্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশের সিইওদের দায়িত্ব হল তাদের কোম্পানিগুলো নিরাপদ, সুরক্ষিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে আইন মেনে চলছে কি না তা নিশ্চিত করা।”

বিএসএ-এর তথ্যে উঠে এসেছে যে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের অনেক কোম্পানিই লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, যার মধ্যে আছে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, খুচরা ও বড় ব্যবসা, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংকিং, আর্থিক পরিষেবা এবং স্থাপত্য ও প্রকৌশলসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সামনে উঠে আসে যখন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডেটা সেন্টার স্টোরেজ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, ফায়ারওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং আপডেট ইনস্টল করতে না পারার মতো একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এই সমস্যাগুলো তৈরি হওয়ার জন্য বাইরের বিভিন্ন উৎস থেকে সরবরাহকৃত লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহারকে দায়ী করা হয়েছিল যা মূলত আইন মেনে না চলার পরিনতিকেই নির্দেশ করে।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর বলেন, “লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষতি শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর কারণে মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয় এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনও বাধাগ্রস্ত হয়। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সফটওয়্যার সংক্রান্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ব্যবসা মালিক, শেয়ারহোল্ডার এবং সি-স্যুট এক্সিকিউটিভদের জন্য এটা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে যে তাদের কর্মীরা লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কিনা এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছেন কিনা সে বিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

বিএসএ বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ে ব্যবহৃত বৃহৎ ভলিউমের সফটওয়্যারগুলো যাতে বৈধভাবে ব্যবহার করা হয় তার জন্য বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মতো সরকারি সংস্থার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

তরুণ সাওনি বলেন, "সাইবার আক্রমণ থেকে সমগ্র বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন কি না তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।”

বাংলাদেশের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো তুলে ধরে বলেন, “লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সাইবার হুমকির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধুমাত্র ঝুঁকি কমানোর জন্য নয় বরং একটি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত সাইবার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর/সংস্থাগুলোর উচিত বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়া।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার এই সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা নিয়মিতই ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোকে বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহার ও নিয়মিত লাইসেন্স নবায়ন করার পরামর্শ দিই৷ বিএসএ-এর মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা এই বিষয়ক সচেতনতা এবং বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এসব উদ্যোগ কার্যকরভাবে সাইবার নিরাপত্তার হুমকি কমাতে ভূমিকা রাখবে।”

বিএসএ তার সফটওয়্যার কমপ্লায়েন্স বাড়ানোর অঙ্গীকারে অবিচল। ২০১৯ সাল থেকে, সংস্থাটি প্রায় ১ মিলিয়ন পিসিতে বৈধ ও নিরাপদ সফটওয়্যার ইনস্টল করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে সহায়তার উদ্দেশ্যে ‘লিগ্যালাইজ অ্যান্ড প্রোটেক্ট’ নামের আঞ্চলিক প্রচারভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অবৈধ সফটওয়্যারের ব্যবহার এখনও চালু থাকায় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে সচেতন করতে এবং সফটওয়্যার কমপ্লায়েন্সের প্রচারে আঞ্চলিকভাবে এবং বিশ্বব্যাপী বিএসএ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

বিএসএ বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে ও আন্তর্জাতিক বাজারে সফটওয়্যার খাতকে তুলে ধরতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা হিসেবে পরিচিত দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ (www.bsa.org)। এর সদস্যদের মধ্যে আছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা যে কোন ধরণের ছোট-বড় ব্যবসার আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষে সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান তৈরি করে।

সংস্থাটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। ৩০টিরও বেশি দেশে বিএসএ’র কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিএসএ বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রচার এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও ডিজিটাল অর্থনীতির সমৃদ্ধির লক্ষে গৃহীত সরকারী নীতিমালা বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।

;

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’

শনিবার (১৮ মে) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে টেবিল টেনিস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই ইভেন্টের এককে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

একই ইভেন্টে দ্বৈতে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য।

ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবক’টি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও।

এছাড়াও প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;

ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। 

আগামীকাল রোববার (১৯ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১২ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। 

;

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস

  • Font increase
  • Font Decrease

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান অর্জনে ব্রত নিয়ে বাজারে আসলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস।

রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এই পণ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিলমুনের চেয়ারম্যান, এস আলম গ্রুপ ও একুশে টিভির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবু।

এসময় তিনি, গুণগত মান বজায় রেখে সিলমুন পাইপ প্লাস্টিক শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে জানান।

দেশে দিন দিন প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে ভবন নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে।

গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এবার বাজারে আসলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস।

'সঠিক পাইপে টেনশন ফ্রি লাইফে' এমন শ্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিলমুনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও জানান পণ্যের মান নিশ্চিতের কথা। দামও সাশ্রয়ীর কথাও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সিলমুনের, ডিলার, বিক্রয়কর্মী ও ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ২৬ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।

;