বড় সংকটে পুঁজিবাজার, স্থিতিশীলতায় দরকার আরও দু’টি আইসিবির



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তার‌ল্য ও আস্থা সংকটে দিশেহারা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর ভয় দূর করা। এবং দীর্ঘ মেয়াদে পুঁজিবাজারকে স্থতিশীল রাখতে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মতো আরও দু’টি প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা দরকার। এমনটাই মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, নানা কারণে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় থাকেন। আর তাতে বাজারে দরপতন লেগেই থাকে। এ দরপতন ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আইসিবি’র একার পক্ষে সম্ভব না। তাই সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ মার্কেট সার্পোট ফান্ডের জন্য আরও দু’টি প্রতিষ্ঠান খুবই জরুরি।

সম্প্রতি ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসিসোয়েশন (ডিবিএ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে এরকম একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। ডিএসইর এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং ডিএসইর শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ হাউজের সদস্যরাও।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, পুঁজিবাজারে এখন দু’টি সমস্যা রয়েছে। এর একটি হলো- বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা। আরেকটি হলো তারল্য সংকট।

এ দু’টি দূর করে শক্তিশালী স্থিতিশীল একটি পুঁজিবাজার গঠন করতে হলে প্রথমে দুর্বল কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আইপিওর নীতিমালা সংস্কার করতে হবে। প্রি আইপিওতে আসার আগে প্লেসমেন্ট শেয়ার কতটুকু থাকবে তা নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির বিষয়ে নতুন নীতিমালা তৈরি করতে হবে।

দ্বিতীয়ত বহুজাতিক ও সরকারি কোম্পানিসহ ভালো মৌলভিত্তি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। তাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়তে শুরু করবে।

অন্যদিকে তারল্য সংকট দূর করতে আইবিসির মত আরও দু’টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিনিয়োগ ব্যাংক গঠন করা। কারণ সেডেকন্ডারি মার্কেটে বড় বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় থাকলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও হতাশ হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেন। আর তাতে দরপতন লেগেই থাকে। এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ ব্যাংক দরকার।

ডিবিএর সভাপতি শাকিল রিজভী বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের খুবই অভাব রয়েছে। পলিসিগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় বিদেশি ও সরকারি ভালো ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসছে না।

আর এ সুযোগে দুর্বল ও খারাপ কোম্পানির একের পর এক তালিকাভুক্ত হচ্ছে। তালিকাভুক্তির কিছুদিন পর কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং প্লোসমেন্টধারীরা ফলে শেয়ারে দাম বাড়িয়ে বেশি দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার তুলনায় খারাপ কোম্পানি বাজারে বেশি আসছে। তাতে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট বৃদ্ধি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় রয়েছে। তারাও সাধারণ বিনিয়োগকারীর মতই আচরণ করছেন। ফলে নতুন করে বিনিয়োগ আসছে না। তারল্য সংকট চলছে।

তার কথার সঙ্গে একমত পোষণে করেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমান সংকট দূর করতে বাজারে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন নতুন ফান্ড। পাশাপাশি দরকার ভাল কোম্পানির তালিকাভুক্তি।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি পর‌্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এরপর থেকে অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৪১ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে বেশিরভাগ দিন দরপতন হয়েছে। তাতে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ মূলধন নেই হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

এর মধ্যে ডিএসই থেকে পুঁজি নেই হয়েছে ৭ হাজার ৯৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। সিএসই থেকে নেই হয়েছে ৭ হাজার ৯৮৯কোটি ২০ লাখ ২ হাজার টাকা। আর ডিএসইর সূচক কমেছে ৪৩৩ পয়েন্ট। লেনদেন হাজার কোটি টাকার গড় থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকায়।

   

আসন্ন ঈদকে ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছে পোশাকের ব্র্যান্ড শপগুলো



স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহা’র প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পোশাকের ব্র্যান্ড শপগুলো। ক্রেতারাও ইতোমধ্যে কেনাকাটা করতে শুরু করে দিয়েছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, বাহারি সাজসজ্জার শোরুমগুলোতে ক্রেতা দেখলে কাচের দরজা খুলে অভ্যর্থনা জানিয়ে ভেতরে ডাকছেন দোকানের কর্মীরা। ক্রেতারাও পছন্দের পোশাক কিনতে আসছেন শোরুমগুলোতে। তবে ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের কেনাকাটার তেমন একটা আগ্রহ এখনো দেখা যায়নি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা সমাগম না থাকলেও প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হতে পারে ঈদুল আজহার বেচাকেনা।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে পোশাকের ব্র্যান্ড শোরুমগুলো ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু শোরুমে ঈদের কাপড় কিনতে এসেছেন ক্রেতারা। ছেলেরা কিনছেন শার্ট, টিশার্ট ,পাঞ্জাবি, পায়জামা। মেয়েরা টপস, থ্রি-পিস, টু-পিস, শাড়িসহ নানা ড্রেস কিনছেন।

প্রথমতলায় বিশাল খালি জায়গায় মানুষের সমাগম লক্ষ করা গেলেও বেশির ভাগ শোরুমে চলছে নীরবতা। এদিকে, নিচতলায় ‘জেন্টেল পার্ক’ শোরুমসহ বেশ কয়েকটি শোরুমে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।

জান্নাতুল মাওয়া নামে এক ক্রেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, রোজার ঈদের সব কেনাকাটা হয়ে গেছে। সামনে ঈদ, তাই নতুন কালেকশন আসছে কি না, দেখতে এসেছি। যদিও একটা ড্রেস কিনেছি। তবে খুব একটা ইচ্ছা নেই এবার। ভালো কিছু পেলে তবেই কিনবো। না-পেলে কিনবো না আর।

মোরশেদ খন্দকার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আসলে কোরবানির ঈদে তেমন কেনাকাটা হয় না। এবার যেহেতু গরম বেশি, সেদিক বিবেচনায় কিছু গরম উপযোগী কাপড় কিনবো পরিবারের সদস্যদের জন্য।

এদিকে, ক্রেতাদের টানতে বেশ কয়েকটি শোরুমে দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট পণ্যে মূল্য ছাড়। ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় চলছে ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে।

‘জেন্টাল পার্ক-এর বিক্রয়কর্মী দিহান বলেন, ঈদ কালেকশন শুরু হয়ে গেছে। কোরবানির ঈদে তুলনামূলকভাবে বেচাকেনা কম হয়। তবে মূল্য ছাড় দেওয়ায় ক্রেতা সমাগম হচ্ছে।

‘জেন্টাল পার্ক’-এর বিপরীতে রয়েছে ‘ইয়োলো’ শোরুম। সেখানে ঢুকে দেখা যায়, ভিন্নচিত্র। সেখানে মূল্য ছাড় না থাকায় ক্রেতাদের আনাগোনা কম। এখানে পাঞ্জাবি ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৬ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। ঈদে বেশকিছু নতুন কালেকশন আনা হয়েছে বলে জানান তারা।

কোরবানি ঈদ উপলক্ষে তেমন একটা কেনাকাটা হয় না বলে জানান বিক্রেতারা। তবে গরম বেশ পড়ায় বিক্রির আশা করছেন তারা, ছবি- বার্তা২৪.কম
 

‘লুক অ্যন্ড লাইক’ শপের মাহফুজ বলেন, মাসের শেষ; তাই বিক্রি কম। তবে আগামী ১ তারিখ থেকে বিক্রি বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।

বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের দ্বিতীয়তলার ব্র্যান্ডশপ ‘লুবনান’। পাঞ্জাবির জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত এই শোরুমে ঈদকে ঘিরে বাহারি কালেকশন রাখা হয়েছে।

শোরুমটির ম্যানেজার রিয়াজ হোসেন জানান, সেখানে ২ হাজার ১শ থেকে শুরু করে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত নানা ধরনের দেশি-বিদেশি কাপড়ের পাঞ্জাবি রয়েছে। ক্রেতারাও বেশ পছন্দ করছেন তাদের ডিসপ্লেতে থাকা পাঞ্জাবিগুলো। আরো কয়েকদিন পর ঈদের বিক্রির চাপ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

‘লুবনান’-এ ছেলের সঙ্গে পাঞ্জাবি কিনতে আসা ফারহানা আফরোজ বলেন, ঈদের জন্য আগেভাগে এসেছি। পরে ভিড় হয়ে যায়; সাইজ, কালার পাওয়া যায় না ঠিকমতো।

সব মিলে পুরোদমে ব্র্যান্ডের শপগুলোতে কেনাকাটা শুরু না হলেও ব্যবসায়ীরা ভালো বিক্রির আশাবাদী।

;

ছুটির দিনে বেচাকেনায় জমজমাট এসএমই মেলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ছুটির দিনে জমে উঠেছে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা ২০২৪।

শুক্রবার (২৪ মে) মেলা ঘুরে দেখা যায়, পোষাক থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী রুচিশীল হস্ত ও কুটির শিল্পের বিভিন্ন ধরনের পণ্য সংগ্রহ করতে মেলায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

মেলায় ক্রেতাদের জন্য দেশের ভিবিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের তৈরি বিভিন্ন নকশা করা পোশাক, পাটজাতপণ্য, জুতা, চামড়া পণ্য, প্লাস্টিক, হস্তশিল্প, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে তারা তাদের পণ্যে দিচ্ছেন বিভিন্ন অংকের নগদ মূল্যছাড়।

সকাল থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকলেও ছুটির দিন হওয়ায় দুপুর থেকে মেলায় বাড়তে থাকে ভিড়। পছন্দ অনুযায়ী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন ধরণের শতভাগ দেশীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পরিবার পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়ে মেলায় উপস্থিত হয়েছেন ক্রেতারা।


তাদের মধ্যে একজন রোমানা আক্তার। রাজধানীর বনানী থেকে মেলায় এসেছেন টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়ি কিনতে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রশংসা এসএমই একমাত্র মেলা যেখানে শতভাগ দেশীয় পণ্য পাওয়া যায় এবং তুলনামূলক কম দামে। ছুটির দিন হওয়ায় তাই ননদকে সাথে নিয়ে চলে আসলাম শাড়ি কিনতে। পছন্দ হলে অন্যান্য জিনিসপত্রও কিনব।

রাজধানীর কলাবাগান থেকে এসেছেন শায়লা আক্তার জেরিন মেলায় এসেছেন তার পুরো পরিবার নিয়ে। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, এসএমই মেলার মত এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মেলা আর কোথাও হয় না। ঐতিহ্যবাহী অসাধারণ সব দেশীয় পণ্য এখানে খুব সহজে পাওয়া যায়। এখানে আসা ক্রেতারাও খুব রুচিশীল হয়। এখানকার পরিবেশটা খুব চমৎকার। যে কারণে পরিবার নিয়ে এখানে স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করা যায়।

মেলায় প্রতিটি স্টলেই দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। তবে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে এই ভিড় আরও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন স্টলের মধ্যভাগের রাস্তা দিয়ে হাঁটাও যেন ভিড়ের মধ্যে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উদ্যোক্তারাও খুশি ক্রেতাদের উপস্থিতিতে। অনেকেই বলছিলেন তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা হচ্ছে।

মেলায় অংশগ্রহণ করা ঐতিহ্যবাহী নকশী কাঁথা নিয়ে কাজ করা রাজশাহী নকশী ঘর'র কর্ণধার পারভিন আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, কেনাবেচা ভালো হচ্ছে কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু কম। তবে গত বুধবার বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটির দিনে কেনাবেচা খুব ভালো হয়েছে।


সূচি শিল্প নিয়ে কাজ করা রংপুর ক্রাফট'র ইলোরা পারভিন বলেন, এসএমই মেলা মানেই বিশেষ কিছু। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের কারণে রুচিশীল ক্রেতারা প্রতিবছরই এ মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। আজকে ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতার উপস্থিতিও ভালো এবং কেনা বেচাও হচ্ছে ভালো।

পাট জাত পণ্য নিয়ে কাজ করা তুলিকা'র কর্ণধার আঞ্জুমান কাকলি বলেন, ক্রেতাদের উপস্থিতি খুব ভালো আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো সেল হচ্ছে। ছুটির দিন নিয়ে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল সে প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

বেশিরভাগ উদ্যোক্তারা ছুটির দিনের বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও কিছু কিছু উদ্যোক্তারা বলছেন, তাদের বেচাকেনা একদমই ভালো হয়নি। তারা আশা করেছিলেন মেলার শেষ দিনের আগে ছুটির দিনে খুব ভালো একটা বেচাকেনা করবেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার (১৯ মে) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ১৯ মে থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা ২০২৪ শেষ হবে আগামিকাল ২৫ মে (শনিবার)।

;

ই-কমার্স ব্যবসার চ্যালেঞ্জ দূরীকরণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা পরিচালনা, লজিস্টিকস ও পেমেন্টের জটিলতা দূর করা এবং ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনাসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই খাতের অংশীজনদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত গ্লোবাল ই-কমার্স বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় মিটিংয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক সৈয়দ মোঃ বখতিয়ার।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নকল পণ্য বিক্রি ও প্রতারণা রোধে এই খাতের উদ্যোক্তাদের আরও সতর্ক এবং কঠোর হতে হবে। ক্রসবর্ডার ট্রেডের মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে যেসব জটিলতা রয়েছে সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের উপায় বেড় করতে হবে। লজিস্টিকস সহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা-বাণিজ্যর সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং সমাধানের জন্য করণীয় নির্ধারণে উদ্যোক্তা, নীতি নির্ধারক, ই-কমার্স খাতের এক্সপার্ট সহ অংশীজনের উপস্থিতিতে সেমিনার বা সম্মেলন আয়োজনের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী।

স্ট্যান্ডিং কমিটির সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে- ই-কমার্স খাত নিয়ে শীঘ্রই একটি পলিসি কনফারেন্স আয়োজন করা হবে বলেন জানানা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্যবৃন্দের কাছে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ সৈয়দ মোঃ বখতিয়ার।

ই-কমার্স খাতের ওপর একটি কৌশলপত্র তৈরি এবং পলিসি কনফারেন্স আয়োজনের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল কমিটি, গবেষণা সেল তৈরি, ই-কর্মাস বিষয়ক ডেস্ক চালুসহ বেশকিছু প্রস্তাব উঠে আসে মুক্ত আলোচনায়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মিস শমী কায়সার, মোঃ আনোয়ার সাদাত সরকার, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, মোঃ আবুল হাশেম, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক আবু হোসেন ভূঁইয়া (রানু), কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

;

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ অর্জন করেছে স্নোটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড এর পক্ষে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’-এর ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। জাতীয় অর্থনীতির শিল্পখাতে অবদানের স্বীকৃতি, প্রণোদনা সৃষ্টি, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ৬ ক্যাটাগরির মোট ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

যার মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৬টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি প্রতিষ্ঠান এই সম্মাননা অর্জন করে।

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ২০১৩’ অনুযায়ী ২০১৪ সালে প্রথম বারের মতো এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর সপ্তম বারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান।

এরই মধ্যে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ডসহ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ট্যাক্সকার্ড ও সেরা করদাতা সম্মাননা-২০২২, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২১, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্র্যাকটিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ অর্জন করেছে ‘স্নোটেক্স’।

;