বন্ডেড লাইসেন্সের অপব্যবহার রোধে কঠোর কাস্টমস

৪ মাসে ৪ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত ৩০২



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৩০৬টি প্রতিষ্ঠানের বন্ডেড লাইসেন্সের অপব্যবহারসহ নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা। চলতি বছরের (মার্চ মাস থেকে জুন পর‌্যন্ত) ৪ মাসে প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান চালিয়ে এর প্রমাণ মিলেছে।

এর মধ্যে ৪ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল ও ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাসপেন্ড ও বিআইএন লক করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান যাতে পণ্য আমদানি করতে না পারে, সেজন্য তাদের ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) লক করা হয়েছে। এছাড়াও ২২টি প্রতিষ্ঠানের সাসপেন্ড কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকার অধীনে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৮১৩টি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৮৩টি নিষ্ক্রিয় আর সক্রিয় রয়েছে ৩ হাজার ৮৩০ প্রতিষ্ঠানের বন্ডেড ব্যবহার। তার মধ্যে ৩০৬টির বন্ডেড লাইসেন্সের অপব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ ভিত্তিতে কমিশনের কাস্টম প্রিভেন্টভ টিম পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ১০৫ অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় ৪৭টি যানবাহন আটক, ৫টি গুদাম সিলগালা এবং ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর এ অভিযানে সরকারের অন্তত ১৫৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়ও হয়েছে।

লাইসেন্স স্থগিত করা উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-থ্রিএমএস টেক্স (বিড), অ্যাকটিভ সোয়েটার লিমিটেড, আলম ইন্ডাস্ট্রিজ, আনারকলি নিটওয়্যার লিমিটেড, আরাফ নিটওয়্যার, বি. ব্রাদার্স গার্মেন্টস, বিআর নিটিং মিলস, বাংলাদেশ ড্রেসেস লিমিটেড, বন অ্যাসোসিয়েটস, বাংলাদেশ কাওয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো. লিমিটেড, থ্রেডস লিমিটেড, বেঙ্গল জিনস লিমিটেড, ব্লুটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড, বডি স্ট্রিস বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রাইট পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সিটাস ইন্টারন্যাশনাল বিডি লিমিটেড, চৈতি ক্লাসিক স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড, চিটাগং ফ্যাশন প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, চুন জি নিট লিমিটেড, কমান্ডো ফ্যাশন লিমিটেড, দারদা নিটওয়্যার লিমিটেড, ঢাকা কার্টুন অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, ডায়মন্ড প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, দোতি ফ্যাশন লিমিটেড, ইস্ট এশিয়া অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড, ইস্টার্ন পেপার কনভারটিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, ইজি অ্যাকসেসরিজ কোম্পানি লিমিটেড, অ্যাপকট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, এভার ব্রাইট পলি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইভিন্স অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড, এক্সএনসিভ ফ্যাশন লিমিটেড, এক্সপোর্ট এইড প্রাইভেট লিমিটেড (ইউনিট-২), ফা অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফিডাস অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফিন ফ্যাশন লিমিটেড ও ফরচুন অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড।

সার্বিক বিষয়ে কাস্টম বন্ড কমিশনারেট ঢাকার সহকারী কমিশনার আল আমিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যার (জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের-এনবিআর চেয়ারম্যান) একটি গতিশীল ও শক্তিশালী কাস্টমস বন্ড গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন কমিশনার এসএম হুমায়ুন কবীরকে স্যারকে। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তার নেতৃত্বে বন্ড ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সে জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনিয়ম খুঁজে বের করার জন্য ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। টিমগুলো রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে।’

আর এসব অভিযানে ৩ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বন্ডেড অপব্যবহারে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এর মধ্যে ৪ প্রতিষ্ঠানের বন্ডেড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ২২টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাসপেন্ড কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাসপেন্ড ও বিআইএন লক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, কাগজে-কলমে কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে বেশির ভাগেরই কারখানা নেই। অথচ এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ড সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করে আসছে।

কাঁচামালের মধ্যে সুতা, কাপড়, কাগজ, এক্সেসরিজ, পিপি দানা খোলা বাজারে বিক্রি করাই হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ। এক শ্রেণির অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তার সহায়তায় চক্রটি ফ্রি স্টাইলে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর নির্ধারিত বিভিন্ন স্পটে বন্ডের পণ্য দেদার বিক্রি করে আসছে। এ কারণে অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে দেশীয় বস্ত্র শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

এদিকে ঢাকা কাস্টমস বন্ড লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিলের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ব্যাংক হিসাব জব্দের মাধ্যমে পাওনা আদায়ের উদ্যোগ নিচ্ছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির পর যে পরিমাণ গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করার কথা, তা যারা করেননি তাদের কাছ থেকে সমপরিমাণ পণ্যের ডিউটি আদায় করার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ড সুবিধায় শূন্য শুল্কে কাঁচামাল আমদানি করলেও নিজস্ব কারখানা নেই উল্লেখ্য করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

অথচ শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাপড়সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য এনে পুরান ঢাকার ইসলামপুর, নয়াবাজার, বাবুবাজার, মতিঝিলের আরামবাগে বিক্রি করে ব্যাপক বাণিজ্য করে আসছিলেন অনেকে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় বস্ত্রশিল্পের উদ্যোক্তারা।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকা বন্ড কমিশনারেটের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭০ ভাগের বেশি চোরা কারবারীর সঙ্গে জড়িত। মূলত দুইভাবে বন্ডের পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রথমত, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড লাইসেন্স খুলে পণ্য আমদানি করে। দ্বিতীয়ত, ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাঁচামাল শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করে। আমদানি প্রাপ্যতা নির্ধারণ পদ্ধতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই এ কাজটি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

অনেক প্রতিষ্ঠানের রফতানি আদেশ যৎসামান্য থাকলেও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শুধু মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী প্রাপ্যতা নির্ধারণ করিয়ে নিচ্ছে। এভাবে আমদানি করা অতিরিক্ত কাঁচামাল তারা খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই কালোবাজারে শুল্কমুক্ত পণ্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত। এ চক্রটি বন্ডের কাপড় চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে খালাস হয়ে ঢাকার আশপাশের পাইকারি বাজারে নিয়ে যায়। রাতের আঁধারে নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর এলাকায় কাপড়বোঝাই গাড়ি আনলোড হয়।

এজন্য চিটাগাং রোডের অনেক বাসা-বাড়িতে অস্থায়ী গোডাউনও গড়ে উঠেছে। এসব গোপন গোডাউন থেকে সুবিধা মতো সময়ে কাপড় হাতবদল হয়। নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে সুতা, পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বন্ডের কাপড়, নয়াবাজারে কাগজ ও উর্দু রোডে পিপি দানা বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন:

বন্ডেড ওয়্যার হাউজের অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরিয়ে দিন: সালমান

বাতিল হচ্ছে চেক পয়েন্ট সিস্টেমসের বন্ড লাইসেন্স

চেক পয়েন্ট সিস্টেমসের ৪০ কোটি কর ফাঁকি

বন্ড অপব্যবহারকারীর মুখোশ উন্মোচন করুন: এনবিআর চেয়ারম্যান

   

ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে শরী‘আহ বিষয়ক সচেতনতা ওয়েবিনার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর উদ্যোগে “ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন” শীর্ষক ওয়েবিনার বুধবার (১৫ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং মূল বিষয়ের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শামসুদ্দোহা।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মোঃ আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির, কাজী মোঃ রেজাউল করিম, মিফতাহ উদ্দীন ও ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী এবং আইবিটিআরএ-এর প্রিন্সিপাল মোঃ নজরুল ইসলামসহ প্রধান কার্যালয়, আইবিটিআরএ এবং আটটি কর্পোরেট শাখার ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

চট্টগ্রামে মাল্টিপারপাস বে-টার্মিনাল, আবুধাবি পোর্টস দিচ্ছে ১০০ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীন মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ (এডি পোর্টস)। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই স্মারকে সই করেন। এসময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এডি পোর্টসের বাংলাদেশ এজেন্ট সাইফ পাওয়ারটেকের প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীনে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করবে।


জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে ‘বে- টার্মিনাল’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়ার পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, মাস্টারপ্ল্যানে এক হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং এক হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য চার দশমিক ৯৫ কিলোমিটার। মাস্টারপ্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে-টার্মিনাল থেকে বহির্নোঙরের দূরত্ব এক কিলোমিটার।

মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে। এক হাজার ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং অপরটি নির্মাণে দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও অ্যাক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬ দশমিক ৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০ দশমিক ৬৯ একর সরকারি খাস জমি অনুমোদন পেয়েছে। ব্রেক ওয়াটার নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বন্দর পরিচালনাকারীরা বিনিয়োগ করছেন। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, এক সময় আসবে, যখন চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোনো দেশেও এর কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা, তা পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মোংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়েছে। এটি নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য পরিবহনের জন্য আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার-ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে-টার্মিনালের সঙ্গে সড়ক, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন সহজলভ্য হবে। বে-টার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। অল্প সময়ের মধ্যেই মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।


জানা যায়, টার্মিনালটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ১০ লাখ টিইইউ (টোয়েন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কন্টেইনার এবং ৭০ লাখ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করতে পারবে। এতে দেশের আমদানি ও রপ্তানি দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবহন খরচ এবং সময় কমে আসবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিক কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় এডি পোর্ট গ্রুপ একটি দক্ষ প্রতিষ্ঠান। এডি পোর্ট গ্রুপের ৫টি সমন্বিত বিজনেস ক্লাস্টার ডিজিটাল, ইকোনমিক সিটিস এন্ড ফ্রি জোন, লজিস্টিকস, মেরিটাইম এবং পোর্ট রয়েছে। আবুধাবি অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ মাকতা গেটওয়ে এডভান্সড ট্রেড এন্ড লজিস্টিক প্লাটফরম তৈরি এবং পরিচালনা করেছে। যা আবুধাবি জুড়ে বাণিজ্য ও লজিস্টিক নৌ, স্থল ও আকাশ পথে পরিষেবা গুলোকে একীভূত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমসহ বে-টার্মিনাল প্রজেক্টে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে এডি পোর্ট গ্রুপ বিনিয়োগ করবে । এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে তথা বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বিদেশী বিনিয়োগ আসবে এবং দেশীয় অর্থের সাশ্রয় হবে। এতে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। এডি পোর্ট গ্রুপের সাথে অংশীদারিত্বে কাজ করার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশা করা যায় ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মিটার গভীরতা ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। বে টার্মিনালে ভিড়তে পারবে ১২ মিটার গভীরতা ও ২৮০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের জাহাজ।

;

‘রাজনীতিবিদরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ দেখতে পছন্দ করেন’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
“বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়” শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান

“বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়” শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতি ও অর্থনীতির মধ্যে অসম রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদরা অর্থনীতিবিদদের গৃহভৃত্য না হলেও হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত “বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়” শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন।

বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে ড. ফরাসউদ্দিনের লেখা বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

বিআডিএস মহাপরিচালক (ডিজি) বিনায়ক সেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য শামস্ রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অর্থনৈতিক বিবেচনায় নেয়া প্রকল্পের লাভ ক্ষতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের লাভ ক্ষতির বড় একটা পার্থক্য থাকে। সেটি সব দেশেই আছে, আর এটাকেই রাজনৈতিক অর্থনীতি বলা হয়ে থাকে।

‘নীতিমালার যে ধরনের বিশ্লেষণ দরকার এবং বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা দরকার, সেটা সরকারের অনেক সময় থাকে না। এর সঙ্গে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার সংস্কারের বিষয়ও রয়েছে’। তিনি বলেন, এ কারণেই রাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতির বড় ধরনের বিচ্যুতি দেখা যায়।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেয়া পরামর্শের সঙ্গে রাজনৈতিক সরকারের পদক্ষেপ না মেলার কারণেও বড় ধরনের বিচ্যুতি হচ্ছে, বলে মনে করেন তিনি।

এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, কিছু প্রভাবশালীদের রাতারাতি অন্যায়ভাবে অর্থ বৈভব অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া। এই ধরনের রাজনৈতিক কৌশল অপরিহার্য ছিল না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, নিজ পরিশ্রমে ছোট থেকে বড় হয়েছেন এমন সত্যিকারের শিল্প উদ্যোক্তারা এসব কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বৈষম্যের কারণে ব্যবসায় পরিবেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ফরাসউদ্দিন বলেন, অর্থনীতিবিদেরা গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে জ্ঞানের কথা বলে থাকেন। আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁদের কথা রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের শোনা উচিত।

‘আমি বড় অর্থনীতিবিদ নই। তবু মনে করি, প্রচলিত পথে দারিদ্র্য বিমোচনের পরিবর্তে শিল্পায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার,’ তিনি বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদটিকে সাংবিধানিক পদে উন্নীত করার দিয়ে ফরাসউদ্দিন বলেন, “নিদেনপক্ষে গভর্নর পদে ছয় বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া উচিত।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং এর গভর্নরের অটোনমির বিষয়ে কারো দ্বিমত করার সুযোগ নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন ড. মশিউর রহমান।

ডঃ বিনায়ক সেন বলেন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এক সঙ্গে চলতে পারে না। রাজনীতির ওপর ধনীদের প্রভাব কমাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা কীভাবে করা যায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করা হচ্ছে।

ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংক খেলার যায়গা নয়। এখানে মানুষের আমানত থাকে। মানুষের আমানত নিয়ে খেলার সুযোগ নেই।

;

ভবনের অ্যাকটিভ ডিজাইন বুমেরাং হয়েছে: নসরুল হামিদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষাটের দশকে আমাদের স্থাপত্যবিদরা পথ দেখিয়ে গেছেন কিন্তু আমরা মাঝখানে পথ হারিয়ে ফেললাম। সঠিক পথ ফেলে ভবনের অ্যাকটিভ ডিজাইন বুমেরাং হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় আগারগাঁও আইএবি সেন্টারে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববদ্যালয়ের দিকে তাকায়, দেখেন তখন তারা চিন্তা করেছিলেন। অনেক দেশেই তখন বিষয়গুলো চিন্তায় করেনি। আমরা সেখান থেকে অ্যাকটিভ ডিজাইনে গেলাম, এগুলো কস্ট ইফেক্টিভ হচ্ছে না। যারা ভালো কাজ করতে চায় তাদের টিকে থাকা কঠিন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে বেশ দক্ষ লোকজন থাকেন তাদের বক্সের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। তারা চেঞ্জ চাচ্ছে এটাই বড় বিষয়। আমরা তরুণদের নিয়ে একটি টিম করছি, আমাদের ভবনগুলো যেন ভবিষ্যৎ চিন্তা ও ব্যবহারকারী বান্ধব হয়। আমরা স্থাপত্যবিদদের দিয়ে তিতাসের ভবন করছি, ডেসকোর ভবন করছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রতিযোগিতা হলো নতুনদের ধ্যানধারণা পেলাম, তাদেরও একটা আইডিয়া হলো বড় পরিসরে কাজ করার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিযোগিতায় ৮২টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। সেখান থেকে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত করা হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। আমরা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছি। আমরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু আমরা দায়ী না। অনেকে প্রশ্ন করেন আমরা কি করছি, কেন এখনও কয়লা ব্যবহার করছি। আমরা ক্লিন এনার্জির দিকে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ গত ১৪ বছর ধরে এডিপি বাস্তবায়নে এক নম্বর থাকে, প্রথম বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, নেসকোর মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিষয়টি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। আমি মনে করি এর মাধ্যমে আইএবির সঙ্গে নতুন ডোর উন্মোচিত হবে। আমরা মনে করি হতাশ হতে হবে না। ভবনকে যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করতে পারি, তাহলে বিশাল অগ্রগতি হবে।

তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমি তখন অর্থমন্ত্রণালয়ে তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভবন করা হবে। আমরা বলেছিলাম যত টাকা লাগুক খরচ করতে রাজি আছি। ভবন গ্রিন হতে হবে, অনেক টাকা ব্যয় করেছি, তবে নান্দনিকও হয়নি, জ্বালানি সাশ্রয়ীও হয়নি।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এনার্জি সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। নেসকোর মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারে সেই ধারাবাহিকতা অংশ।

নেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল আধুনিকতম ভবনের সঙ্গে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করা। আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ এক সময় আন্দোলনে রূপান্তর হবে বলে আশা করি।

আইএবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, এক সময়ের নাজুক বিদ্যুৎ বিভাগ এখন স্থাপত্য বিভাগের প্রধান পৃষ্টপোষক হয়ে উঠেছে। ডিজাইন প্রসঙ্গে বলেন, এখানে প্যাসিভ ডিজাইন করা হয়েছে, কনভেনশনাল জ্বালানির চেয়ে প্রাকৃতিক উৎসের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, নেসকো সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা।

নেসকো রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে।

;