মৌলিক চাহিদা পূরণে ইউএস-বাংলা গ্রুপ, লক্ষ্য গ্রাহকদের সন্তুষ্টি



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা গ্রুপ। ইতিমধ্যে ইউএস-বাংলা বাংলাদেশে বহুমাত্রিক ব্যবসায়িক গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইউএস-বাংলা’র মিশন কিংবা ভিশন বলতে অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশের জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

ইউএস-বাংলা গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছে নয় বছর পূর্বে। সময়ের হিসেবে ব্যবসার পরিধি বেড়ে চলেছে জ্যামিতিক হারে, যা বাংলাদেশে অনেকটাই বিরল। আবাসন সংকট নিরসনে ইউএস-বাংলা গড়ে তুলেছে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। এটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরে অবস্থিত।

এখানে রয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়,হাসপাতাল, খোলা মাঠ। সবুজে ঘেরা একটি আধুনিক শহরের রূপ নিবে এই আমেরিকান সিটি। পূর্বাচল আমেরিকান সিটি প্রকল্পে থাকছে গ্রীণ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল,স্পোর্টস কমপ্লেক্স, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, মডার্ন শপিং কমপ্লেক্স এবং স্বনাম ধন্য আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর হেড কোয়ার্টারসহ নানাবিধ প্রতিষ্ঠান।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা গ্রুপের একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স। ১৭ জুলাই ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক এভিয়েশন ব্যবসায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করেছিল ৭৬ আসন বিশিষ্ট দু’টি কানাডার বোম্বারডিয়ার তৈরী ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়েঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে।

বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল, রাজশাহী রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সাফল্যের পর ইউএস-বাংলা যাত্রা শুরুর দু’বছরের মধ্যে ১৫ মে ২০১৬ সালে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মধ্যেমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে কলকাতা,মাস্কাট, দোহা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।

ইউএস-বাংলার বিমান বহরে চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন “ব্লু স্কাই”। বর্তমানে সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ৩০০টির অধিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। চারবছরে প্রায় ৪০ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে, যা বাংলাদেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। ৯৮.৭ শতাংশ অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড নিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে মোট যাত্রী সংখ্যার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন করছে ইউএস-বাংলা।

ইউএস-বাংলার টিকেট সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে অন-লাইন বুকিং সুবিধা। রয়েছে হোম ডেলিভারী সুবিধাও। সারাদেশে নিজস্ব ৩০টি সেলস্ অফিস। এছাড়া কাঠমান্ডু, কলকাতা, মাস্কাট, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, দোহা, গুয়াংজু, কানাডা,নিউইয়র্ক এ নিজস্ব সেলস্ অফিস। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য রয়েছে “স্কাইস্টার” প্যাকেজ। যার মাধ্যমে শুধু টিকেট ক্রয়েই সুবিধা পাবে না বরং যাত্রীরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট সুবিধাও পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যাত্রীদেরকে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা, যা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এভিয়েশন শিল্পে। সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আন্তর্জাতিক রুটের বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য রয়েছে পিক-ড্রপ সার্ভিস, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরনের পর ১৫ মিনিটে ল্যাগেজ ডেলিভারী, ওয়েজ আর্নার্সদের জন্য বিমানবন্দরে প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ২০ শতাংশ মূল্যছাড়, সামরিকবাহিনীর কর্মকর্তা ও গলফারদের রয়েছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়সহ আরো নানাবিধ যাত্রী সুবিধা।

ভাইব্রেন্ট ব্র্যান্ড নিয়ে ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা ফুটওয়্যার লিমিটেড আত্মপ্রকাশ করেছে। ফ্যাশন সচেতন গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী দেশের মানুষের আধুনিক ও মননশীল চিন্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই ভাইব্রেন্ট কাজ করছে। ভাইব্রেন্ট প্রডাক্টের মান ও দামের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রেখে গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রাথমিকভাবে প্রায় ৭০০ মডেলের পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য নিত্য নতুন জুতার কালেকশন রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকার মৌচাক, গুলশান ও রামপুরা এবং চট্টগ্রামের হালিশহরে ভাইব্রেন্টের কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রায় ১০ টি আউটলেটে কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে প্রত্যেকটি আউটলেটেই ক্যাশ ক্রয় ছাড়াও ভিসা ও মাস্টার কার্ড গ্রহণ করা হবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস ইউএসবি এক্সপ্রেস, যা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবাপ্রদানকারী কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইউএসবি এক্সপ্রেস এর মূল ভিত্তি হচ্ছে আপনার পণ্যের যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান, টেকনোলজিক্যালি পণ্যের অবস্থান নিশ্চিতকরণ, দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যে পণ্য পৌঁছানো।
ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। মেধা, ছাত্রী, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, মুক্তিযোদ্ধা ও খেলোয়াড় কোটায় ভর্তিচ্ছুকরা সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপে ভর্তি হতে পারছেন। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেও পাচ্ছেন বিশেষ ছাড়। 

গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর ও মাস্টার্স পর্যায়ের প্রোগামগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলবি, এলএলএম, সমাজবিজ্ঞান, সিএসই, ইইই, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংলিশ এবং ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির যাত্রা ২০০৩ সালে। বর্তমানে মিরপুর শেওড়াপাড়ায় মোট তিনটি ভবনে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যা শীঘ্রই পূর্বাচল আমেরিকান সিটিস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যাবে।

ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হাডারস্ফিল্ড, চীনের বেইজিং ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল ইউনিভার্সিটি (বিএলসিইউ) এবং উহান টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এমওইউ ছাড়াও ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গ্রিন ইউনিভার্সিটির যোগাযোগ রয়েছে।
অর্জন করেছে বিশ্বের বিখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ ইন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের সদস্য পদ। জাপান যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ভাষার ওপর ‘নাট-টেস্ট’ পরীক্ষা বাংলাদেশে একমাত্র গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হয়। এর বাইরেও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার সঙ্গে যৌথ গবেষণার চুক্তি রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৮৩জন শিক্ষক পাঠদান করছেন। যেখানে অধ্যাপক ১২জন, সহযোগী অধ্যাপক ৯জন, সহকারী অধ্যাপক ২৭জন এবং ১১৩জন লেকচারারসহ বেশ কিছু খ-কালীন শিক্ষক রয়েছেন। সুবিশাল গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রায় ২০হাজার বই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্তত ১০টি গবেষণা প্রজেক্ট পরিচালিত হচ্ছে।

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান বাড়ানোর জন্য “ইন্টারনাল কোয়ালিটি এ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)” চালু আছে। এই সেলের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রমের কোর্স প্রণয়ন, শিক্ষাদানে নতুনত্ব আনা, দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান, তাদের খেলাধুলার সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ নানা ধরনের কাজ করছে।

বর্তমানে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে রয়েছে ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নয়া দিল্লী ভিত্তিক “এস্ট্রোন হসপিটাল এন্ড হেলথ্ কেয়ার কনসালট্যান্টস (প্রাঃ) লিমিটেড” আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, ঠিক সেই ধরনের ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্বাচলে হসপিটালের অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ইউএস-বাংলা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ সম্পূর্ণ রপ্তানীমূখী একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর শেষ প্রান্তিকে ইউএস-বাংলা হাইটেক আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। যেখানে নানাধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশীয় চাহিদা পূরণের পর বিদেশেও রপ্তানীর পরিকল্পনা আছে।

ইউএস-বাংলা গ্রুপের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সর্বোচ্চ কাস্টমার সন্তুষ্টি, কর্পোরেট সংস্কৃতি মেনে চলা, সর্বোপরি একটি সুনিয়ন্ত্রিত টীম গঠন করা, যা দিয়ে আর্থ ও সামাজিকভাবে এগিয়ে চলেছে। ইউএস-বাংলা গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলি কোয়ালিটি সিস্টেমের ক্ষেত্রে আইএসও ৯০০১:২০০৮ দ্বারা সার্টিফাইড।

ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠানগুলোর হলো- ইউএস-বাংলা এসেটস্, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউএসবি এক্সপ্রেস, ইউএস-বাংলা লেদারইন্ডাস্ট্রিজ, ইউএস-বাংলা ফুটওয়্যার, ইউএস-বাংলা হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউএস-বাংলা অটোমোবাইলস্, ইউএস-বাংলা ফুডস্,ইউএস-বাংলা ফ্যাশনসহ আরো নানাবিধ প্রতিষ্ঠান।

   

ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে শরী‘আহ বিষয়ক সচেতনতা ওয়েবিনার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর উদ্যোগে “ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন” শীর্ষক ওয়েবিনার বুধবার (১৫ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং মূল বিষয়ের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শামসুদ্দোহা।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মোঃ আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির, কাজী মোঃ রেজাউল করিম, মিফতাহ উদ্দীন ও ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী এবং আইবিটিআরএ-এর প্রিন্সিপাল মোঃ নজরুল ইসলামসহ প্রধান কার্যালয়, আইবিটিআরএ এবং আটটি কর্পোরেট শাখার ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

চট্টগ্রামে মাল্টিপারপাস বে-টার্মিনাল, আবুধাবি পোর্টস দিচ্ছে ১০০ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীন মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ (এডি পোর্টস)। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই স্মারকে সই করেন। এসময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এডি পোর্টসের বাংলাদেশ এজেন্ট সাইফ পাওয়ারটেকের প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীনে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করবে।


জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে ‘বে- টার্মিনাল’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়ার পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, মাস্টারপ্ল্যানে এক হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং এক হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য চার দশমিক ৯৫ কিলোমিটার। মাস্টারপ্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে-টার্মিনাল থেকে বহির্নোঙরের দূরত্ব এক কিলোমিটার।

মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে। এক হাজার ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং অপরটি নির্মাণে দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও অ্যাক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬ দশমিক ৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০ দশমিক ৬৯ একর সরকারি খাস জমি অনুমোদন পেয়েছে। ব্রেক ওয়াটার নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বন্দর পরিচালনাকারীরা বিনিয়োগ করছেন। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, এক সময় আসবে, যখন চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোনো দেশেও এর কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা, তা পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মোংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়েছে। এটি নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য পরিবহনের জন্য আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার-ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে-টার্মিনালের সঙ্গে সড়ক, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন সহজলভ্য হবে। বে-টার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। অল্প সময়ের মধ্যেই মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।


জানা যায়, টার্মিনালটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ১০ লাখ টিইইউ (টোয়েন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কন্টেইনার এবং ৭০ লাখ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করতে পারবে। এতে দেশের আমদানি ও রপ্তানি দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবহন খরচ এবং সময় কমে আসবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিক কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় এডি পোর্ট গ্রুপ একটি দক্ষ প্রতিষ্ঠান। এডি পোর্ট গ্রুপের ৫টি সমন্বিত বিজনেস ক্লাস্টার ডিজিটাল, ইকোনমিক সিটিস এন্ড ফ্রি জোন, লজিস্টিকস, মেরিটাইম এবং পোর্ট রয়েছে। আবুধাবি অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ মাকতা গেটওয়ে এডভান্সড ট্রেড এন্ড লজিস্টিক প্লাটফরম তৈরি এবং পরিচালনা করেছে। যা আবুধাবি জুড়ে বাণিজ্য ও লজিস্টিক নৌ, স্থল ও আকাশ পথে পরিষেবা গুলোকে একীভূত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমসহ বে-টার্মিনাল প্রজেক্টে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে এডি পোর্ট গ্রুপ বিনিয়োগ করবে । এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে তথা বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বিদেশী বিনিয়োগ আসবে এবং দেশীয় অর্থের সাশ্রয় হবে। এতে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। এডি পোর্ট গ্রুপের সাথে অংশীদারিত্বে কাজ করার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশা করা যায় ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মিটার গভীরতা ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। বে টার্মিনালে ভিড়তে পারবে ১২ মিটার গভীরতা ও ২৮০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের জাহাজ।

;

‘রাজনীতিবিদরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ দেখতে পছন্দ করেন’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
“বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়” শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান

“বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়” শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতি ও অর্থনীতির মধ্যে অসম রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদরা অর্থনীতিবিদদের গৃহভৃত্য না হলেও হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত “বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীর করণীয়” শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন।

বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে ড. ফরাসউদ্দিনের লেখা বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

বিআডিএস মহাপরিচালক (ডিজি) বিনায়ক সেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য শামস্ রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অর্থনৈতিক বিবেচনায় নেয়া প্রকল্পের লাভ ক্ষতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের লাভ ক্ষতির বড় একটা পার্থক্য থাকে। সেটি সব দেশেই আছে, আর এটাকেই রাজনৈতিক অর্থনীতি বলা হয়ে থাকে।

‘নীতিমালার যে ধরনের বিশ্লেষণ দরকার এবং বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা দরকার, সেটা সরকারের অনেক সময় থাকে না। এর সঙ্গে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার সংস্কারের বিষয়ও রয়েছে’। তিনি বলেন, এ কারণেই রাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতির বড় ধরনের বিচ্যুতি দেখা যায়।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেয়া পরামর্শের সঙ্গে রাজনৈতিক সরকারের পদক্ষেপ না মেলার কারণেও বড় ধরনের বিচ্যুতি হচ্ছে, বলে মনে করেন তিনি।

এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, কিছু প্রভাবশালীদের রাতারাতি অন্যায়ভাবে অর্থ বৈভব অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া। এই ধরনের রাজনৈতিক কৌশল অপরিহার্য ছিল না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, নিজ পরিশ্রমে ছোট থেকে বড় হয়েছেন এমন সত্যিকারের শিল্প উদ্যোক্তারা এসব কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বৈষম্যের কারণে ব্যবসায় পরিবেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ফরাসউদ্দিন বলেন, অর্থনীতিবিদেরা গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে জ্ঞানের কথা বলে থাকেন। আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁদের কথা রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের শোনা উচিত।

‘আমি বড় অর্থনীতিবিদ নই। তবু মনে করি, প্রচলিত পথে দারিদ্র্য বিমোচনের পরিবর্তে শিল্পায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার,’ তিনি বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদটিকে সাংবিধানিক পদে উন্নীত করার দিয়ে ফরাসউদ্দিন বলেন, “নিদেনপক্ষে গভর্নর পদে ছয় বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া উচিত।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং এর গভর্নরের অটোনমির বিষয়ে কারো দ্বিমত করার সুযোগ নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন ড. মশিউর রহমান।

ডঃ বিনায়ক সেন বলেন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এক সঙ্গে চলতে পারে না। রাজনীতির ওপর ধনীদের প্রভাব কমাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা কীভাবে করা যায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করা হচ্ছে।

ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংক খেলার যায়গা নয়। এখানে মানুষের আমানত থাকে। মানুষের আমানত নিয়ে খেলার সুযোগ নেই।

;

ভবনের অ্যাকটিভ ডিজাইন বুমেরাং হয়েছে: নসরুল হামিদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষাটের দশকে আমাদের স্থাপত্যবিদরা পথ দেখিয়ে গেছেন কিন্তু আমরা মাঝখানে পথ হারিয়ে ফেললাম। সঠিক পথ ফেলে ভবনের অ্যাকটিভ ডিজাইন বুমেরাং হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় আগারগাঁও আইএবি সেন্টারে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববদ্যালয়ের দিকে তাকায়, দেখেন তখন তারা চিন্তা করেছিলেন। অনেক দেশেই তখন বিষয়গুলো চিন্তায় করেনি। আমরা সেখান থেকে অ্যাকটিভ ডিজাইনে গেলাম, এগুলো কস্ট ইফেক্টিভ হচ্ছে না। যারা ভালো কাজ করতে চায় তাদের টিকে থাকা কঠিন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে বেশ দক্ষ লোকজন থাকেন তাদের বক্সের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। তারা চেঞ্জ চাচ্ছে এটাই বড় বিষয়। আমরা তরুণদের নিয়ে একটি টিম করছি, আমাদের ভবনগুলো যেন ভবিষ্যৎ চিন্তা ও ব্যবহারকারী বান্ধব হয়। আমরা স্থাপত্যবিদদের দিয়ে তিতাসের ভবন করছি, ডেসকোর ভবন করছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রতিযোগিতা হলো নতুনদের ধ্যানধারণা পেলাম, তাদেরও একটা আইডিয়া হলো বড় পরিসরে কাজ করার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিযোগিতায় ৮২টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। সেখান থেকে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত করা হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। আমরা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছি। আমরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু আমরা দায়ী না। অনেকে প্রশ্ন করেন আমরা কি করছি, কেন এখনও কয়লা ব্যবহার করছি। আমরা ক্লিন এনার্জির দিকে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ গত ১৪ বছর ধরে এডিপি বাস্তবায়নে এক নম্বর থাকে, প্রথম বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, নেসকোর মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিষয়টি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। আমি মনে করি এর মাধ্যমে আইএবির সঙ্গে নতুন ডোর উন্মোচিত হবে। আমরা মনে করি হতাশ হতে হবে না। ভবনকে যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করতে পারি, তাহলে বিশাল অগ্রগতি হবে।

তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমি তখন অর্থমন্ত্রণালয়ে তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভবন করা হবে। আমরা বলেছিলাম যত টাকা লাগুক খরচ করতে রাজি আছি। ভবন গ্রিন হতে হবে, অনেক টাকা ব্যয় করেছি, তবে নান্দনিকও হয়নি, জ্বালানি সাশ্রয়ীও হয়নি।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এনার্জি সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। নেসকোর মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারে সেই ধারাবাহিকতা অংশ।

নেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল আধুনিকতম ভবনের সঙ্গে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করা। আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ এক সময় আন্দোলনে রূপান্তর হবে বলে আশা করি।

আইএবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, এক সময়ের নাজুক বিদ্যুৎ বিভাগ এখন স্থাপত্য বিভাগের প্রধান পৃষ্টপোষক হয়ে উঠেছে। ডিজাইন প্রসঙ্গে বলেন, এখানে প্যাসিভ ডিজাইন করা হয়েছে, কনভেনশনাল জ্বালানির চেয়ে প্রাকৃতিক উৎসের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, নেসকো সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা।

নেসকো রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে।

;