মেলায় ছাড়ের ছড়াছড়ি, আকৃষ্ট ক্রেতা-দর্শনার্থীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মেয়েদের পোশাকে বিশেষ ছাড় চলছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

মেয়েদের পোশাকে বিশেষ ছাড় চলছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রায় শেষের দিকে। মেলায় বিভিন্ন স্টলগুলোতে এখন চলছে বিশেষ ছাড়। আর এই বিশেষ ছাড়ে পণ্য কিনতে মেলায় ভিড় করছেন ক্রেতারা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে দুপুর থেকেই মানুষের ঢল নামে। ব্যস্ততম দিনে এই ভিড় দেখে খুশি ব্যবসায়ীরা।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি স্টলে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই ছাড়ে পণ্য কিনতেই সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সময় যত গড়াচ্ছে মেলার প্রবেশপথে ক্রেতাদের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ছাড় দিলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ছাড় দিতে রাজি নন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রবেশ পথে ভিড় সামলাতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তাদের।

মেলায় রফিকুল নামে একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মেলা প্রায় শেষের দিকে। শুনেছি মেলায় শেষের দিকে বিভিন্ন পণ্য ছাড়ে পাওয়া যায়। এবারের মেলায় আগে আসা হয়নি। শেষের দিকে ডিসকাউন্টে পণ্য কিনতে এসেছি।

মেলায় বিশেষ করে পোশাকের স্টলগুলোতে ক্রেতাদের বেশি ভিড় দেখা যায়। মেলায় নারী দর্শনার্থীদের সমাগম তুলনামূলকভাবে বেশি। নারীরা ভিড় জমাচ্ছেন পোশাক এবং গৃহস্থালির স্টলগুলোর সামনে।

নারীদের গৃহস্থালি পণ্যের দিকে আগ্রহ বেশি
নারীদের গৃহস্থালি পণ্যের দিকে আগ্রহ বেশি 

মেলার প্রবেশ পথের টিকেট ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্স জানায়, ৩১ জানুয়ারি মেলা শেষ হবে। শুরুর দিকের তুলনায় এখন দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি।

ব্লেজার কিনতে আসা মিরপুর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম জানান, ‘মেলার শেষ দিকে ছাড়ে ব্লেজার পাওয়া যায়। তাই ব্লেজার কিনতে এসেছি। অনেকগুলো প্যাভিলিয়ন ব্লেজারে ছাড় দিচ্ছে। যেখানে দাম কম পাব সেখান থেকেই কিনব।’

রিমি জামদানি হাউস এর বিক্রয় কর্মী মোহাম্মদ জানান, ‘আমাদের এখানে ছাড়ে ব্লেজারসহ অন্যান্য পোশাকে ডিসকাউন্ট রয়েছে। ধীরে ধীরে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। তবে সব পণ্য বিক্রি করতে পারব কিনা তা নিশ্চিত না।’

নারীদের পোশাক প্যাভিলিয়ন চাওয়া কালেকশনে থ্রি পিস কিনতে আসা তরুণী শৈলী বলেন, ‘মেলার শেষের দিকে ডিসকাউন্টে পোশাক কেনা যায়। তাই এখানে থ্রি পিস কিনতে এসেছি।’

প্রেস্টিজ এর স্টলে গৃহস্থালির জিনিসপত্র কিনতে এসেছেন সাইমা নামের এক গৃহিণী। শুরুর দিকে আসা হয়নি। ডিসকাউন্টে গৃহস্থালির জিনিসপত্র এখান থেকে কিনে নিতে এসেছি।

ব্লেজারের দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে
ব্লেজারের দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে

প্রেস্টিজের বিক্রয় কর্মী নূর বলেন, ‘শুরুর দিকের তুলনায় এখন ক্রেতার সংখ্যা বেশি। এর আগে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি ছিল।’

মেলা শেষে রাত পর্যন্ত ভালোই বেচাকেনা হবে এমনটা আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ২৫ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা সচিবালয় থেকে জানা যায়, দর্শনার্থী এবং ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না।

   

হরতাল-অবরোধে ক্রেতার খরা, বিপাকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা!



অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হরতাল-অবরোধে ক্রেতার খরা, ব্যবসা নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা!

হরতাল-অবরোধে ক্রেতার খরা, ব্যবসা নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা!

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ভাই, কি আর বলব! এক মাসের বেশি সময় ধরে হরতাল-অবরোধ চলছে; কোন বেচা-বিক্রি নেই। দোকানের ভাড়া-বিদ্যুৎ বিল উঠছে না। খুব কষ্টে আছি। সংসার চলবে কী করে। ধার-দেনার পথও বন্ধ। এমন চলতে থাকলে পথে বসতে হবে।’

দেশজুড়ে বিএনপি জামায়াতসহ সমমনা দলের ডাকা এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা হরতাল-অবরোধে ফাঁদে পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক খাত। রাজনৈতিক এই অস্থিরতা পরিবহন খাত থেকে শুরু করে অর্থনীতির সব খাতেই সংকট তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসার দৈন্যদশার কথা জানাচ্ছিলেন রাজধানীর ফার্মগেটের কাপড় ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন।

আজিম উদ্দিনের মতো চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় সবচেয়ে আগে নাকাল হয়ে পড়ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ক্রেতা সংকটে ভুগছেন তারা। বেচা-বিক্রির ভাটা পড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

এদিকে রাজনৈতিক অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে ভয়ানক বিপদ নেমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে দেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক খাতে এগিয়ে যাওয়ার যে প্রচেষ্টা ছিল; তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র তথ্য মতে, দেশে এক দিনের হরতালে দেশে ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। চলমান হরতাল অবরোধের কারণে দেশে অনেক বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।


রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, হরতাল-অবরোধেও খোলা রয়েছে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ক্রেতার অভাবে মালিক ও কর্মচারীরা অবসর সময় কাটাচ্ছেন। হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতা আসলেই তাকে নিয়ে হাঁকডাক শুরু হচ্ছে। প্রতিযোগিতা করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ক্রেতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।

কাপড় ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে দিনগুলোতে হরতাল অবরোধ থাকে সেই দিনগুলোতে কোন ক্রেতা আসে না। যে দু-একজন আসেন তারা ঘুরে চলে যান। এত বড় মার্কেটে দু-একজন ক্রেতা আসলে কি তাতে বেচাকেনা হয়?

অপর এক ব্যবসায়ী মানিক হোসেন বলেন, এই যে এক মাস ধরে অবরোধ হরতাল চলছে। এই এক মাসে যে টাকা বেচাকেনা করেছি সেই টাকায় বিদ্যুৎ বিলও হয় না। এরপর আবার দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতনসহ কত টাকা খরচ আছে- একটা দোকান চালাতে।

শ্যামলী স্কয়ারের এক ব্যবসায়ী বলেন, করোনার সময় একবার দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতন অবস্থা হয়েছিল। তারপর করোনা শেষ হলে আস্তে আস্তে আবার নতুন করে ব্যবসা গুছিয়ে নিচ্ছি। আর আবার হরতাল-অবরোধ শুরু হলো। এই হরতাল অবরোধে দোকান বন্ধও থাকছে না, তবে বিক্রিও নেই। কিন্তু একদিন দোকান খুললেও অনেকগুলো টাকা খরচ হয়। দোকান খুলে যদি ক্রেতা না আসে দোকানের খরচই না ওঠে তইলে দোকান খুলেই লাভ কি বলেন? এর থেকে তো বন্ধ রাখায় ভালো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড সালেহ উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, যেকোন দেশেই যদি পলিটিক্যাল স্ট্যাবল না থাকে, যদি অস্থিরতা থাকে তাহলে সেই দেশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে- এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেখতেই পাচ্ছি সব ধরনের ওয়ার্কাররা (কর্মীরা) টেনশনে আছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা টেনশনে আছেন, মালিকরা টেনশনে আছে। সব থেকে ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে। আর যারা খেটে খাওয়া মানুষ তারা যথাসময়ে যথাস্থানে কাজে যেতে পারছে না। ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রান্সপোর্ট খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলে এই হরতাল অবরোধে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ প্রায়।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, সার্বিকভাবে বলা যায় যে- দেশের উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্থিতিশীলতা থাকতে হবে। রাজনৈতিক কোন ঝামেলা না থাকলে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। চলমান এই হরতাল অবরোধের কারণে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে প্রচেষ্টা তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, দেশে এক দিনের হরতালে দেশে ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এই হিসেবে বিগত মাস থেকে চলমান হরতাল অবরোধের কারণে দেশে অনেক বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের ইকোনমিক (অর্থনীতির) সাইজ অনেক বড়। আগে আমাদের মাত্র ৭০ বিলিয়ন ইকোনমিক সাইজ ছিল কিন্তু এখন সেটা ৪৭০ থেকে ৪৮০ বিলিয়ন। এখন আমাদের ইকোনমিক সাইজ বড় হয়েছে; আমাদের ইকোনমিকে ক্ষতিও বেশি লাভও বেশি। দেশের অর্থনীতিকে এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে হলে হরতাল-অবরোধ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

;

চলতি মাসে রিজার্ভে যুক্ত হচ্ছে এক বিলিয়ন ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে ঋণের কিস্তি পাবে বাংলাদেশ। এতে দেশের রিজার্ভে যুক্ত হবে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আইএমএফ থেকে চলতি মাসে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। এ ধাপে ৬৮ কোটি ডলার ছাড় করবে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি। সংকটের মধ্যে বিদেশি ঋণ আসায় রিজার্ভ কিছুটা স্থিতিশীল হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চলতি মাসে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি সংস্থাটির পর্ষদে অনুমোদিত হওয়ার কথা। অনুমোদিত হলে পরের দিনই দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যুক্ত হবে। এছাড়া একই মাসে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে রিজার্ভে বাজেট–সহায়তার ৪০ কোটি ডলার যুক্ত হবে। এর ফলে চলতি মাসে ১০৮ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার দেশে আসতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, চলতি মাসে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণের অর্থ রিজার্ভে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঋণের এসব ডলার পেলে রিজার্ভে প্রভাব পড়বে। ফলে চলতি মাসে রিজার্ভ আর কমার সম্ভাবনা নেই।

আইএমএফ চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় হয়। তবে চলতি ডিসেম্বর থেকে পরের সব কিস্তির পরিমাণই প্রায় ৭০ কোটি ডলার করে।

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, গত জুনে বাংলাদেশের প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ থাকার কথা ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার। কিন্তু তা রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য ছিল ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। সেটিও হয়নি। ডিসেম্বরের লক্ষ্য ২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ তাও পারবে না বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে।

এরপর বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকৃত রিজার্ভ নতুন করে ২ হাজার ৯৩ কোটি ডলারে বেঁধে দেয় আইএমএফ। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটির মানদন্ড বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে রয়েছে। ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি ডলার। সে হিসাবে আগামী জুন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বর্তমানে প্রতিদিন রিজার্ভ থেকে সাত-আট কোটি ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও জ্বালানি কেনার জন্য এ পরিমাণ ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়।

দেশে প্রায় দুই বছর ধরে চলছে ডলার সংকট। এই সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তাতে বেশ একটা সুফল বয়ে আনতে পারে নি আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এখনো রিজার্ভ থেকে ধারবাহিকভাবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এই সংকটের মধ্যে বিদেশি ঋণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;

রেকর্ড বৃদ্ধির পর কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রেকর্ড দাম বৃদ্ধির এক সপ্তাহ পর সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ৭৫০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরি হবে ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা। এর আগে রেকর্ড দাম ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে জানিয়ে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮৯ হাজার ৯২৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম (ভ‌রি) ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১৪০০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা।

;

সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে আমিরাতের প্রবাসীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের শেষের দিকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। চলমান রিজার্ভ সংকটের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এ প্রবাসী আয় অর্থনীতিতে কিছু জন্য স্বস্তি এনেছে। গত কয়েক মাস ধরেই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে বেশি পরিমাণের রেমিট্যান্স আসছে।

সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসেও রেমিট্যান্স আসার শীর্ষে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত মাসে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা ১৯৩ কোটি ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা। নভেম্বরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা গত মাসে দেশে আসা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২০ শতাংশ। এর আগের মাসে (অক্টোবর) আমিরাতের প্রবাসীরা ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন।

আমিরাত ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, নভেম্বরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। এক মাসে ইউরোপের এ দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে গেল মাসে ২১ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। ইতালিতে থাকা দেশের প্রবাসীরা নভেম্বরে ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়াও, মালয়েশিয়া থেকে ১৪ কোটি ২৮ লাখ, কুয়েত থেকে ১১ কোটি ৬৫ লাখ, কাতার থেকে ৮ কোটি ৭৬ লাখ, বাহরাইন থেকে ৪ কোটি ৭৬ লাখ এবং সিঙ্গাপুর থেকে নভেম্বর মাসে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষে ছিল সৌদি আরবে থাকা প্রবাসীরা। ২০২১-২২ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি থেকে ৪৫৪ কোটি ১৯ লাখ ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স আসার গতি কমলেও শীর্ষে ছিল। গত অর্থবছরে ৩৭৬ কোটি ৫২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল সৌদি থেকে। তবে চলতি অর্থবছরের শুরুতেই রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষে উঠে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

;