বিক্রি নয়, বিদেশিদের আকৃষ্ট করাই টার্গেট
সত্তরের দশকে দেশের মোট আয়ের ৮০ শতাংশ উপার্জিত হতো পাট খাত থেকে। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় পাট খাতে সেই সোনালি দিন আর নেই। কিন্তু পাট খাত এখনো সম্ভাবনাময়। বর্তমানে পাট থেকে ২৫০ প্রকারের পণ্য উৎপাদন করা হয়।
চলতি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের (জেডিপিসি) অধীনে বিভিন্ন পাটজাত পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। তবে মেলায় পাটপণ্য বিক্রি নয়, বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করাই মূল টার্গেট।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মেলার জেডিপিসি প্যাভিলিয়ন ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, প্রায় সব বয়সী ক্রেতারা পাট পণ্য দেখে আকৃষ্ট হচ্ছেন। দামও সাধ্যের মধ্যে। স্কুলব্যাগ ৭৩০-১২০০ টাকা, ম্যাসেঞ্জার ব্যাগ ৫০০-৭০০ টাকা, ভ্যানিটি ব্যাগ ৪০০-৯০০ টাকা, হিজাব পিন ৩০ টাকা, মাথার ব্যান্ড ১০০ টাকা, চাবির রিং ১০০ টাকা, কুঁড়ে ঘর ২০০ টাকা, শোপিস ২৫০-১০০০ টাকা, জুতা ১০০০ টাকা, থাই পাখির বাসা ৯০০ টাকা, পাপোশ ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভ্যানিটি ব্যাগের ক্রেতা মাসুমা বলেন, মেলা থেকে পাটের একটি ভ্যানিটি ব্যাগ কিনেছি। দাম ৫০০ টাকা। ব্যাগটি দেখতে অনেক সুন্দর। আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
কলেজ ছাত্রী নাফিসা জানান, তিনি কিছু শোপিস কিনেছেন। এগুলো তিনি তার বন্ধুদের উপহার দেবেন।
জেডিপিসি প্যাভিলিয়নের ব্যাগ বাজারের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার মো. সোহান বলেন, মেলায় বিক্রি মোটামুটি হচ্ছে। তবে পাটপণ্য বিক্রি করা আমাদের মূল টার্গেট না। আমরা প্রচারণার জন্য এখানে এসেছি। আমাদের মূল টার্গেট বিদেশি ক্রেতা। কারণ তাদের মাধ্যমে আমরা বিদেশে পাটপণ্য রপ্তানি করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, গতবারের চেয়ে এবার বিদেশি ক্রেতা কম। এ কারণে আমরা কিছুটা হতাশ।
১ জানুয়ারি শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলার মেয়াদ আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি মেলা বন্ধ থাকবে।