প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ৫০০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ইউনিসেফ ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশনের (জিপিই) আওতায় এ অনুদান পাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই টাকার অধিকাংশই ব্যয় হবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে।প্রাথমিকভাবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে অনুদানের প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে। এর অধিকাংশই ব্যয় হবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউনিসেফের মধ্যস্থতায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ অর্থ পাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা।

বিজ্ঞাপন

এ সংক্রান্ত একটি কর্মশালা রোববার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, করোনার পরপরই এ অনুদান পাওয়ার কথা ছিল। তবে নানা কারণে চুক্তিটি প্রায় বাতিলই হতে চলেছিল। সবার প্রচেষ্টায় চুক্তিটি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অনুদানের অর্থ ব্যয় হবে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সিস্টেম ক্যাপাসিটি, সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন এবং মাল্টি প্ল্যান গ্রান্ট। সিস্টেম ক্যাপাসিটির মধ্যে শিক্ষকদের উন্নয়ন, উচ্চতর প্রশিক্ষণ এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ খাতে প্রাপ্ত অর্থ মূলত শিক্ষকদের উন্নয়নে ব্যয় হবে। এছাড়া ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) ব্যবহার করে কীভাবে সেবা সহজীকরণ করা যায় সে খাতেও অর্থ ব্যয় করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা দুই ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। তবে সেটি পর্যাপ্ত নয়। শিক্ষকদের মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতির উন্নয়নসহ সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর জন্যই মূলত অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ৫ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া যাবে। প্রতি বছর চারটি কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ৬৭ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। প্রাপ্ত অর্থগুলো প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যয় করা হবে।