মেহেরপুরে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে যাবে ব্যালট পেপার
ভোট এলো, এলো ভোটঅবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে মেহেরপুর জেলা রিটার্নিং অফিসার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার। ভোট কারচুপি ঠেকানো ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন রির্টার্নিং অফিসার। ভোটের আগে ও পরে সাজানো হয়েছে ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত মেহেরপুর-১ আসন। এ আসনটিতে ১১৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭। অপরদিকে গাংনী উপজেলা নিয়ে গঠিত মেহেরপুর-২ আসনটির কেন্দ্র সংখ্যা ৯০টি। এ আসনটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৯।
মেহেরপুর-১ আসনে ৬ জন এবং মেহেরপুর-২ আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সাধারণের মানুষের মাঝে এখনও রয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে ভোটের দিন সকালে।
অভিযোগ রয়েছে, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে গোপন বুথের বাইরে ওপেন সিল দিতে হবে ভোটারদের। এমন হুমকি দিয়েছেন কয়েজনজন প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা। ফলে ভোটারদের মধ্যে একটি চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নানা অভিযোগ করেছেন রির্টার্নিং কর্মর্তার কাছে। তবে ভোটকেন্দ্রে এমন কোন অপকর্মের সুযোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন রির্টার্নিং অফিসার এবং পুলিশ সুপার।
ভোটের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, ভোট সুষ্ঠু করতে ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা একটি বড় বিষয়। তাই ছোট ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার নিজে এসে ভোটের দিন সকালে ব্যালট নিবেন। এছাড়াও অঞ্চলভিত্তিক একটি হাব করে সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটারদের ভোট প্রদান কার্যক্রম নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভোট কেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য নানামুখী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক।
তিনি বলেন, ছয়টি দায়িত্ব নির্দিষ্টভাবে পালন করবে জেলা পুলিশ। নির্বাচনী এলাকায় ও ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দলিল-দস্তাবেজ আনা-নেওয়া কার্যক্রম এবং ভোট সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নির্বাচন কার্যালয় সমূহ, রির্টার্নিং ও সহকারী রির্টার্নিং অফিসারের কার্যালয় সমূহের নিরাপত্তা দেওয়া। স্থানীয় জননিরাপত্তা ও ভোট কেন্দ্র ভোটারগণের সুশৃঙ্খল লাইনসহ স্থানীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং ভোটারগণের জন্য একটি নিরাপত্তা মূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়াও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে প্রয়োজীয় মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের নির্দেশনামত যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।