‘কয়েক ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে নির্বাচন অর্থবহ হয়েছে কিনা বলা সম্ভব না’

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশের গণমাধ্যম খুব সজাগ। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা সেটা দেশের মানুষ বলবে, রাজনৈতিক দলগুলো বলবে, নির্বাচন কমিশন বলবে সর্বোপরি গণমাধ্যম বলবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বুঝা যাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা। কয়েকঘণ্টায় কয়েকটা কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন অর্থবহ হয়েছে কিনা সে মন্তব্য আমরা করতে পারবো না। আমরা পর্যবেক্ষক হিসেবে দেখেছি নির্বাচনের যে প্রসেস সেটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হয়েছে কিনা, মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছে কিনা।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন শ্রীলঙ্কার মুসলিম কংগ্রেসের মেম্বার অব পার্লামেন্ট সায়েদ আলী জহির।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা আসার পর জানতে পারি যে, নির্বাচন বিরোধীরা একটি ট্রেনে আগুন দিয়েছে। আমরা ভোটকেন্দ্র ভাঙা, ব্যক্তিগত ও সরকারি যানবাহনে আগুন লাগানোর কিছু খবরও শুনেছি। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার জন্য এই ধরনের কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই ধরনের সহিংস নাশকতার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সরকার গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। আমরা ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছি এবং গতকাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ রয়েছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষ লম্বা লাইনে ভোট দিচ্ছেন। এর মধ্যে নারী ও নতুন ভোটারদের উপস্থিতি আমাদের নজর কেড়েছে। সব কেন্দ্রের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখতে পাই, ভোট দিতে যাওয়ার পথে কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দল দ্বারা ভোটারদের কোনো ভয়ভীতি দেখা যায়নি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বলতে পারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সূর, এশিয়া টাইমসের বিশেষ প্রতিবেদক জাভিয়ের পিয়েদরা, কনজারভেশন কমনওয়েলথ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এমানুয়েল ফিনদোরো-ওবাসি, আফ্রিকা হাউজ লন্ডনের পরিচালক রিচার্ড সেমেতিগো, আইডিসিও এর সভাপতি জুন শিনদো, মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমজাদ মুশতাফা, এডিইএল এর ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আইদ মোহামেদ, নেপাল মুসলিম কমিশনের সভাপতি সামিম মিয়া আনসারি ও সদস্য মোহামেদিন আলী, থাইল্যান্ডের মানবাধিকার কর্মী জুরপাস পিথাকসেকাথারন ও ইরাকের মানবাধিকার কর্মী তালার মাহমুদ কারীম।