ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫২৮ কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ, সাধারণ ২৩৩

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬টি সংসদীয় আসনের ৭৬১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫২৮টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।এর মধ্যে ২৩৩টি ভোটকেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলায় ৮১টি মোবাইল টিম, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ ২ হাজার ৭২ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর রেলের ৪৪টি ও মহাসড়কের ১১টি পয়েন্টে ৩৬৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের ৩৪ জন প্রার্থী আছেন। তবে দুই আসনে দুই প্রার্থী নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।৭ জানুয়ারি জেলার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯১টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। এতে ৭৬১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৫ হাজার ৯১ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১০ হাজার ১৮২ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজ্ঞাপন

জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৭ জন ও নারী ভোটার ১১ লাখ ৪২ হাজার ৬ জন।এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ১০জন ভোটার রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের ৭৯টি ভোটকেন্দ্রের ৪৮০ কক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সরাইলে ৮৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৪৭টি কক্ষ ও আশুগঞ্জের ৪৮টি ভোটকেন্দ্রের ৩০২টি কক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সদরে ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯৫টি ভোটকক্ষ ও বিজয়নগরে ৬৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪৪৪টি কক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে ১১৮টি ভোটকেন্দ্রের ৮৮০টি কক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে ১৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৯৭৭টি কক্ষ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে ৯১টি ভোটকেন্দ্রের ৫৬৬টি কক্ষে ভোটগ্রহন হবে।

বিজ্ঞাপন

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ২ হাজার ৭২ জন পুলিশের সদস্য থাকবেন। র‍্যাবের ১৩ প্লাটুনে সদস্য থাকবেন ২৬০ জন। ১৯ প্লাটুনে ৩৮০ জন বিজিবির সদস্য টহল দেবেন। ১৯ প্লাটুনে ৩৮০ জন আনসার সদস্য টহল দেবেন।

এ ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় পুলিশের ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৮১টি মোবাইল দল মোতায়েন থাকবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে থাকবেন ৪৩জন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ১২জন। এছাড়া ৬টি ইলেক্ট্রোরাল কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটের দিন রেললাইন পাহারায় ৪৪টি পয়েন্টে এবং মহাসড়কের ১১টি পয়েন্টে ৩৬৫ জন আনসার সদস্য কাজ করবেন। প্রতি ভোটকেন্দ্রে এক থেকে দুজন করে পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপির একজন অস্ত্রধারী প্লাটুন কমান্ডার ও একজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রতি ভোটকেন্দ্রে এক থেকে দুইজন অস্ত্রধারী পুলিশ ও দুইজন অস্ত্রধারীসহ ১২জন আনসার সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যও দায়িত্ব পালন করবেন।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) আজাদ রহমান বলেন, ৫২৮টি কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকি ২৩৩টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠু ভোটে ব্যাঘাত ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।