ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫২৮ কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ, সাধারণ ২৩৩

  ভোট এলো, এলো ভোট


ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬টি সংসদীয় আসনের ৭৬১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫২৮টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।এর মধ্যে ২৩৩টি ভোটকেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলায় ৮১টি মোবাইল টিম, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ ২ হাজার ৭২ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর রেলের ৪৪টি ও মহাসড়কের ১১টি পয়েন্টে ৩৬৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের ৩৪ জন প্রার্থী আছেন। তবে দুই আসনে দুই প্রার্থী নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।৭ জানুয়ারি জেলার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯১টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। এতে ৭৬১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৫ হাজার ৯১ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১০ হাজার ১৮২ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৭ জন ও নারী ভোটার ১১ লাখ ৪২ হাজার ৬ জন।এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ১০জন ভোটার রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের ৭৯টি ভোটকেন্দ্রের ৪৮০ কক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সরাইলে ৮৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৪৭টি কক্ষ ও আশুগঞ্জের ৪৮টি ভোটকেন্দ্রের ৩০২টি কক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সদরে ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯৫টি ভোটকক্ষ ও বিজয়নগরে ৬৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪৪৪টি কক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে ১১৮টি ভোটকেন্দ্রের ৮৮০টি কক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে ১৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৯৭৭টি কক্ষ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে ৯১টি ভোটকেন্দ্রের ৫৬৬টি কক্ষে ভোটগ্রহন হবে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ২ হাজার ৭২ জন পুলিশের সদস্য থাকবেন। র‍্যাবের ১৩ প্লাটুনে সদস্য থাকবেন ২৬০ জন। ১৯ প্লাটুনে ৩৮০ জন বিজিবির সদস্য টহল দেবেন। ১৯ প্লাটুনে ৩৮০ জন আনসার সদস্য টহল দেবেন।

এ ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় পুলিশের ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৮১টি মোবাইল দল মোতায়েন থাকবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে থাকবেন ৪৩জন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ১২জন। এছাড়া ৬টি ইলেক্ট্রোরাল কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটের দিন রেললাইন পাহারায় ৪৪টি পয়েন্টে এবং মহাসড়কের ১১টি পয়েন্টে ৩৬৫ জন আনসার সদস্য কাজ করবেন। প্রতি ভোটকেন্দ্রে এক থেকে দুজন করে পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপির একজন অস্ত্রধারী প্লাটুন কমান্ডার ও একজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রতি ভোটকেন্দ্রে এক থেকে দুইজন অস্ত্রধারী পুলিশ ও দুইজন অস্ত্রধারীসহ ১২জন আনসার সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যও দায়িত্ব পালন করবেন।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) আজাদ রহমান বলেন, ৫২৮টি কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকি ২৩৩টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠু ভোটে ব্যাঘাত ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

উপজেলা নির্বাচন: ১৬০ উপজেলার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন মঙ্গলবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৬০ উপজেলার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন মঙ্গলবার

১৬০ উপজেলার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন মঙ্গলবার

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)। অফিস চলাকালীন সময়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ধাপে ১৬০ উপজেলা ভোটে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন। বাছাই-আপিল শেষ হওয়ায় বৈধ প্রার্থীদের কেউ নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাইলে মঙ্গলবারই তার শেষ সময়।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি, যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত রয়েছেন।

তফসিল অনুযায়ী, চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

নির্বাচন কমিশন এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন করছে। প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮মে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

‘নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করলে, গুজব ছড়ালে রেহাই নেই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করলে বা কোনো ধরনের গুজব ছড়ালে রেহাই নেই বলে সতর্ক করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি)ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে চট্টগ্রামের সন্ধীপ, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আসন্ন উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উপহার দেওয়া হবে। নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। কেউ জাল ভোট দিতে আসলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের চ্যালেঞ্জ করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা আমরা দেব। গত সংসদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে জেলে পাঠানো হয়েছিল। জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল বা অন্যান্য অজুহাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে কেউ কোনো ধরনের গুজব ছড়ালে ছাড় নেই। আমাদের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। প্রার্থীরা যদি মনে করেন আছে, তাহলে তালিকা দিলে যাচাই-বাছাই করে দেখব, আশঙ্কার জায়গা থাকবে না।’

নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় পাশে থাকবে বলে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আইনের স্বপক্ষে থেকে যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে সন্দ্বীপে নির্বাচনের আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে জানান আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তবে অন্যান্য উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে ভোটের দিন সকালে ভোট গ্রহণের আগে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিধিবিধান বা পরিপত্র মেনে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্রে বা বাইরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যা যা করা দরকার তাই করব। কোনো অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করব না।’

জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে।’

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ জয়ী হবে, কেউ পরাজিত হবে-এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সবাই আপনাদের পাশে আছে। নির্বাচনী এলাকায় অনুমতি ব্যতীত কোনো যানবাহন চলবে না। ভোটারদের কেন্দ্রে আনা-নেওয়ার জন্য যানবাহন ভাড়া করাও অবৈধ। আগামী ৮ মে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ৬ মে রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো পথসভা যাতে জনসভায় রূপ না নেয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘জাল ভোট, কেন্দ্র দখল বা অন্যান্য অজুহাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ‘একজন প্রার্থীর পোস্টারের ওপর অন্য প্রার্থীর পোস্টার লাগানো যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও প্রার্থীরা বক্তব্য দেন।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

আচরণবিধি ভঙ্গ হলেই প্রার্থিতা বাতিল: ইসি হাবিব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিন খান (অব.) বলেছেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যদি আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়, বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এটা একদম পরিষ্কার কথা।’

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থীর যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে লিখিত আকারে রিটার্নিং তথ্য-প্রমাণ সহকারে অফিসারকে দেন। কেউ গন্ডগোল করছে ভিডিও করে ফেলেন, কেউ বাধা দিচ্ছে ভিডিও করে ফেলেন। যদি আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়, বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে প্রয়োজনে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এটা একদম পরিষ্কার কথা।

আহসান হাবিব খান বলেন, প্রত্যেক প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। সেই প্রার্থী যদি একটা উঁচু দরের ব্যক্তির ভাই হয়, বোন হয় অথবা সেই প্রার্থী যদি একজন জেনারেল সাহেব হন, অথবা ওই প্রার্থী যদি একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল হন, আমির-ফকির যেই হোক, আমাদের দৃষ্টিতে সকল প্রার্থীই সমান। আমরা ভালোকে ভালো বলব, খারাপকে খারাপ বলন। কোনো পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ আমাদের কারোর মাঝে পাবেন না।

তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রার্থীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বেশি চেয়েছেন। আমরা বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগে, সব দিয়ে দেব। আমরা যে পর্যায়ে নির্বাচনটাকে নিয়ে গিয়েছি, সেখান থেকে কিন্তু আর নিচে নামব না, নামতে পারব না। দিন দিন কিন্তু আরও উপরের দিকে যেতে হবে। এটা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি, আপনার অঞ্চলের ভাবমূর্তি, জনগণের ভাবমূর্তি, বিদেশের কাছে দেশের ভাবমূর্তি।

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেছেন- ইসি আহসান হাবিব।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে সাংবাদিকদের কোনো অনুমতি লাগবে না। সাংবাদিকরা ভোটকক্ষে যেতে পারবেন, ভিডিও করতে পারবেন। তবে লাইভ করতে হলে কক্ষের বাইরে বারান্দায় এসে করেন, কোনো অসুবিধা নেই। কারণ এই সাংবাদিকরাই কিন্তু আমাদের তৃতীয় চোখ-কান হিসেবে কাজ করছে।

ব্যালট পেপারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা সিদ্ধান্তই নিয়েছি এখন থেকে যত নির্বাচন হবে, সব নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট যাবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব)।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই উপজেলার সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আখতার মুক্তা এবারও একই পদের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ময়মনসিংহে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়ম আক্তার মুক্ত মারা যান।

নির্বাচন স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তাছাড়া, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতঃপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদের নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না এবং পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীগণকে প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে। উক্ত পদে বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী মারুফ হাসান জামী।

গোপালপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ৭১ ভোট। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ জন।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;