সালমা ইসলাম দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে যাবে: সালমান এফ রহমান

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান এফ রহমান বলেছেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী গত নির্বাচনে একই কাজ করেছে। আপনারা দেখবেন ১২ টা একটার দিকে উনি নির্বাচন থেকে সরে যাবে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০ টায় দোহার শাইনপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটদান শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় স্ত্রী রুবাবা রহমান, বড়ভাই সোহেল রহমান ও ভাবিকে নিয়ে একসঙ্গে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় পার্টির প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, উনি ২০১৮ সালেও আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তখনও দুপুরের দিকে মিথ্যা অভিযোগ করে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিল। আমার মনে হয় এবারও সরে যাবে। উনি জানেন জিততে পারবে না, সে কারণে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

তিনি আরও বলেন, কোন এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সে কি মারা নিখোঁজ হয়েছে! পুলিশ ও ইলেকশন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন না কেনো। মিথ্যা অভিযোগ করা তার পুরনো অভ্যাস, হেরে যাওয়ার ভয়ে এসব করছে।

বিজ্ঞাপন

ভোটার উপস্থিতিকে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, লোকজন ভোট দিতে আসছেন, তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম অভিযোগ করেছেন ৯টি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এজেন্টদের রাতের বেলা মারধোর করা হয়েছে।

ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০৫ জন। আসনটিতে ১৯৯১ সাল থেকে টানা ৩টি সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মান্নান খান নির্বাচিত। ২০১৪ সালে মান্নান খানকে হারিয়ে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী যমুনা গ্রুপের কর্ণধার অ্যাড. সালমা ইসলাম। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান এফ রহমানের কাছে পরাজিত হন সালমা ইসলাম।

এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন সালমান এফ রহমান, আর লাঙল প্রতীকে লড়ছেন ২০১৮ সালের প্রতিদ্বন্দ্বি সালমা ইসলাম। আসনটিতে আরও ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন তৃণমূল বিএনপির মুফিদ খাঁন (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আব্দুল হাকিম (আম), ওয়ার্কার্স পার্টির করম আলী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি সামছুজ্জামান চৌধুরী (একতারা), গণফ্রন্ট শেখ মো. আলী (মাছ)। তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনার দেখছেন ভোটাররা।