টিভি নাটকের প্রযোজনায় কোমর বেঁধে নেমেছে সরকার মিডিয়া। তাদের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একের পর এক কনটেন্ট সাড়া জাগাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার মিডিয়ার প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে নাটক ‘গহনা’।
আরিফুল ইসলাম স্বপনের গল্প এবং অপূর্ণ রুবেলের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন হুমায়ুন রশিদ সম্রাট।
বিজ্ঞাপন
পছন্দের গহনা, সংকট, সম্ভাবনা, পরিবার ও ভালোবাসার অদ্ভুত টানাপোড়েনের এই গল্পে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও তাসনিয়া ফারিন। আরও রয়েছেন সাবেরী আলম, জাকির হোসেন রাসেল, আফরোজা শশী, তৃণা, তিতলী পাপিয়া, হ্যাপি, আরাবী।
গহনার নির্বাহী প্রযোজক শাহেদ চৌধুরী। এইচ এম জামানের সিনেমাটোগ্রাফিতে এর সম্পাদনা ও রঙবিন্যাস করেছেন রমজান আলী।
বিজ্ঞাপন
আগামী ২৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় আরটিভিতে প্রচারিত হবে ‘গহনা’। একইদিনে রাত ৯টায় সরকার মিডিয়ার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হবে নাটকটি।
ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে উদযাপিত হলো অবাক করা এক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় তারকাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত পশ্চিমা স্টাইলের র্যাম্প শো এখন মুসলিম বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ইসলামি বিধিবিধানের রক্ষণশীল সৌদি আরবে এমন আয়োজন দেখে অবাক বিশ্ব। ১৩ নভেম্বর (বুধবার) আরবের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে ‘এলি সাব শো’র আয়োজন করা হয়েছিল।
শোতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন জেনিফার লোপেজ, সেলিন ডিওন সহ বেশ কয়েকজন পশ্চিমা সঙ্গীত শিল্পী। অন্যান্য অমুসলিম দেশের প্রচলিত স্টাইলে ক্যাটওয়াক, উন্মুক্ত পোশাক-পরিচ্ছদ এবং পশ্চিমা নাচ-গান উপভোগ করতে দেখা যায় অংশগ্রহণকারীসহ স্থানীয় দর্শকদেরও। র্যাম্পওয়াকের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত হন অস্কার জয়ী অভিনেত্রী হ্যালি ব্যারিও।
রিয়াদের এই জমকালো ফ্যাশন শো-এর কারিগর এলি সাব। তিনি লেবানিজ একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। কর্মজীবনের ৪৫ বছর পূর্তির আনন্দে তার ডিজাইন করা ৩০০ টির মতো পোশাক পরে র্যাম্পওয়াক করেন মডেল এবং তারকারা। শো’য়ের থিম ছিল ‘১০০১ সিজনস অব এলি সাব’।
১০০১ রাতের গল্পের ‘এরাবিয়ান নাইটস’ বা ‘আরব্য রজনী’ অর্থাৎ স্থানীয় প্রচলিত লোককাহিনী ‘কিতাব আলফে লায়লা-ওয়া লায়লা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই প্রচেষ্টা এলি সাবের।
রিয়াদ শহর দেখে যেন কিছুসময়ের জন্য চেনাই যাচ্ছিল না যে, এই সেই আদিকাল থেকেই রক্ষণশীল পোশাক পরার প্রচলিত নিয়মের দেশ সৌদি আরব। কঠোরভাবে ইসলামি রীতি মেনে চলার দেশ হলেও, গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব ক্রমাগত উদার হচ্ছে। রক্ষণশীল নিয়মগুলো শিথিল হচ্ছে। তবে পবিত্র ভূমিতে ব্যতিক্রম এই আয়োজনে কট্টর সমালোচনা করেছেন অনেকে।
সমালোচনার মধ্য দিয়েই বর্তমান যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমান একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। নারী স্বাধীনতার প্রসার এবং আধুনিকতার তালে তাল মিলিয়ে এবার পশ্চিমা পোশাকেরও গৃহপ্রবেশ হলো মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্র সৌদিতে।
এদিকে সফল শো অনুষ্ঠানে খুশি আয়োজকরা। তারা জানান, এলি সাবের পোশাক সারা বিশ্বে নন্দিত। শো-তে প্রদর্শিত পোশাকে আগামী কয়েক মাসে বহু নারী বিয়ের আসরে বসবেন। এটি হয়ে উঠবে তাদের স্মৃতির এক অনুষঙ্গ।
প্রথম আলোর ‘ক্যাফে লাইভ’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে বেশ পরিচিতি পান সারা ফ্যায়রুজ যাইমা। এরপর তাকে নানা ধরণের শো উপস্থাপনা করতে দেখা গেছে। বর্তমানে তিনি আরটিভির ‘জুম বক্স’ নামে একটি জনপ্রিয় পডকাস্ট হোস্ট করছেন।
গত বুধবারেও তিনি এই পডকাস্টের একাধিক এপিসোডের শুটিং করেছেন। তার অতিথি হিসেবে সামনের সেই পর্বগুলোতে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম শিকদার ও তানহা তাসনিয়াকে।
আর আজই পাওয়া গেলো সারা’র বিয়ের খবর। অনেকেই জানেন, শোবিজে সারার প্রিয় দুই বান্ধবী মডেল-উপস্থাপক পিয়া জান্নাতুল আর অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। সেই পিয়াই তার প্রিয় বন্ধুর বিয়ের ছবি ফেসবুকে একটু আগে পোস্ট করেছেন।
পিয়া নব দম্পতির ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কি দারুণ ছবিটি! আমি তোমার জন্য খুব খুশি সারা। গরম গরম বিয়ের ছবি।’
পরে পিয়া জান্নাতুলকে ফোন করা হলে তার দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘আমি ব্যাংককে রয়েছি। তাই ফোন নম্বর বন্ধ পাচ্ছেন।’
পিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, সারার বরের নাম কুশল। তিনি একইসঙ্গে চাকুরী এবং ব্যবসা করেন। কুশলের সঙ্গে পিয়াকে বেশ আগেই সারা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
সারার বিয়ের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বর-বউয়ের খুবই সাদামাটা সাজ পোশাক। সারা সেজেছেন সাদা জামদানিতে। মাথায় একটি মেরুণ নেটের সোনালি কাজ করা ওড়না। আর হালকা কিছু গোল্ডের গয়না। আর তার স্বামীর পরণে সাদা সুতি পাজামা-পাঞ্জাবি।
বিয়ের ছবি দেখে মনে হচ্ছে তারা কোন মসজিদে ছোট্ট পরিসরে আকদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছেন। তবে বিয়ের আয়োজন কিংবা ছবি যতোই সাদামাটা হোক না কেন, ছবিটিতে তাদের অন্তরে প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঠিকই রয়েছে দারুণভাবে। দুজনকে বেশ মানিয়েছে এটা বলতেই হবে।
বিয়েটা মসজিদে হয়েছে কি না জানতে চাইলে পিয়া জান্নাতুল বলেন, ‘এখনই সবটা বলতে চাই না। বিয়ের ব্যাপারে সারাই সবকিছু বলুক সেটি চাই। আমি শুধু বলতে চাই, আজ একেবারেই দুই পরিবারের অল্পকিছু মানুষ নিয়ে আকদ সম্পন্ন হয়েছে সারার। সামনে ভালো দিনক্ষণ দেখে তারা বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবে। তাই আজ বন্ধুর বিয়ে মিস করলেও অনুষ্ঠানের দিন খুব আনন্দ করবো আশা করি।’
আগামী ২২ নভেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যান্ড জলের গানের একক কনসার্ট ‘মনের আনন্দে জলের গান’। কারওয়ান বাজারে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের ১৬ তলায় অ্যাটেনশন নেটওয়ার্কে সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হবে এই আয়োজন। টানা ২ ঘণ্টা গাইবেন জলের গানের শিল্পীরা।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান নূর ইভেন্টসের কর্ণধার সুমী নূর জানান, ‘আমরা এই শহরে গান ও কবিতার নানা নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে সবার মনের ক্ষুধা মেটাতে চাই। মনের আনন্দে জলেন গান সেই প্রয়াসের একটি অংশ।’
জলের গানের পক্ষে কনক আদিত্য বলেন, ‘একটানা ২ ঘণ্টা গান গাইবো, আনন্দ করবো সবাই মিলে। এটাই মূল কথা। সবার আমন্ত্রণ রইলো।’
দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে এখন তেমন একটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব দেখা যায় না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে কাজ করার গুঞ্জন এখনো রয়েছে তাকে নিয়ে। এর মধ্যে আলোচনায় এলো তার বিয়ের খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচিত ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের খবর চাউর হয় চারপাশে। গত সপ্তাহের বুধবার সারা দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আফ্রিদির বিয়ের খবর চর্চিত হয়েছে। পরে সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, টিকটকার রাইসাকে সত্যি সত্যিই বিয়ে করেছেন আফ্রিদি।
কিন্তু সেই খবরের তিন দিন পর জানা গেলো নতুন তথ্য। তৌহিদ আফ্রিদি আসলে টিকটকার রাইসাকে বিয়ে করেননি। এ তথ্য রাইসা নিজেই জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেছেন যে তিনি অনেক আগেই বিবাহিত। ফলে আফ্রিদির সঙ্গে তার বিয়ে কেন হবে?
তবে এই ধোয়াশা তিনি আবার নিজেই কাটিয়ে দিয়েছেন। টিকটকার রাইসা বেশকিছু ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, রাইসা নয়, রামিশা আল রিসাকে বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, যমজ বোন হওয়ায় এবং কাছাকাছি চেহারা হওয়ায় সবাই রাইসাকে আফ্রিদির স্ত্রী ভেবে নিউজ করছে। কিন্তু রাইসা আফ্রিদিও স্ত্রী নয়, তিনি তার শালিকা!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৌহিদ আফ্রিদির এক ঘনিষ্ট বন্ধু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আফ্রিদির বিয়ের খবরে আমি খুবই খুশি হয়েছি। আমার সঙ্গে আফ্রিদির কথা হয়েছে। ব্যস্ততার কারণে আমি বিয়েতে যেতে পারিনি। তবে আমি আমার বন্ধুকে শুভকামনা জানিয়েছি। বলেছি, তোর জীবনটা সুন্দর হোক। ভালো থাকিস।’ কথায় কথায় তৌহিদ আফ্রিদির ওই বন্ধু জানান, এখন পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিলেও সুবিধাজনক সময় দেখে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কাবিনের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
কবে কাবিন হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে আফ্রিদির বন্ধু বলেন, ‘সবকিছু আমার বলে দেওয়াটা আসলে ঠিক হবে না। বিয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আফ্রিদি তার সময়মতো সবাইকে জানাবে।’
এদিকে কয়েক দিন ধরে আবার ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে মডেল ও চিত্রনায়িকা দীঘির প্রেমের সম্পর্ক চাউর হচ্ছিল। এ নিয়ে দীঘিও তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এর মধ্যে গতকাল সকাল থেকে শোনা যাচ্ছিল, বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি! তবে দীঘিকে নয়, অন্য কেউ। তবে আফ্রিদি বিয়ে নিয়ে কোনো কথা বলেননি। এমনকি তার কাছের কেউই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ছবি পোস্ট করেননি।
রিসার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা শোনা গেলেও অবশ্য তা বিয়ের আগ পর্যন্ত স্বীকার করেননি আফ্রিদি। এ ব্যাপারে গতকাল আফ্রিদির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।