একজন দিলদারের প্রয়োজন বাংলার চলচ্চিত্রাঙ্গনে!



মো. কামরুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আশি কিংবা নব্বই দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগত একপাক্ষিক ছিলো না। কাহিনী নির্ভর ছবি তৈরি হতো। নায়ক নায়িকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকলেও খলনায়ক আর সাথে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতাদের ভূমিকা ছিলো তুলনাহীন। বিভিন্ন ভূমিকার কারণে চলচ্চিত্রগুলো থাকতো মানুষের মণিকোঠায়।

একজন কৌতুক অভিনেতা শুধু মানুষকে হাসায় না, কাঁদায়ও। তার অভিব্যক্তি দর্শকদের মনকে নাড়িয়ে তোলে। সেই রকম একটি চরিত্র মানুষের মনে গেঁথে আছে। নাম তাঁর দিলদার। দিলদার নামটি অনেক ছবির নায়ক-নায়িকার চেয়েও শক্তিশালী ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখেছি।

বিনোদন আর কৌতুক এক অপরের পরিপূরক। চলচ্চিত্র মানেই পূর্ণ বিনোদন। দর্শকরা বিনোদন পেতেই সিনেমা হলে যায়। আর কৌতুক হচ্ছে বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ফলে কৌতুক ছাড়া একটি চলচ্চিত্র পূর্ণতা পেতে পারে না।  

শুধু বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নয়, বিশ্বের সব দেশের চলচ্চিত্রে একটা বড় অংশ জুড়েই থাকে কৌতুক পর্ব। কিন্তু বাস্তব সত্য যে, ঢাকার চলচ্চিত্র বর্তমানে আগের জৌলুস ধরে রাখতে পারেনি। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে কৌতুকের মতো বড় চরিত্রগুলো। আমাদের নিত্যদিনের জটিলতায় জীবন যখন নাভিশ্বাসে উঠে যায়, ঠিক তখন একটু হাসি এনে দিতে পারতেন দিলদারের মতো অভিনেতারা। একজন কৌতুক অভিনেতা নায়ক বা খলনায়কের চেয়ে কোনো অংশে কম নন। বাংলা চলচ্চিত্রের শুরুতে যারা দর্শকদের হাসির খোরাক জুগিয়েছেন, তাদের অনেকেই এখন আমাদের মাঝে নেই।

বাংলা চলচ্চিত্রে বেশ কয়েকজন কৌতুক অভিনেতা আছে যাদের নাম না বললে আমার লেখাটাই অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। কতগুলো নাম আর তাদের অভিনয় চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে, দিলদার ছাড়া অন্যরা হলেন সাইফুদ্দিন, হাসমত, পরান বাবু, মতি, ব্ল্যাক আনোয়ার, রবিউল, আনিস, টেলি সামাদ, কাজল, সুরুজ বাঙালি, আফজাল শরীফ প্রমুখ।

জীবদ্দশায় কৌতুক অভিনেতা দিলদার অঘোষিতভাবে বাংলা চলচ্চিত্রের কমেডির রাজপুত্র বনে গিয়েছিলেন। একজন কৌতুক অভিনেতা দিলদারের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি হয়ে এমন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, তাকে নায়ক করে ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়। সেই চলচ্চিত্রে একজন কমেডিয়ানের খোলস ছেড়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন অন্যরূপে। দর্শক তার অভিনয় দেখে যেমন মুগ্ধ হয়েছিলেন, তেমনি দিলদারও দেখিয়েছিলেন চরিত্রের বৈচিত্র্যতা।

পৃথিবীর সব চেয়ে কঠিন কাজ মানুষকে হাসানো। জীবন চলার পথে প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত। কারো চিন্তা জটিল কিংবা কারো চিন্তা ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এমন একটি মুহুর্তে মন বিষন্ন থাকাটাই স্বাভাবিক। এই বিষন্ন মনকে কিছুটা ভাল রাখতে আমরা আশ্রয় নেই কোন না কোন বিনোদনের দিকে। সেই সব বিনোদনগুলোর মধ্যে চলচ্চিত্র একটি উত্তম মাধ্যম। কেননা মনের মতন একটি চলচ্চিত্রই পারে আপনার মনে প্রশান্তির ছোঁয়া দিতে কারন চলচ্চিত্র যে জীবনেরই গল্প। সেই গল্পকে একটু রসালো করতে আর্বিভাব ঘটে কৌতুক অভিনেতার যারা মানুষকে হাসায়, চলচ্চিত্রটিকে করে তুলে প্রাণবন্ত।

প্রায় নব্বই দশক পর্যন্ত ঢাকার চলচ্চিত্রে কৌতুক অভিনেতাদের চাহিদা ছিলো অপরিসীম। তখন অবস্থা এমন ছিল যে, কৌতুক পর্ব ছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাণ করা অসম্ভব ছিল। আর এখন এই প্রধান বিনোদনটিই চলচ্চিত্র থেকে রীতি মতো উধাও হয়ে গেছে। নেই আগের মতো কৌতুক অভিনেতা এবং কৌতুক দৃশ্য যে জন্য বর্তমানে সিনেমা দেখে আনন্দ না পাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে যুক্ত হয়েছে চলচ্চিত্রে কৌতুক পর্ব বা কৌতুক অভিনেতা না থাকা।

বাংলার চলচ্চিত্রে কমেডিয়ান আর দিলদার যেনো এক অপরের সমার্থক হয়ে উঠেছিলো। ২০০৩ সালে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ প্রায় ১৮ বছর হতে চললো দিলদারের শূন্যতা এখনো পূরণ হয়নি। বাংলা চলচ্চিত্রকে মানুষের মনে স্থান দিতে একজন দিলদারের খুবই প্রয়োজন।

লেখক: মোঃ কামরুল ইসলাম, সভাপতি, সাস্ট ক্লাব লিমিটেড

   

কানে গিয়ে আন্তর্জাতিক সিনেমায় সুযোগ পেলেন ভাবনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ `কান চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রথমবার অংশ নিয়ে বর্তমানে বেশ আলোচনায় রয়েছেন অভিনেত্রী ভাবনা। নিত্য নতুন পোশাক পরে ছবি দিচ্ছেন, তা নিয়ে মেতে উঠছে নেটিজেনরা।

তবে ভাবনার এবারের কানযাত্রা শুধুমাত্র ফ্যাশনের মধ্যেই আটকে নেই। বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেকে দেখতে চান, এমন ইচ্ছা থেকেই নিজ উদ্যোগে তার এই উৎসবে যাওয়া। এমন দারুণ একটি জায়গায় গিয়ে তিনি ঘোষণা দিলেন নিজের ৭ম সিনেমার।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

মালয়েশিয়া বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি নির্মাতা  জাফর ফিরোজের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবির নাম ‘জেনুবিয়া’।

পরিচালক জাফর ফিরোজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করে ১২ বছর আগে মালয়েশিয়া যান। বর্তমানে সেখানে পিএইচডি করছেন। এর আগে ‘রিবর্ণ’ নামের একটি চায়নিজ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এবারই প্রথম ভাবনাকে মূল চরিত্রে রেখে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ফিরোজ। ছবিটি বাংলা, ইংরেজি ও চায়নিজ ভাষায় তৈরি এবং মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।

আর এই ছবির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন কিয়াও লি, যিনি একজন ব্রিটিশ চায়নিজ প্রযোজক। একই সঙ্গে তিনি ইউনেসকো ফিল্ম সিটির সঙ্গেও যুক্ত আছেন।

‘জেনুবিয়া’ ছবির প্রথম পোস্টার

কান থেকে ভাবনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার চাওয়া থাকে প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন চরিত্রে দেখার। ‘জেনুবিয়া’র চরিত্রটি ঠিক তেমনি, যা নিয়ে গর্ব করা যায়। এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না। কিন্তুগল্পটা শোনার পর মনে হয়েছে, সত্যি অসাধারন। যেদিন ছবিটা সবাই দেখবেন সেদিন বুঝতে পারবেন আমি কেন এই কথাগুলো বললাম।’

প্রথমবার একা কানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবনা বলেন, ‘আমি একা এসেছি বলে প্রথমদিকে বেশ নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে ভয়কে জয় করতে শিখেছি। আমার সঙ্গে কান উৎসবে আসার পর যা কিছু ঘটছে, সবই কল্পনাতীত।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

‘জেনুবিয়া’ ছবিটি নিয়ে নির্মাতা গণমাধ্যমকে বললেন, ‘‘এ বছরের নভেম্বরে মালয়েশিয়াতে আমরা একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করছি। তারই মার্কেটিংয়ের জন্য কান উৎসবে যাই। শুনলাম, বাংলাদেশ থেকে ভাবনা এসেছেন সেখানে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে গল্প শোনাই। তিনি রাজি হয়ে যান। আমরাও সিদ্ধান্ত নিলাম একসঙ্গে কাজটি করবো। আগামী তিন মাসের মধ্যে ছবির কাজ শুরু করতে চাই। পুরো শুটিং মালয়েশিয়াতেই হবে। অন্যান্য অভিনয়শিল্পীও এরমধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

ভাবনাকে কাস্ট করা নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘কানে দেখা হয়েছে বলেই হুট করে তাকে সাইন করানো হয়নি। গল্পের সঙ্গে মানানসই এমন কয়েকজন আমাদের তালিকায় ছিলেন। তারমধ্যে ভাবনাও একজন। যখন শুনলাম ভাবনা কান উৎসবে আসছেন, তখন ভাবলাম, হোয়াই নট তার সঙ্গে বসি। এরপর তো ব্যাটে বলে মিলেই গেল! আমার ছবিতে চরিত্রটি যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, তাতে ভাবনার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি খুব সুন্দরভাবে তা উপস্থাপন করতে পারবেন। তার আত্মবিশ্বাসও আমাদের অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক
;

বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল

বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারেত লোকসভা নির্বাচন চলছে। মহারাষ্ট্রে পঞ্চম দফা নির্বাচনে, বলিউডের অনেক তারকা তাদের ভোটকেন্দ্রে গেছেন ভোট দিতে।


ভোট দেওয়ার প্রমাণ হিসাবে তাদের হাতের কালিও তুলে ধরেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন নতুন মা-বাবা দীপিকা পাডুকোন এবং রণবীর সিংও। এসময় হবু মায়ের বেবি বাম্প দেখা গেছে ।


দীপিকা এবং রণবীর ভোটকেন্দ্রে যাওয়া মন কেড়েছে ভক্তদের। তাদের একসঙ্গে হেঁটে যেতে দেখে মুগ্ধ সবাই।

রণবীর, সব পরিস্থিতিতে দীপিকার হাত ধরে আগলে রাখেন। তিনি তাঁকে বুথেও নিয়ে যান। ভোট দিতে যাওয়ার সময় দু’জনেই সাদা শার্ট এবং নীল রঙের ডেনিম পরেন।

এখানেই দীপিকার প্রথমবার বেবি বাম্প দেখা গেল। ক্যামেরার সামনে হাসতে হাসতে তাদের পোজ দিতেও দেখা যায়।

;

সব গান সুপারহিট হতে হয় না: কনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

দিলশাদ নাহার কনা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, অডিও, জিঙ্গেল এবং ভয়েস ওভার ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন দিলশাদ নাহার কনা। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা। তার ঝুলিতে তথাকথিত সুপারহিট গানের সংখ্যাও কম নয়। দুই-তিন ঘণ্টার স্টেজ শো আরামসে নিজের গান গেয়ে মাতিয়ে রাখতে পারেন এই শিল্পী। মা দিবসে এসেছে তার নতুন গান। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


কেমন আছেন?


আলহামদুলিল্লাহ বলতেই হবে। সবমিলিয়ে সৃষ্টিকর্তা ভালো রেখেছেন। এই তো বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম বিদেশে। দারুণ সময় কাটিয়েছি। দেশে ফিরে কক্সবাজারে একটি শো করতে গিয়েছিলাম। আসার পথে শরীরটা খারাপ হতে শুরু করে। এরপর বেশ কদিন ধরে শরীরটা একটু খারাপ। শিল্পীদের কণ্ঠ বসে গেলে তো মুশকিল। তারমধ্যেও বেশ কয়েকটি গানে কণ্ঠ দিতে হয়েছে।

দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

মা দিবসে ‘মা’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেছেন। সেটি নিয়ে জানতে চাই...


কদিন আগে চলে যাওয়া বিশ্ব মা দিবসে এই গানটির একটি মিউজিক ভিডিও কনা তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছি। ‘আমি বুড়ো হয়ে গেলেও / মা’র কোলে গিয়ে শোবো / মা কপালে রাখবে হাত / সব ক্লান্তিগুলো ধোবো...’- এমন কথার গানটির গীতিকার ও সুরকার কিংবদন্তিতূল্য প্রিন্স মাহমুদ।


এই গানটিরতে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?


একজন শিল্পীর গাওয়া সব গান সুপারহিট হতে হয় না। সব গান শ্রোতার মুখে মুখে থাকবে সেটাও আমি মনে করি না। একজন শিল্পী তার রূচি অনুযায়ি এমন কিছু গানও করবেন যা বিশেষ শ্রেণীর শ্রোতার জন্য, আবার এমন গানও করবেন যা সবাই সমানতালে শুনবে। এমনও গান গাইতে হবে যা একজন শ্রোতা তার বিশেষ অনুভূতির সময় সঙ্গী হিসেবে নেবে। তেমনি একটি গান ‘মা’। যারা গানটি শুনেছেন তারা তাদের ভালোলাগার কথা আমাকে জানিয়েছেন। তবে এটি এমন গান নয় যে অলিতে গলিতে বাজবে। এ ধরনের গান শ্রোতার একান্ত অনুভূতির সঙ্গী হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

প্রতিটি গান তৈরীর নেপথ্যে দারুণ সব গল্প থাকে। এই গানের পেছনে তেমন কোন গল্প আছে?


এই গানটি আসলে দুই বছর আগে ইমরান (জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল) গেয়েছিলেন। শোনার পর আমার ভীষণ ভালোলাগে। সেকথা প্রিন্স মাহমুদ জানতে পেরে বলেন, তুইও একবার গাইতে পারিস গানটা। তার কথামতোই আমি গানটি গেয়েছি। এরপর তো এবারের মা দিবসে আমার ইউটিউব চ্যানেলে সেটি প্রকাশ করি।


সম্প্রতি একটি অ্যাওয়ার্ড পেলেন...


হ্যাঁ। সম্প্রতি ২০২২ সালের সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি প্রবর্তিত প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছি। আমি খুব আনন্দিত, কারণ এটি এসেছে চলচ্চিত্রের পরিচালকদের বিবেচনায়। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার ‘তার হাওয়াতে’ গানের জন্য এই অর্জন। গানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পরিচালক সমিতির অ্যাওয়ার্ড হাতে কনা /  ছবি : ফেসবুক

বর্তমানে ব্যস্ততা কি নিয়ে?


একাধিক পণ্যের জিঙ্গেল নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। সম্প্রতি আপন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়েছি। আজ গাইবো ফ্যাশন হাউজ দেশাল-এর বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য একটি গান। দুটি বিজ্ঞাপনই দর্শক নন্দিত হবে বলে আমার ধারনা।

;

ডিপজলকে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ হাইকোর্টের



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিপজল

নিপুণ ও ডিপজল

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেল ও নিপুণের মধ্যকার বিবাদে নতুন মোড় নিয়েছে।

নির্বাচনের এক মাস যেতে না যেতেই নতুন কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন নিপুণ। কেন তিনি এ কাজ করলেন এ নিয়ে তাকে মিশা-ডিপজল প্যানেলের একাধিক সদস্য কটাক্ষ করেছেন।

নিপুণও ছেড়ে কথা বলেননি। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন যা হবে আইনের আওতায় হবে।

গত ১৯ এপ্রিল সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ডিপজলের চেয়ে ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ।

নিপুণ ও ডিপজল

তিনি এবারের নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগে তিনি নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন। অবশেষে নিপুণের অভিযোগের দিকে আমল দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে (২০২৪-২৬) অনিয়মের অভিযোগ ঢাকার সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তর্র্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রুলসহ এ আদেশ দেন।

;