ঋত্বিক ঘটক: চলচ্চিত্রের শিল্পিত কারিগর



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ঋত্বিক ঘটক, ছবি: সংগৃহীত

ঋত্বিক ঘটক, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ইত্যাদি কালজয়ী চলচ্চিত্রের নাম উচ্চারিত হলেই ভেসে উঠে একজন বিশিষ্ট নির্মাতার মুখচ্ছবি। বাংলা চলচ্চিত্রে এমনই অনেক জীবনছোঁয়া-ক্লাসিক সিনেমার নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক। সিনেমার পর্দায় মানবিকতার সঙ্কট, মানবযন্ত্রণা ও জনবেদনার সুনিপূণ ভাষ্যকার তিনি। কমার্শিয়াল ফ্যান্টাসি ফিল্মের জগত ভেঙে মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠ আর্টের জগত নির্মাণ করতে চেয়েছেন ঋত্বিক। যত না তিনি একজন সাধারণ চলচ্চিত্রকার, তারচেয়ে বেশি চলচ্চিত্রের শিল্পিত কারিগর।

খরা, মারী, মন্বন্তর, দুর্ভিক্ষ, দেশভাগ আর শরণার্থী জীবনের বিদীর্ণ যাতনার কথা তাঁর মতো আর কেউ চলচ্চিত্রের ভাষায় বলতে পারেন নি। উপমহাদেশের ধ্রুপদী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ও মৃণাল সেনের পাশাপাশি তাঁর নামও সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হয় সিনেমার ইতিহাসে।

বাংলাদেশের ঢাকা শহরের পুরনো অংশের জিন্দাবাজারে ১৯২৫ সালে ৪ঠা নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন ঋত্বিক ঘটক। পিতা সুরেশ ঘটক ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা ইন্দুবালা দেবী গৃহিনী। তিনি বাবামায়ের ১১তম ও কনিষ্ঠতম সন্তান। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা ও রাজশাহীতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে এমএ কোর্স শেষ করেও পরীক্ষা দেন নি তিনি।

ঋত্বিক ঘটক ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় হাজার হাজার শরণার্থীদের মিছিলে মিশে নিজের পরিবারে সঙ্গে চলে যান কলকাতায়। শরণার্থীর অস্তিত্বের সঙ্কট, দেশত্যাগের বেদনা, উদ্বাস্তুর আর্থ-সামাজিক হাহাকার জীবনভর তাঁকে তাড়িত করে। তাঁর জীবন, শিল্পচর্চা ও চলচ্চিত্রে বার বার ফিরে ফিরে আসে এইসব মানবিক কষ্ট ও অস্তিত্বের সঙ্কটের জ্বলন্ত প্রসঙ্গ। ফলে তিনি কলকাতার জীবনে বামপন্থী সংগঠন ‘ভারতীয় গণনাট্য সংঘ’ বা ‘আইপিটিএ’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাটকরচনা, অভিনয় ও নাট্যপরিচালনায় ব্যস্ত থাকেন ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত।

তারপর ‘ছিন্নমূল’ ছবিতে অভিনয় ও সহকারী পরিচালক হিসাবে শুরু হয় তার চলচ্চিত্র জীবন। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘নাগরিক’। ষাটের দশকে মুক্তি পায় তাঁর ত্রয়ী বা ট্রিলজি নামে পরিচিত তিনটি ছবি। এগুলো হলো: মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার ও সুবর্ণরেখা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহর ও শহরতলীর ছিন্নমূল, দেশত্যাগী, উদ্বাস্তু জীবনের চরম বেদনার শৈল্পিক প্রকাশ ঘটে ঋত্বিকের এইসব দাগকাটা চলচ্চিত্রে।। ছবিগুলো বাণিজ্যিকভাবে চরম অসফল হলেও তিনি সৃষ্টি করেন শৈল্পিক নির্মাণশৈলীর নিজস্ব চলচ্চিত্র ঘরানা।

মধ্য ষাটের দশকে ঋত্বিক ঘটক কলকাতা থেকে চলে যান মহারাষ্ট্রের পুনা শহরে। সেখানে ফিল্ম ইন্সটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে চলচ্চিত্র বিষয়ে অধ্যাপনা করেন তিনি। নির্মাণ করেন আদিবাসী জীবন, বিহার, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, লেনিনকে নিয়ে শর্টফিল্ম ও তথ্যচিত্র।

ভালো ছবি নির্মাণের প্রত্যাশা নিয়ে ঋত্বিক ঘটক আবার মূলধারার চলচ্চিত্র জগতে ফিরে আসেন সত্তর দশকে। একজন বাংলাদেশী প্রযোজকের হাত ধরে তিনি আবার ক্যামেরা হাতে তুলে নেন। নির্মাণ করেন অদ্বৈতমল্ল বর্মণ রচিত মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জীবন সংগ্রামের অনবদ্য কাহিনী অবলম্বণে কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। তাঁর নির্মিত শেষ ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’।

অনিয়ম, উদ্বেগ, রোগ তাকে ক্রমেই জর্জরিত করতে থাকে। ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ সালে ৫১ বছর বয়সে কলকাতায় মারা যান তিনি। স্বল্প পরিসরের জীবনে সুতীব্র ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যেও ঋত্বিক ঘটক উপমহাদেশের চলচ্চিত্রে সংযোজন করেছেন ভিন্নতর স্বতন্ত্র মাত্রা। শিল্পসম্মত ভালো ছবি নির্মাণের আজীবন সংগ্রামী তিনি। সমাজের নিগৃহীত, প্রান্তিক, ছিন্নমূল ও অন্তজ্য মানুষ এবং তাদের অন্তর্গত বেদনার অগ্রণী চলচ্চিত্রকার তিনি।

আর্থিক ও বাণিজ্যিকভাবে অসফল হলেও চলচ্চিত্র নির্মাণশৈলীর অসামান্য শৈল্পিক কৃত্বিত্বের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন ঋত্মিক ঘটক। উপমহাদেশের নেতৃস্থানীয় চলচ্চিত্রকার হিসাবে ঋত্বিক ঘটক লাভ করেন ভারতের পদ্মশ্রী পুরস্কার। বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও তিনি ভূষিত হন। তাঁর ভাই মণীশ ঘটক একজন নামকরা লেখক এবং ভ্রাতৃকন্যা মহাশ্বেতা দেবী বরেণ্য ঔপন্যাসিক ও সমাজসেবী। স্ত্রী সুরমা ঘটকের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে তার দুই কন্যা ও এক পুত্রের জন্ম হয়।

৯৩তম জন্মদিনে ক্ষণজন্মা বিরল প্রতিভাবান চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের প্রতি বার্তা২৪.কমের বিনম্র শ্রদ্ধা। তিনি বেঁচে থাকবেন তাঁর কালজয়ী চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। আশাহত ও বিপণ্ন মানুষের কথা রূপালি পর্দায় মানবিক আর্তিতে তুলে ধরার প্রেরণা জাগিয়ে কাল-কালান্তরে বেঁচে থাকবেন তিনি ।

   

ছেলের সাফল্যে আপ্লুত প্রসেনজিৎ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাবা প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে ‍তৃষাণজিৎ

বাবা প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে ‍তৃষাণজিৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ৪০ বছর ধরে সিনেমায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য। মাঝে কিছু বছর কম বয়সী নায়কদের বেশ দাপট চললেও এখন দর্শকের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। তাই সেই এঘেয়ে প্রেমের গল্প, ধুমধারাক্কা একশন আর আইটেম গানে ভর্তি কমার্শিয়াল সিনেমাগুলো বেশি সুবিধঅ করে উঠতে পারছে না। তাই আর্টিস্টিক সিনেমার হাত ধরে ফর্মে ফিরে এসেছেন বুম্বাদা। তার সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছু। সঙ্গে যদি থাকে ঋতুপর্ণা, তার মানেই সিনেমা সুপার হিট। একসঙে্গই অর্ধশত সিনেমার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তারা। সামনেই আসতে চলেছে জনপ্রিয় এই জুটির পঞ্চাশ তম সিনেমা অযোগ্য। ৭ জুন সিনেমা ঘরে প্রকাশ পাবে সিনেমাটি।

সিনেমা জীবনে যেমন সফল এবং গর্বিত প্রসেনজিৎ, তেমনই ব্যক্তিজীবনও তার বেশ ভালো কাটছে। সম্প্রতি ছেলের সাফল্যে আপ্লুত হয়ে পড়েন অভিনেতা। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ইন্সটাগ্রামে) ছেলে তৃষানজিতের একটি ছবি প্রকাশ করেন তিনি।   

ইউরোপে স্কুলজীবন শেষ করলেও উচ্চশিক্ষার জন্য মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন তৃষাণজিৎ। তবে কলকাতা নয়, দক্ষিণ ভারতের নামী প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক শেষ করলেন। গ্রাজুযেশন সেরেমনিতে ছেলের স্নাতকের প্রশংসাপত্র পাওয়ার মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেন অভিনেতা। তিনি লেখেন, ‘ আজ নিজেকে গর্বিত বাবা মনে হচ্ছে। কারণ, আমার ছেলে মিশুক স্নাতক হল। ওর জীবনের এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত। অনেক শুভেচ্ছা। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাও।’  বুম্বাদার এই পোস্টে ইন্ডাস্ট্রির সকল সহকর্মী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।

ছেলের অভিনয় জগতে আসা নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি প্রসেনজিৎ। তবে যেহেতু এখন পড়াশোনার পাঠ চুকেছে তাই শিগগিরই হয়তো তাকে বঢ় পর্দায় দেখা যাবে- আশা করছেন নেটিজেনরা। যদিও ছোটথেকেই ফুটবলে ঝোঁক রয়েছে তৃষাণের। তবে তাকে দৈহিক গঠন এবং লুক দেখে অনেকে মনে করেন, তৃষাণজিতের উচিত বাবা-দাদার পথের অনুসারী হওয়া।   

;

হীরামান্ডির ‘আলমজেব’-এর পাশে দাঁড়ালেন রিচা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বড়পর্দার রূপালী মায়া কাটিয়ে ওটিটি জগতে এলেন খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি। তার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনায়। বিশাল আয়োজনে নির্মিত এই সিরিজ দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। তবে নেটফ্লিক্সে এটি বিপুল সাড়া পাচ্ছে।

‘হীরামান্ডি’র যে দিকটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা-নিন্দা হচ্ছে, তা হলো আলমজেব চরিত্র। এই চরিত্রে শারমিন সেহগালের অভিনয় দর্শকের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। শারমিনের অভিনয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি তাকে কাস্ট করার কারণে বানসালির বিরুদ্ধে ‘স্বজনপোষণ’র অভিযোগও তুলছে নেটিজেনরা। কারণ তিনি শারমিনের মামা।

মামা-ভাগ্নি সঞ্জয়লীলা বানসালি ও শারমিন সেহগাল

এবার নিন্দায় বিপর্যস্ত শারমিনের পাশে দাঁড়ালেন এই সিরিজেরই সহ-অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা। ‘হীরামান্ডি’তে রিচার অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এমন সময় সাধারনত তারকারা এদিক সেদিক তাকান না। নিজের সফলতা উপভোগ করেন। বিপাকে জড়িয়ে নিজের দিকে সমালোচনার তীর আসুক সেটা তারা একেবারেই চান না। তবে রিচা বরাবরই আলাদা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন। নিজের অনুভূতি কোন কিছুর চাপে দমিয়ে রাখার পাত্রী তিনি নন। এর আগেও রিচা তার ‘সর্বজিৎ’ সিনেমার কো আর্টিস্ট ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। তার সেই জবাব রীতিমতো ভাইরাল হয়।

 হীরামন্ডি সিরিজে লাজ্জো চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় ও নাচ পরিবেশন করেছেন রিচা

এবার হীরামন্ডি সিরিজের ‘আলমজেব’ চরিত্রের শারমিককে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রিচা বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা (সমালোচনা করা) দর্শকের অধিকার। তারা সিরিজটি পছন্দ করতে পারে, অপছন্দও করতে পারে। কারও অভিনয় ভালো লাগবে, আবার কারও কাজ ভালো লাগবে না। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ যেভাবে ট্রল করে, মিম বানায়, নিন্দা করে; আমার মতে এটা সবার জন্যই ক্ষতিকর। কারও প্রতি নির্দয় হওয়া উচিত নয়, কারণ আগামীকাল এমন কিছু আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে। এবং হ্যাঁ, প্রত্যেকেই মানুষ।’

মা হতে যাচ্ছেন রিচা। তার স্বামী বলিউড অভিনেতা আলী ফজল

‘হীরামান্ডি’ নির্মিত হয়েছে ১৯৪০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে। তখন লাহোরে হীরামান্ডি নামের এলাকায় বাইজিপাড়া ছিল। সেখানকার ছয় বাইজিকে ঘিরেই এগিয়েছে সিরিজের গল্প। এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ। সিরিজটিতে আরও আছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, সানজিদা শেখ, ফারদিন খান, শেখর সুমন, ফরিদা জালার প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : বলিউড হাঙ্গামা

;

জয়িতার টেগর’স টেল-এ বুঁদ সাধারণ থেকে তারকা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন স্কুল জীবনের বন্ধুর অনুভূতি দিয়ে শুরু করা যাক। মারুফা আজিজ উপমা লিখেছেন, ‘সেই স্কুল জীবন থেকে তোর গান শুনে আসছি, কিন্তু এবারের গান অন্যরকম ভালো লাগার। কারণ এবার তোর একক সংগীত সন্ধ্যায় ছিলাম আমরা। প্রতিটা মুহূর্তে আন্টিকে (প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী শিল্পী মিতা হক) মিস করেছি, মাঝে মাঝে দেখে মনে হচ্ছিল আন্টিই গাইছেন। গর্বিত বাবা-মায়ের গর্বিত সন্তান।’

কথাগুলো যাকে নিয়ে লেখা হয়েছে তিনি ফারহিন খান জয়িতা। তরুণ প্রজন্মের রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। যাকে এ প্রজন্মের অন্যতম মেধাবী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী বলে মনে করেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা!

ফারহিন খান জয়িতা

জয়িতার আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক মিতা হক এবং মঞ্চ নাটকের যুবরাজ’খ্যাত খালেদ খানের একমাত্র কন্যা।

গত ১৭ মে ছুটির দিনে রাত ৮টা থেকে বনানীর যাত্রা বিরতির নতুন ঠিকানায় জয়িতার একক সংগীত সন্ধ্যা ‘টেগর’স টেলস’। সেই অনুষ্ঠান দেখতে টিকেট কেটে হাজির হন অনেকেই। তারমধ্যে শোবিজ তারকারাও ছিলেন।

এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট জয়িতা একে একে গেয়ে গেলেন বাল্মীকি প্রতিভা, মায়ার খেলা, প্রেম পর্যায়ের গানগুলো।

অনুষ্ঠানে এক ফ্রেমে জয়িতা, তার স্বামী শাহিদ মুস্তাফিজ, অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী, নাদিয়া আহমেদ ও তার মা

গান শুনতে গিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী। নিজের অনুভূতির কথা সোশ্যাল লিখেছেন এভাবে, ‘গত সন্ধ্যায় জয়িতার কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীতে বুঁদ হয়ে ছিলাম। জয়িতা সোনা, তোমার কণ্ঠে মধু আছে। আর উচ্চারণ, তোমার কাছ থেকে অনেক শেখার আছে। তুমি অতুলনীয়। তোমার জন্য শুভকামনা সকল সময়।’

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ অনুষ্ঠান শেষে ছোট ছোট কিছু ভিডিও ক্লিপিং শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমাদের জয়িতা। মিতা আপার সুযোগ্য কন্যা জয়িতা। ওকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিংবা ওকে নিয়ে বলবার কিছু নেই। শুধু বলবো, আজকে গান থেকে শুরু করে কয়েক লাইন আবৃত্তি এক অসাধারন মুগ্ধতার সন্ধ্যা কাটলো। যারা রবীন্দ্রপ্রেমী তাদের জন্য একটু শেয়ার করলাম। জয়িতা তুই একটা ভালবাসা।’

জয়িতার সঙ্গে সেমন্তী মঞ্জুরী ও তার স্বামী

নিজে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী হয়ে আরেকজন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পীকে নিয়ে সেমন্তী মঞ্জুরী লিখেছেন, ‘অনেকদিন পর দিদির এতগুলো গান শুনলাম! আনন্দঘন সময় কাটলো। গান তো ভালো বলতেই হয়। তবে আবৃত্তি শুনে বার বার মামার (জয়িতার বাবা অভিনেতা খালেন খান) চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। লাভ ইউ জয়িতা দিদি।’

মেধাবী নির্মাতা কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কি অনবদ্য এক ঘন্টা পয়তাল্লিশ মিনিট কাটালাম! জয়িতা দোস্ত, তুমি সবার হৃদয় হরণ করেছ। তোমার গায়কী এবং গান নির্বাচন ছিলো এক কথায় পারফেক্ট। তুমি তো বটেই, তোমার যন্ত্রশিল্পীরাও অসাধারন পারফরমেন্স করেছেন গত রাতে। গান, নাচ, কবিতা সব মিলিয়ে অদ্ভূত সুন্দর একটা আবহ তৈরী হয়েছিলো। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি। এ ধরনের পরিবেশনা তোমার আরও বেশি বেশি করা উচিত।’

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ অনবদ্য পরিবেশনা ছিল জয়িতার

শুধু এই তারকারাই নন, জয়িতার ফেসবুক জুড়ে আরও নানা পেশা, নানা বয়সের দর্শকের প্রশংসা বার্তা ছড়িয়ে আছে। টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে জয়িতা আগের দিনই জানিয়েছেন, শিগগির আবার ফিরবেন এরকম আয়োজন নিয়ে।

;

ডিএ তায়েবকে তীক্ষ্ণ জবাব নিপুণের, নেবেন আইনি ব্যবস্থাও!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিএ তায়েব

নিপুণ ও ডিএ তায়েব

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে এমনটাই মনে করছিলেন সবাই। অল্প কিছু ভোটে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নিপুণ হেরে যান খল নায়ক ডিপজলের কাছে। তখন তিনি বলেছিলেন, আমার অনেকগুলো ভোট নষ্ট হয়েছে। নয়ত ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। তারপরও নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে মিশ-ডিপজল প্যানেলকে বিজয়ের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তবে সেই নির্বাচনে এক মাস যেতে না যেতেই বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেন নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এরপরই শুরু হয় পক্ষে বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক।

শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি পদে জয়ী হওয়ায় ডিএ তায়েবকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন এক সহকর্মী

এরমধ্যে গেল বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।

নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে দেখা গেছে এই নায়িকাকে। তবে নিজের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে এমন খবর ঠিকই তার কানে গেছে। আর তা শুনে মুখও খুললেন নিপুণ। তিনি বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।

একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে

ডিএ তায়েবের মন্তব্যের জবাবে নিপুণ বলেন, ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না আমি। তিনি কি অভিনেতা? একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা? তার কোনো সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন? তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে বলেছেন, আমার নাকি মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।

;