শ্বশুরবাড়ি থেকে শুটকি-ইলিশ মাছ নেওয়ার আবদার পান মিথিলা
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। কিছুদিন হলো সিনেমায় অভিষেক হয়েছে। একই সঙ্গে ওপার বাংলার বধুও তিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা সংবাদ মাধ্যমে তাকে মাঝে মাঝে কলকাতার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। এসব প্রশ্নের স্বাচ্ছন্দ্যে উত্তরও দেন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি জনপ্রিয় ওয়েব ‘মাই শেলফ অ্যালন স্বপন’ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ‘বাংলাদেশ এচিভারস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’-এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন মিথিলা। অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ শেষে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন অনেক কিছু নিতে বলেন। তবে তারা শুটকি, ইলিশ মাছ, ভর্তা এবং জামদানি শাড়ি নিতে বলেন বেশি।’
কলকাতায় কাজ করা প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, আমি দুই জায়গায় কাজ করে যাচ্ছি। কলকাতায় আমি নতুন। তবে এখন পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এখানে সবার সহযোগিতা পাচ্ছি।
নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, আমি নতুন একটা সিনেমায় কাজ কছি। সেটি শরৎচন্দ্রের অভাগীর স্বর্গ গল্প অবলম্বনে। সিনেমায় আমি অভাগীর চরিত্রে অভিনয় করছি।
এদিকে মঙ্গলবার ( ২৫ জুলাই) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ‘বাংলাদেশ এচিভারস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ প্রাপ্তির সুখবর দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন মিথিলা।
‘কোক স্টুডিও বাংলা সিজন ২’-এর সুপারহিট গান ‘কথা কইও না’ দিয়ে সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন আলেয়া বেগম। গুণী এই শিল্পী এবার নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। এবার তিনি গানে কণ্ঠ না দিয়ে গানের সুর করলেন। মজার বিষয় হলো, তার সুর করা গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তারেই কন্যা ইন্নিমা রোশনী।
মায়ের সুরে মেয়ের কন্ঠে নতুন গানটি নিয়ে এলো টাইম জোন নিবেদিত ‘লিভিং রুম সেশান’। গতকাল ১২ মে বিশ্ব মা দিবসের সন্ধ্যায় ইউটিউবে গানটি প্রকাশ করে সংগীতের এ নতুন প্লাটফর্ম। ‘মায়ের আঁচল’ শিরোনামের গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন পাভেল আরিন। গানের কথা লিখেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।
ইন্নিমা রোশনীর মা-ই কেবল শিল্পী নয়, তার বাবাও একজন গুণী শিল্পী। তিনি বাউল আবুল সরকার। মামার লেখা গানটি মায়ের মুখে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছেন ইন্নিমা। গানটি বড় ভাইও কন্ঠে তুলে নিয়েছিলেন। সবাই ভুলে গেলেও গানটি মনে মনে গুনগুন করতেন ইন্নিমা। গান কাভার করে ইউটিউবে জনপ্রিয়তা অর্জন করলে একসময় মায়ের কাছে এ গানটিও আবদার করে বসেন মেয়ে। তার কন্ঠে এ গানটি শুনে মুগ্ধ হন সংগীতপরিচালক পাভেল আরিন। তার স্টুডিওতে আমন্ত্রণ পান ইন্নিমা। গানটিও স্থান পায় লিভিং রুম সেশানে।
সংগীত জীবনের শুরুতেই মিউজিকের এত বড় প্লাটফর্মে সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। ইন্নিমা বলেন, ‘গানটি শুনে আমার বাবা কেঁদেছেন। মাও দারুণ খুশি। এত সুন্দর ও সিম্পল মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট এ গানটি তৈরি করেছেন পাভেল ভাই যাতে গানটা আরও শ্রুতিমধুর হয়ে গেছে। আমি সত্যিই খুশি মা দিবসে মাকে এমন একটা উপহার দিতে পেরে। লিভিং রুম সেশানের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।’
গানের শুদ্ধতা ও মানের প্রতি যত্নশীল এ সংগীত পরিচালক জানালেন, ‘ইন্নিমার কণ্ঠে গানটি যখন শুনি আমার মনে হয়েছে মাকে নিয়ে লেখা আমাদের গানগুলোর মাঝে এ গানটি একটি বিশেষ জায়গা করে নিতে পারে। মায়ের প্রতি এমন নিবেদন কথা ও সুরে সত্যিই অনবদ্য। ইন্নিমাও প্রতিশ্রুতিশীল একজন শিল্পী। মা দিবসে মায়েদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমাদের এ সামান্য উদ্যোগ।’
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে নাম লেখিয়ে নিয়মিত নাটকে কাজ করছেন অভিনেত্রী শ্রেয়সী শ্রেয়া। সম্প্রতি তিনি নাজমুল রনি পরিচালিত ‘দুই বধু এক স্বামী’ ও ‘বিয়ে বাজি’ নাটকের কাজ শেষ করেছেন। এতে তার সহশিল্পী আফজাল সুজন। নাটক দুটি শিগগিরই প্রচারে আসবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা।
এছাড়াও এই অভিনেত্রীর আল হারুনের ‘বিবাহ ডট কম’ ও রেজা মাহমুদের ‘প্রেম রোগের মহা ঔষধ’ নামের নাটক দুটি প্রচারের অপেক্ষায়। আসন্ন কোরবানির ঈদে নাটকের পাশাপাশি তাকে দেখা যাবে মিউজিক ভিডিওতে।
‘দুই বধু এক স্বামী’ নাটকটি নিয়ে শ্রেয়সী শ্রেয়া বলেন, ‘টিপিক্যাল প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছি। বয়ফ্রেন্ডকে জোর করে বিয়ে করে সংসার করি। নাটকে বিয়ে নিয়ে দারুণ একটি কাহিনী রয়েছে। কাজটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। আশা করছি, সব ধরনের দর্শকদের নাটকটি ভালো লাগবে।’
জনপ্রিয় অভিনতো মোশাররফ করিমের বিপরীতে ‘হিরার আংটি’ নাটকের মাধ্যমে শ্রেয়সীর ছোট পর্দায় পথচলা শুরু হয়। ২০২১ সালে নাটকটি চ্যানেল আইয়ে প্রচার হয়। এরপর খানিকটা বিরতি নিয়ে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন শ্যামল মাওলা, আব্দুন নূর সজল, ইমন, শামীম হাসান সরকার প্রমুখের সঙ্গে।
শ্রেয়সী শ্রেয়া বলেন, ‘নিয়মিত অভিনয় চালিয়ে যেতে চাই। প্রতিনিয়ত ভিন্নধর্মী গল্প এবং চ্যালেঞ্জিং সব চরিত্রে নিজেকে ভেঙে মেলে ধরতে চাই। আমার ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছে চ্যালেঞ্জিং সব চরিত্রে অভিনয় করে। এখন সব ট্রেন্ডিং গল্পের কাজ আসে। কিন্তু আমি চাই সব ধরনের গল্পে নিজেকে ভাঙতে। আশা করি, নির্মাতারাও আমাকে ভিন্নধর্মী গল্পে চিন্তা করবেন। নাটক কিংবা ওটিটি যে মাধ্যমই হোক না কেন নিজেকে একজন পরিপূর্ণ ভার্সেটাইল অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চাই। সে জন্য পরিপূর্ণভাবে নিজেকে তৈরি করছি। প্রতিনিয়ত শিখছি। চলচ্চিত্রেও আগ্রহ আছে। তবে অভিনয়ে আরও নিজেকে দক্ষ করে বড় পর্দায় পা রাখতে চাই।’
‘পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন বলে কিছুই নাই।’- এমন একটি কথা দিয়েই শুরু হয়েছে অরিজিনাল সিরিজ কালপুরুষ এর টিজার। গত ১১ মে সন্ধ্যায় মুক্তি পেয়েছে টিজারটি। সালজার রহমান এর পরিচালনায় সিরিজটি খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে চরকিতে।
প্রায় ১ মিনিটের মতো এই টিজার মুক্তির পর সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে যাকে তিনি হলেন এফএস নাঈম। কেননা এই সিরিজে অভিনয়ের জন্য ৩৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন তিনি। সেটা নিয়ে নেট দুনিয়াই বেশ আওয়াজও উঠেছে।
ফিট ও স্বাস্থ্য সচেতন একজন ব্যক্তি হচ্ছেন নাঈম। সেখান থেকে অভিনয়ের জন্য এতো ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটা খানিকটা কঠিনই ছিল তার জন্য। বডি ট্রান্সফরমেশন এই জার্নিটা আসলে কেমন ছিল এমন প্রশ্নে নাঈম বলেন, ‘আসলে চরিত্রটা ধারণ করার জন্যই এমনটা করা। অর্থাৎ মিরাজ চরিত্রটা যেভাবে হাঁটে, কথা বলে, ঘুমাই সেই রকম একটা চরিত্রের কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্যেই প্রায় ৩৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলাম। আর এটা শুধু বডি ট্রান্সফরমেশন বললে হবে না এটা অনেক বড় একটা মনস্তাত্ত্বিক জার্নি ছিল। সেই সাথে প্রায় ৮-৯ মাস এই এক্সট্রা বডি ওয়েট রাখার একটা ডিপ্রেশন ছিল। তারপর শ্যুটিং করা। এই জার্নিটা আমার জন্য একটা সাধনা ছিল।‘
টিজারের শেষে বেশ চমক দিতে হাজির হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। প্রথমবারের মতো চরকিতে দেখা যাবে তানজিকা আমিন ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়কে। অভিনয়ে রয়েছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, রেজওয়ান পারভেজসহ আরও অনেকে।
পরিচালক সালজার রহমান এর আগে নির্মাণ করেছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনচিত্র। তবে ওটিটিতে কাজ এই প্রথমই। সিরিজটি গল্প কেমন এ প্রশ্নের উত্তরে সালজার বলেন, ‘সিরিজটি মার্ডার মিস্ট্রি হলেও একদম ভিন্ন রকমের উপস্থান দেখা যাবে। একটা মার্ডার কেস সলভ করতে গিয়ে নানা কিছু ঘটতে থাকে মিরাজের (নাঈম) সাথে। সেই ঘটনাগুলো ধরে এগোতে থাকে সিরিজের গল্প।‘
উল্লেখ্য, চরকি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফিল্ম সিন্ডিকেট প্রায় একই সময়েই তাদের যাত্রা শুরু করে। আর চরকির শুরু থেকেই ‘ঊনলৌকিক’ নির্মাণ দিয়ে পাশে ছিল ফিল্ম সিন্ডিকেট। কিছুদিন আগে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেয়া হয় যে আগামী ৩ বছরে ফিল্ম সিন্ডিকেট চরকির জন্য নির্মাণ করবে ১০টি সিরিজ। সেই অনুযায়ী খুব শীঘ্রই চরকিতে মুক্তি পাবে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম সিরিজ ‘কালপুরুষ’।
ঢালিউডের অন্যতম চিত্রতারকা পূর্ণিমা একটা সময় সেন্সর বোর্ডকে ভয় পেতেন! এই ভয় সিনেমা মুক্তির আগে সেন্সর বোর্ড থেকে তার সিনেমার কেমন ফিডব্যাক আসে সেটি নিয়ে। চমকপ্রদ খবর হচ্ছে, সেই পূর্ণিমা এখন সময়ের বিবর্তনে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য!
আজ (১২ মে) তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরকৃত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। খবরটি জানার পর পূর্ণিমা নিজেও সারপ্রাইজড হয়েছেন। পূর্ণিমা বললেন, আজ যখন সেন্সর সদস্য হওয়ার চিঠি পেয়েছি কিছুটা অবাক হয়েছি। এতো বছরের ক্যারিয়ারে বড় প্রাপ্তি ও গর্বের! কারণ, আগে যখন সিনেমা সেন্সরে জমা হতো, তখন কিছুটা নার্ভাস লাগতো। জানার আগ্রহ থাকতো আমার সিনেমাটি আনকাট পাশ হয়েছে কিনা। এখন সেই সেন্সরের বোর্ডের সদস্য হয়ে আমি বিভিন্ন ধরনের সিনেমা উপভোগ করতে পারবো। এতে সম্মানিতবোধ করছি।
রূপালি পর্দায় বর্ণিল ক্যারিয়ার পূর্ণিমার। তিনি উপহার দিয়েছেন মনের মাঝে তুমি, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা, সুভা, বাধা, মা আমার স্বর্গ, শুভ বিবাহ, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, মনের সাথে যুদ্ধ মতো ব্যবসা সফল ও দর্শক নন্দিত সিনেমা। তুলনামূলক সিনেমা কম করলেও গেল কয়েক বছর পূর্ণিমা উপস্থাপনায় বেশ সরব। তার নান্দনিক উপস্থাপনার কাজটি চিত্রনায়িকা কিংবা অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে নতুন করে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের সদস্য হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পূর্ণিমা বলেন, ‘কখনো সেন্সর বোর্ডের সদস্য হতে পারবো এটা মনেই হয়নি। ওখানে যাওয়ার জন্য যথাযথ যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি মনে করি না। তবুও আমাকে রাখা হয়েছে এবং সম্মান জানানো হয়েছে। আমি আমার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবো। এতো সম্মানজনক কমিটিতে আমাকে রাখার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
পূর্ণিমা ছাড়াও আগামী এক বছরের জন্য ১৫ সদস্যের এই সেন্সর বোর্ড কমিটিতে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আরও আছেন অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, অরুণা বিশ্বাস, রোকেয়া প্রাচী, পূর্ণিমা, আজিজুল হাকিম। এছাড়াও রয়েছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। কার্যকর হওয়া নতুন কমিটিতে আরও আছেন এফডিসির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ।
এছাড়া সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন প্রতিনিধি।
সেন্সর বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নতুন এই বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য সচিব। তিনি আগামী একবছর সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম।