আমাদের কাজ নিয়ে কোন অভিযোগ এখনো শুনিনি : তৌহিদ জামান

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তৌহিদ জামান ও ‘বাকশো ইন্টেরিয়র ডিজাইন’-এর কাজ / ছবি : ফেসবুক পেজ

তৌহিদ জামান ও ‘বাকশো ইন্টেরিয়র ডিজাইন’-এর কাজ / ছবি : ফেসবুক পেজ

তৌহিদ জামান এক সময় মডেলিং করতেন। এখন তিনি অন্য ভূবনের বাসিন্দা। ‘বাকশো ইন্টেরিয়র ডিজাইন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেটি নিয়ে এখন তার সব ব্যস্ততা। সমসাময়িক বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন বার্তা২৪.কমের সঙ্গে


মডেলিং ছেড়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে কাজ শুরু করলেন কেন?


মডেলিং ভালোলাগা থেকে করতাম। এখনো ভালো সুযোগ পেলে করব। তবে এটাকে পেশা হিসেবে নিতে চাইনি কখনো। আমার পড়াশুনা শান্ত মারিয়ম ইউনিভার্সিটিতে ‘ইন্টেরিয়র এন্ড আর্টিটেকচার’ বিষয়ে। ২০১১ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে ৫ বছর ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ফার্মে কাজ করি। কিন্তু আমার বরাবরই স্বপ্ন ছিল নিজের একটি প্রতিষ্ঠান হবে। তাই থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল- দুই ধরনের অভিজ্ঞতাই সঞ্চয়ের পর ২০১৭ সালে ‘বাকশো ইন্টেরিয়র ডিজাইন’ শুরু করি।

বিজ্ঞাপন
তৌহিদ জামান

কি ধরনের কাজ করছেন ‘বাকশো ইন্টেরিয়র ডিজাইন’ থেকে?


আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রাধাণ্য থাকে সকল ধরনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজে। বাসাবাড়ি, অফিস আদালত, রেস্টুরেন্ট, শো রুম, জিমসহ সবকিছুর ইন্টেরিয়র ডিজাইন করে থাকি। পাশাপাশি আমি যেহেতু একজন ইঞ্জিনিয়ার, তাই অল্প বিস্তর আর্কিটেকচারাল কাজও করি।

বিজ্ঞাপন

প্রায় সাত বছর আপনার প্রতিষ্ঠানের বয়স। সফলতা কতোখানি?


এরইমধ্যে আমার প্রতিষ্ঠান বেশ ভালো করছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন পর্যন্ত দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কাজ করেছি। সবচেয়ে ভালোলাগে, আমাদের কাজ নিয়ে কোন ক্লায়েন্টের অভিযোগ শুনিনি। তবে আমার কাছে সফলতার সংজ্ঞাটা ভিন্ন। মানুষ একবারেই শীর্ষে উঠে যায় না। ছোট ছোট সফলতাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আমি একটি কাজ শুরু করলাম। ক্লায়েন্টকে যা যা কথা দিয়েছিলাম, সবটাই ঠিকঠাক রাখতে পারলাম, তখন তার যে স্যাটিসফেকশন, সেটাও আমার কাছে এক ধরনের সফলতা।

‘বাকশো ইন্টেরিয়র ডিজাইন’-এর কাজ / ছবি : ফেসবুক পেজ

এই পেশায় সবচেয়ে মজা আর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ কিসে?


আগেই বলেছি, সবচেয়ে আনন্দ লাগে যখন আমাদের কাজ দেখে ক্লায়েন্টের মুখে হাসি ফোটে তখন। আরেকটি মজার বিষয় হলো- যে কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করি সেটি তো প্রথমে ভাবনাতে থাকে, সেটি যখন বাস্তবে চোখের সামনে ধরা দেয় তখন। আর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলো কাজের মান রক্ষা করা। আর সেটি করতে গেলে প্রতিটি ক্ষেত্রে শতভাগ সততা ও সচেতনতা দরকার।

‘বাকশো ইন্টেরিয়র ডিজাইন’-এর কাজ / ছবি : ফেসবুক পেজ

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?


আমি একটু বর্তমানে বাঁচা মানুষ। ভবিষ্যৎ নিয়ে আকাশ পাতাল ভাবি না। যে কাজটি শুরু করি সেটিতেই শতভাগ সফল হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করি। তবে সবার মতো আমিও চাই, আমার প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ‘বাকশো ইন্টেরিয়র ডিজাইন’ একদিন সবাই চিনবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারব।