সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবসে ঢাকায় কেন ঋতুপর্ণা?

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফেরদৌস আহমেদ ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত /  ছবি: বার্তা২৪

ফেরদৌস আহমেদ ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত / ছবি: বার্তা২৪

দুই বাংলার সিনেমাপ্রেমীরা জানেন, বাংলাদেশের চিত্রনায়ক ও এমপি ফেরদৌস আহমেদ আর কলকাতার প্রখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বেস্ট ফ্রেণ্ড। কিন্তু পেশাগত কারণে তাদের দীর্ঘদিন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। অবশেষে এই দুই বন্ধুকে মিলিয়ে দিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।

রূপালী পর্দায় সাদা-কালো জীবনের রঙ্গিন স্বপ্নগুলোকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলার মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নবম প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১৪ সালের এই দিনে কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মহানায়িকার প্রয়াণ দিবসে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্মরণ করছেন ভক্তরা।

বিজ্ঞাপন
সুচিত্রা সেন

তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ঘোষণা করা হলো দারুণ এক আয়োজনের। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আসছে এপ্রিলে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব।’ জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে ২০ ও ২১ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে উৎসবটি।

আজ ২২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন উৎসবের আয়োজকরা। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমদ। উপস্থিত ছিলেন ভারত ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, চলচ্চিত্র নির্মাতা রেশমী মিত্র এবং ভারতের সুপরিচিত বিনোদন সাংবাদিক শর্মিলা মাইতি।

বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা /  ছবি: বার্তা২৪

উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী হাসানুজ্জামান সাকী বলেন, পাবনায় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি উদ্ধারে আন্দোলনের ইতিহাস-প্রেক্ষাপট এবং বরেণ্য অভিনেত্রীর প্রতি আবেগ-ভালবাসার স্থান থেকে আমাদের এ আন্তর্জাতিক উৎসবের প্র‍য়াস। আমাদের স্লোগান- বিশ্বজুড়ে বাংলা ছবি। আমাদের উদ্দেশ্য মূলত তিনটি। এক, বাংলা ছবির বিশ্বায়ন অর্থাৎ বিদেশে বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক সৃষ্টি; দুই, বিদেশে বাঙালি চলচ্চিত্র কর্মীদের কাজের স্বীকৃতি এবং তিন, অভিবাসী চলচ্চিত্র কর্মীদের সঙ্গে আমেরিকার মূলধারার চলচ্চিত্র কর্মীদের সেতুবন্ধন রচনা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, 'বিশ্বজুড়ে বাংলা চলচ্চিত্র ছড়িয়ে দেয়ার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। ভাষার মাসে জীবন  উৎসর্গ করা শহীদদের স্মরণ করতে চাই। আমরা বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের কাজের মাধ্যমে, বাংলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।'

সুচিত্রা সেনকে স্মরণ করে তিনি বলেন, 'সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রতিটি অভিনয়শিল্পীর জন্য অনুপ্রেরণা। তার চলচ্চিত্রগুলো কালজয়ী, মনে হয় এখনো কোন আধুনিক ছবিই দেখছি।'

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত /  ছবি: বার্তা২৪

সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৪'এ বাছাইকৃত বেশ কয়েকটি ফিচার, শর্ট ও ডক্যুমেন্টারি ফিল্ম দেখানো হবে। ইতিমধ্যে ছবি জমা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক রিকগনাইজইড প্ল্যাটফর্ম 'ফিল্মফ্রিওয়ে' ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী ৬ এপিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। ওই দিনটি হবে ছবি জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিস্তারিত উল্লেখিত (https://filmfreeway.com/Suchitra SenIBFF2024) এই লিংকটিতে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

এসব ছবি থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর জুরি সদস্যরা পুরস্কারের সিদ্ধান্ত নিবেন। বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি প্রদর্শিত হবে এবং পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে। ছবি মনোনয়নের জন্য ক্যাটাগরিগুলো হল- ১. ফিচার ফিল্ম (শ্রেষ্ঠ ফিল্ম, সেরা পরিচালক, সেরা নারী ও পুরুষ অভিনয় শিল্পী, সেরা সিনেমাটোগ্রাফার) ২. সেরা শর্ট ফিল্ম ৩. সেরা ডক্যুমেন্টারি ফিল্ম। 

এছাড়াও অভিবাসীদের নির্মিত বাংলাদেশি ও ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং পপুলার ক্যাটাগরিতে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে দুই দেশ- বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য আলাদা পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে।

ফেরদৌস আহমেদ ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত /  ছবি: বার্তা২৪

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উৎসব আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা একুশ পদকপ্রাপ্ত লেখক, বিজ্ঞানী ও মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী ও অভিনয়শিল্পী লুতফুন নাহনি লতা, উৎসবের সমন্বয়কারী মো. আবদুল হামিদ, অনুষ্ঠান সহযোগী স্বাধীন মজুমদার ও এলি বড়ুয়া এবং ঢাকা ও কলকাতা কো-অর্ডিনেটর যথাক্রমে পিয়াল হোসেন ও শর্মিষ্ঠা ঘোষ, জুরি সদস্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।