শুরু হয়ে গেছে ঈদের প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে লড়াই!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঈদে আসতে পারে এই ছবিগুলো

ঈদে আসতে পারে এই ছবিগুলো

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন নিয়মিত সিনেমা হলের সংখ্যা বড়জোড় ৬০ থেকে ৭০টি। দুই ঈদে দর্শকের চাপ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় আরও কিছু হল চালু হয়। সব মিলিয়ে ঈদের সময়ে হলের সংখ্যা দাঁড়ায় ১শ ২০ থেকে ১শ ৩০টির মতো।

বিগত কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে, দেশের যে কয়েকটি চলচ্চিত্র ভালো ব্যবসা করে, তার ৯০ ভাগই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। বাকি সময়ে যে ছবিগুলো মুক্তি পায়, সেগুলো প্রত্যাশানুযায়ী ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়।

তাই গত কয়েক বছর ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, যে সব ছবির বাজেট একটু বেশি কিংবা জনপ্রিয় তারকারা রয়েছেন সেসব ছবিতে, তার প্রযোজক ও পরিচালকরা ঈদেই ছবিটি মুক্তি দিতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মোটকথা প্রতিবারই ঈদের সময় প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে এক ধরনের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই যুদ্ধে সব সময় এগিয়ে থাকেন শাকিব খান। তার সিনেমার প্রতিই দর্শকদের সবচেয় আগ্রহ বেশি থাকে বলে তিনিই থাকেন বেশিরভাগ প্রেক্ষাগৃহজুড়ে। বাকি হলগুলো নিয়ে শুরু হয় একাধিক প্রযোজকের কাড়াকাড়ি।

শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ আসছেে ঈদে

এবার ঈদুল ফিতরেও যে একই চিত্র দেখা যাবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবির তালিকা যেমন লম্বা, তেমনি রয়েছে নানা ধারার নানা স্বাদের সিনেমা।

তাতে সুপারস্টার শাকিব খানের তথাকথিত বাণিজ্যিক ঘরানান সিনেমা ‘রাজকুমার’ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে একেবারেই আর্ট ঘরানার সিনেমা গীয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’। একইসঙ্গে রয়েছে তরুণ নির্মাতা মিশুক মনির বানিজ্যিক ও আর্ট ঘরানার মিশেলে তৈরি ছবি ‘দেয়ালের দেশ’। আবার জাজ মাল্টিমিডিয়ার ভৌতিক ঘরানার ‘মোনা: জিন ২’ ছবিটিও রয়েছে মুক্তির মিছিলে।

এছাড়াও ঈদে মুক্তি পেতে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যে ছবিগুলো পেতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে ‘ওমর’, ‘সোনার চর’, ‘ডেড বডি’, ‘চক্কর’, ‘আহারে জীবন’, ‘মেঘনাকন্যা’ ও ‘পটু’।

তবে চলচ্চিত্রবোদ্ধারা বলেছেন, ঈদের সিনেমা নিয়ে আগাম ঘোষণা এলেও শেষ মুহূর্তে সরে যায় অনেক সিনেমা। অনেকেই ধারণা করছেন, হয়ত গত ঈদের মতো এবারও পাঁচ/ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেতে পারে।

‘রাজকুমার’ ছবিতে শাকিব খান

একটা সময় এক ঈদে শাকিবের পাঁচটি ছবিও মুক্তি পেয়েছে। তবে এ ধারার ব্যত্যয় হয়েছে। এবার এক সিনেমা দিয়েই ঈদে শাকিব তার উপস্থিতি জানান দেবেন। ‘রাজকুমার’ নামের সেই সিনেমাটির শুটিং শেষ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভার্সেটাইল মিডিয়া। এতে শাকিবের সহশিল্পী মার্কিন নায়িকা কোর্টনি কফি। গত ১১ মার্চ শাকিব খান তার ফেসবুকে লেখেন, ‘রাজকুমার কামিং দিস ঈদুল ফিতর’! পরিচালক হিমেল আশরাফ বলেন, ‘অনেক বড় পরিসরে রাজকুমারের শুটিং হয়েছে, যা কিছুদিন আগেও বাংলা সিনেমার জন্য স্বপ্ন ছিল। শুধু নিউইয়র্কেই টানা ১৮ দিন শুটিং হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অনেক মার্কিন পেশাদার কলাকুশলী কাজ করেছেন, সঙ্গে বাংলাদেশের টিম তো ছিলই। সিনেমার গান, লোকেশন, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ এমন কিছু চমক আছে, যা প্রেক্ষাগৃহে এলেই চমকে দেবে সবাইকে।

‘মনপুরা’ মুক্তির পর ২০০৯ সাল থেকে ‘কাজল রেখা’ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বরেণ্য নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণা শেষে ২০২২ সালে ছবির শুটিং করেন। সিনেমাটি এবারের ঈদে তিনি মুক্তি দিতে চান। প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো ঘটনার প্রেক্ষাপটে মৈমনসিংহ গীতিকার একমাত্র রূপকথা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘কাজল রেখা’। এতে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, ইরেশ যাকের, সাদিয়া আয়মান, আবুল কামাল আজাদ, মিথিলা, খায়রুল বাশার, শাহানা সুমি, সুজয়।

গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘দুই বছর ধরে ৫০ দিন নেত্রকোনার দুর্গাপুর, খুলনা সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওর ও রাজধানীর মিরপুরে ‘কাজল রেখা’র শুটিং সম্পন্ন হয়। আমরা অনেক পরিশ্রম করে সিনেমটি নির্মাণ করেছি। আশা করছি, দর্শকদের ভালো লাগবে। 

‘কাজলরেখা’য় মন্দিরা

‘পটু’ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ করে ঈদে এর মুক্তির ঘোষণা দিয়েছে পরিবেশক ও প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া। সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফাইড ফেসবুকে এমনই সুখবর মিলেছে। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আহম্মেদ হুমায়ুন। এ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইভান সাইর। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন– আফরা সাইয়ারা, শোয়েব মনির, দিলরুবা হোসেন দোয়েল, বাচ্চু দেওয়ান, গালিব সরদার প্রমুখ।

গত ২৫ জানুয়ারি ‘আহারে জীবন’-এর ফার্স্টলুক পোস্টার প্রকাশ করে ঈদে এর মুক্তির কথা জানিয়েছেন, নির্মাতা ছটকু আহমেদ। করোনাকালীন একটি গল্প ঘিরে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এখানে সামাজিক জীবনের টানাপোড়েনের একটি ব্যতিক্রমী গল্প আছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমায় অভিনয় করেছেন– ফেরদৌস, পূর্ণিমা, সুচরিতা, মিশা সওদাগর, কাজী হায়াৎ, জয় চৌধুরী, মৌমিতা মৌসহ আরও অনেকে।

 ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার পোস্টারে শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী

রাজ-বুবলী অভিনীত ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মিশুক মনি। বাংলাদেশ পরিচালক ও প্রদর্শক সমিতিতে ঈদুল ফিতরে মুক্তির জন্য নিবন্ধিত হয়েছে এটি। অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা নিজেই। নতুন জুটির রসায়ন দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকরা।

এছাড়া সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার আরেক সিনেমা ‘মোনা: জ্বীন-২’। এটিও ঈদে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে মোনার চিত্রনাট্য। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুপ্রভাত। অভিনয়ে আরও আছেন– তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, দীপা খন্দকার, আরিয়ানা, সাজ্জাদ হোসেন, সামিনা বাসার, শেহজাদ ওমর, রেবেকা, মাহমুদুল হাসান মিঠু, শামীম প্রমুখ।


অন্যদিকে, ঈদের ছবি হিসেবে মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত জাহিদ হোসেনের সিনেমা ‘সোনার চর’। এতে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, মৌসুমী, জায়েদ খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, স্নিগ্ধা, শবনম পারভীনসহ অনেকে। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ফিরে আসার সময়ের গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে সিনেমাটি।

বিজ্ঞাপন ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে বহু আগে সুনাম অর্জন করেছেন শরাফ আহমেদ জীবন। এবার তিনি নির্মাণ করেছেন সিনেমা ‘চক্কর’। অনুদানের এ সিনেমায় অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম। তার সঙ্গে আছেন মৌসুমী নাগ ও রিকিতা নন্দিনী শিমু।

‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমার পোস্টার

ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রতিক্ষীত ছবিগুলোর খাতায় নাম লেখিয়েছে ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’। গত ৮ মার্চ নারী দিবসে অনলাইনে অবমুক্ত হয়েছে নারী পাচারকে কেন্দ্র করে নির্মিত ছবিটির টিজার। এক মিনিট সাত সেকেন্ডের টিজারে ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে দুজন আলাদা শ্রেণি ও জায়গার নারীর গল্পের আবহ। নিষিদ্ধপল্লীর অন্ধকার জগতের মানুষদের পাশাপাশি 'মেঘনা কন্যা'র টিজারে আছে শহুরে নারীর অসহায়ত্বের গল্পের ইঙ্গিতও। এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি, সাজ্জাদ হোসেইনসহ অনেকে। সংগীতায়োজনে রয়েছেন চিরকুটখ্যাত সুমী। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন ফাহমিদুর রহমান এবং আহমেদ খান হীরক।

ঈদে মুক্তির তালিকায় থাকা মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত সিনেমা ‘ডেড বডি’তে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, জিয়াউল রোশান, মিষ্টি জান্নাতসহ অনেকে।

‘ওমর’ সিনেমার পোস্টারে শরিফুল রাজ

গত বছরের শেষ দিনে ‘ওমর’ সিনেমার পোস্টার মুক্তি পায়। সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ। সিনেমায় আরও রয়েছেন– ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, নাসির উদ্দিন খানের মতো বাঘা বাঘা অভিনেতা। এ সিনেমাটি নিয়ে বেশ আশাবাদী পরিচালক মুহম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। তিনি বলেন, সব কাজ শেষ। এর মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা সামাজিক মাধ্যমেই প্রচারণার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আশা করছি, সিনেমাটি দর্শকের ঈদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেবে।

   

হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরলেন শাহরুখ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

একমাত্র কন্যা সুহানা খানের জন্মদিনে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কিং খানের ভক্তরা। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রিয় অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

যেনতেন অসুস্থতা ছিল না। একেবারে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল এই সুপারস্টারকে! আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ শেষে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

ভক্তদের জন্য সুখবর। হাতপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাদের প্রিয় তারকা। একটু সুস্থ হতেই মুম্বাই নিজের ঘরে ফিরলেন শাহরুখ। গতকাল (২৩ মে) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন শাহরুখ।  সেদিনই আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। ঠিক তখনই পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হন তিনি।

তবে ভক্তরা তাকে এক ঝলক দেখার জন্য যতই অপেক্ষা করে বসে থাকুক না কেন, বাদশার দেখা পেতে এখন যে বেশ ধৈর্য ধরতে হবে সেটা তিনি বুঝিয়ে দিলেন। এদিন ছাতা দিয়ে মুখ ঢেকে তবেই হাসপাতাল থেকে বের হন শাহরুখ। তবে সেটি কি রোদ না লাগানোর জন্য নাকি ভক্তদের নজর এড়াতে সেটি স্পষ্ট নয়।

ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত (২১ মে) নিজের দলের খেলা দেখতে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন কিং খান। সেখানে অসুস্থবোধ করায় শহরের কেডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। গ্যালারিতে বসে দলের জয় উপভোগ করেন তিনি। একপর্যায়ে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক হয় তার! পরে তাকে আহমেদাবাদের কেডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

;

সারাদেশে ফারিণ অভিনীত প্রথম ছবি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তাসনিয়া ফারিণ /  ছবি : ফেসবুক

তাসনিয়া ফারিণ / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বড়পর্দায় নাম লেখালেন সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। দেশজুড়ে আজ মুক্তি পেয়েছে তার সিনেমা ‘ফাতিমা’। এরইমধ্যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পর্যন্ত নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ফারিণ (তার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি কলকাতার নির্মাতা অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’র জন্য)।

তবে এই ‘ফাতিমা’ই হলো ফারিণের প্রথম সিনেমা। এই ছবির কাজ যখন তিনি শুরু করেন তখন তিনি আজকের অবস্থানে ছিলেন না। নাটকে অভিনয় করে নিজের একটা পরিচিতি গড়েছেন সবেমাত্র। তখন তাকে খুব একটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেও দেখা যায়নি সেভাবে। এমনকি ওটিটিতে ফারিণ যে চমৎকার কিছু কাজ করেছেন, সেসবও দেখেনি দর্শক। তার গানের প্রতিভাও তখন বিকশিত হয়নি লোকের কাছে।

‘ফাতিমা’ সিনেমার পোস্টারে ইয়াশ রোহান ও তাসনিয়া ফারিণ

এমন অবস্থাতেই ফারিণকে প্রধাণ চরিত্রে সুযোগ করে দেন নির্মাতা ধ্রুব হাসান। সেটি ২০১৭ সালের কথা। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৮ বছর! অবশেষে সেই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে দেশের ১০টি প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে ফারিণকে, সঙ্গে আছেন ইয়াশ রোহান এবং সুমিত সেনগুপ্ত। চলতি বছর ইরানের ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পায় ছবিটি।

গত মঙ্গলবার ছিল ছবিটির প্রিমিয়ার শো। যেখানে শোবিজ অঙ্গনের তারকাসহ গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছেন সবাই।

অনেকটা সময় পর সিনেমাটি মুক্তি দিতে পেরে আনন্দিত পরিচালক ধ্রুব হাসান। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, ঢাকার ছয়টি সিনেপ্লেক্সসহ দেশের মোট ১০টি সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তালিকায় আছে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর সনি স্কয়ার, মহাখালীর এসকে টাওয়ার শাখা, কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাস, শ্যামলীর শ্যামলী সিনেমা ও যমুনার ব্লকবাস্টার। ঢাকার বাইরে ছবিটি দেখা যাবে নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ, চট্টগ্রামের বালি আর্কেড, সিলেটের গ্র্যান্ড সিলেট মুভি থিয়েটার, সিরাজগঞ্জের রুটস সিনে ক্লাব।

‘ফাতিমা’ সিনেমার পোস্টার

‘ফাতিমা’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন পান্থ কানাই, তারিক আনাম খান, শাহেদ আলী সুজন। সহযোগী প্রযোজক এবং প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন কবির আহমেদ।

;

হাত লম্বা-খাটোর তো কিছু নেই : নিপুণ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

নিপুণ আক্তার / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। নানা কারণে তিনি এখন আলোচিত মুখ। এতো আলোচনার মধ্যেই আজ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘সুস্বাগতম’। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন নতুন সিনেমা ও তার বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক সময়ের নানা অভিযোগ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

আপনি দেশের বাইরে। কিন্তু বাংলাদেশে আপনাকে নিয়ে এতো আলোচনা, এতো বিতর্ক! কবে ফিরবেন?


আসলে আমি এতো লম্বা সময়ের জন্য বিদেশে এসে থাকি না। কিন্তু এই সময়টা এখানে থাকা খুব জরুরী। কারণ আমার একমাত্র মেয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। তার কনভোকেশনে আমি অংশ নিয়েছি। শুধু আমি নই, সারা বিশ্ব থেকে অভিভাবকরা এসেছেন ছেলে-মেয়েদের কনভোকেশনে। এরপর আবার মেয়েটা মাস্টার্সে ভর্তি হলো। তা নিয়েও অনেক কাজ করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জরুরী ছিল বাসা বদলানো। চার বছর পর মেয়েটা নতুন বাসায় উঠলো। তাকে সব গোছগাছ করে দিলাম। আমি জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরব।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

আজ আপনার সিনেমা ‘সুস্বাগতম’ মুক্তি পেয়েছে। বিদেশে থাকার জন্য তো কোন ধরনের প্রচারণা করতে পারলেন না?


হ্যাঁ। বর্তমান সময়ে সিনেমা প্রচার না করলে সহজে মানুষের কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু কিছু করার নেই, আমি তো দেশে নেই। এখানে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যতোটা পেরেছি প্রচারণা চালাচ্ছি। এছাড়া ছবির অন্যান্য শিল্পী নীরব, স্পর্শিয়াসহ অনেকেই তাদের মতো প্রচারণা চালানোর কথা। সবাইকে ছবিটি দেখার অনুরোধ করব। কারণ ছবিটি খুব সুন্দর একটি বার্তা দেবে। সেটি হলো- মানুষের জন্ম তার হাতে নেই। সৃষ্টিকর্তা তাকে যে পরিবেশে পাঠাবেন তাকে সেখানেই আসতে হবে। কিন্তু আমরা যদি নিজের জন্ম বা সামাজিক অবস্থানের কথা না ভেবে নিজেকে ভালোভাবে গড়ে তুলি তাহলে স্বপ্নপূরণ করা সম্ভব।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে নাকি স্পর্শিয়ার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন!


একদম ঠিক শুনেছেন। আমি আসলে কখনোই নায়িকা চরিত্রে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চাইনি। যে চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আছে সেখানেই মন দিয়ে কাজ করেছি। এই ছবিতেও আমার চরিত্রটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই মেয়েটি তার সামাজিক অবস্থান ভুলে গিয়ে তার মেয়েকে একদিন পাইলট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। সেই চরিত্রে রয়েছে স্পর্শিয়া। সে খুব ভালো অভিনয় করেছে। আমাদের ছবির নির্মাতা শফিকুল আলমও কিন্তু পেশাগত জীবনে একজন পাইলট। হতে পারে এটি তারই জীবনের একটি খন্ডচিত্র।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

শিল্পী সমিতির চেয়ার নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে আইনি লড়াই। আপনার প্রতিপক্ষ ডিপজল বলেছেন, আপনি বিদেশে থেকেও আইনি যে কাজগুলো করছেন, তাতে বোঝাই যায় আপনার হাত কতো লম্বা। এ বিষয়ে কী বলবেন?


(হাহাহা) এটা কোন কথা, আপনিই বলেন! আমি পৃথিবীর যেখানেই থাকি, আইনের কাজ আইন করবে। তাতে হাত লম্বা-খাটোর তো কিছু নেই। আমি বিদেশে যেহেতু অনেকদিন থাকবো তাই আসার আগে নির্বাচনের সময় তাদের কারচুপি, অন্যায়মূলক কর্মকাণ্ডের যে সব প্রমাণাদি পেয়েছি সবটাই আমার আইনজীবীকে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। যেখানে সাইন করার দরকার করে এসেছি। এরপরও আমার কোন সাইন লাগলে আমার অবর্তমানে একজন সেই কাজ করতে পারবেন বলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে এসেছি। ফলে এখন আইনের প্রক্রিয়া বিজ্ঞ আদালতের গতিতে চলছে। এতে আমার তো অতিরিক্ত কিছু করার নেই।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

ডি এ তায়েব আপনাকে বলেছেন, আপনি সম্মানীত ব্যক্তিদের নামে আজেবাজে মন্তব্য করছেন। ডিপজলকে অশিক্ষিত বলেছেন। এই কথা কি মুখ ফসকে বেরিয়েছিল?


একদম না। আমি বুঝে শুনেই উনাকে (ডিপজল) মূর্খ্য বলেছি। কারণ তিনি ইদানিং যেসব কাজ করছেন বা কথা বলছেন তাতে মূর্খতারই পরিচয় দিচ্ছেন। আমি ভুল কিছু বলিনি। আর ডি এ তায়েবের কথা যেহেতু আপনি তুললেন, তার ব্যাপারে বলতে চাই, আমি দেশে ফিরে তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তার শিল্পী সমিতির সদস্য পদ নিয়ে আমি যে প্রশ্ন তুলেছি, উনি সেটার ভুলভাল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তিনি যখন সদস্যপদ পেয়েছেন তখন কি তার পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল? বিষয়টি আপনারা খোঁজ নিলেই পেয়ে যাবেন। যদি পাঁচটি ছবি মুক্তিই না পায় তাহলে উনি কিভাবে শিল্পী সমিতির সদস্য হতে পারেন?

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

আপনাকে কটাক্ষ করে এফডিসিতে সাধারণ শিল্পীদের মিছিল কিংবা নির্বাচনের এতোদিন পর কারচুপির অভিযোগ আনার জন্য আপনাকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলছেন। এতে আপনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন কি না?


একদম না। শুনুন, আপনি যখন এমন রাঘব বোয়ালদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে যাবেন তখন আপনাকে নানা ধরনের কটাক্ষ, নিন্দা কিংবা তারচেয়ে বড় কিছু মোকাবিলা করতে হবে। সুতরাং এ নিয়ে মাথা ঘামালে চলবে না। নিজের অধিকারের জন্য এবং সত্যের জন্য লড়তে হবে মাথা উচু করে। আমি সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। এসব কটাক্ষে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আর নির্বাচনের প্রায় এক মাস পর কারচুপি নিয়ে আইনের দারস্থ হওয়ার কারণও আছে। আমাকে সব তথ্য উপাত্ত সময় নিয়ে জমা করতে হয়েছে। তাছাড়া অনেকেই জানেন, প্রচণ্ড গরমে আমাদের নির্বাচন হয়েছে। আমি তা সহ্য করতে না পেরে পরদিন থেকেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি। আপনি আমার কণ্ঠ তো শুনছেনই, বুঝতেই পারছেন কতোটা অসুস্থ আমি (কণ্ঠ একেবারে বসা, মাঝেমধ্যে কাশি, কথা বলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল)। কিন্তু মেয়ের জন্য আমাকে ফ্লাই করে আসতেই হলো। এভাবেই সবকিছু ব্যালেন্স করতে চলতে হবে জীবনে। কোনকিছুই এমনি এমনি অর্জন হয় না। হলেও তা উপভোগের কিছু নেই।

;

কানের গ্রাঁ প্রিঁ উঠলো আর্জেন্টিনার হাতে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির দৃশ্য

‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের সমান্তরাল বিভাগ ক্রিটিকস’ উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রাঁ প্রিঁ’ জিতেছে আর্জেন্টাইন পরিচালক ফেদেরিকো লুইসের প্রথম চলচ্চিত্র ‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন’। ভূমধ্যসাগরের তীরে এসপেস মিরামার হোটেলে বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় বিজয়ী তালিকা ঘোষণা করা হয়। তখন উপস্থিত ছিলেন ক্রিটিকস’ উইকের প্রধান নির্বাহী আভা কায়েন।

উঠতি বয়সের এক কিশোরের মানসিক ব্যাধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আর্জেন্টাইন অভিনেতা, গায়ক ও গীতিকবি লরেঞ্জো ফেরো। এর যৌথ প্রযোজক আর্জেন্টিনা, চিলি ও উরুগুয়ের তিনটি পৃথক প্রতিষ্ঠান।

ক্রিটিকস’ উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতে ফেদেরিকো লুইস বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এই পুরস্কারের তাৎপর্য কী শুধু সেটাই ভাবছি না, আর্জেন্টিনার বাসিন্দাদের জন্য এর অর্থ কী সেটি নিয়েও ভাবছি, যাদের আগামী চার বছর স্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। এমন অনেকে আছেন যারা এখনও ভাবে, আমরা চলচ্চিত্র বানালেও কেউ দেখতে চায় না। আশা করি, এই পুরস্কার সেই চিন্তায় পরিবর্তন আনবে এবং আর্জেন্টিনার মানুষ এবং তারপর সারাবিশ্ব আমাদের সিনেমা দেখবে।’

৬৩তম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস’ উইকের বিজয়ী তালিকা

গ্রাঁ প্রিঁ
সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা-চিলি-উরুগুয়ে)

‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির পোস্টর

ফ্রেঞ্চ টাচ প্রাইজ অব দ্য জুরি

ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)

লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড
রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)

লাইৎজ সিনে ডিসকোভার প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)
মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)

গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন
জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম-সুইডেন)

এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড
লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম-সুইডেন)

ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)
অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

;