কোটা সংস্কারের পক্ষে যুক্তি দেখালেন তারকারা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম।
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সায়ান(বামে), শাওন(মাঝে), সোহেল রানা(ডানে) / ছবি : সংগৃহীত

সায়ান(বামে), শাওন(মাঝে), সোহেল রানা(ডানে) / ছবি : সংগৃহীত

দেশের সবচেয়ে গুরুতর চলমান সমস্যা কোটা আন্দোলন। মূলত ছাত্র আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও, বর্তমানে গুরুতর জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেশে ও বিদেশে সংবাদের শিরোনামে এসেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। দেশের নাগরিক হিসেবে তারকারাও তাদের মতামত প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।  

এর আগে আন্দোলনের প্রথম দিকেই সালমান মুক্তাদির ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। এছাড়া পরিচালক আশফাক নিপুণ, ওপার বাংলার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি, সুপার স্টার শাকিব খান, অভিনেত্রী পরিমণি, অভিনেতা সুমন আনোয়ার, ছোটপর্দার অভিনেতা নিলয় আলমগীরসহ অনেকেই ছাত্রদের পক্ষে সমর্থন জানান। সকলেরই বক্তব্য যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা। 

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি ভিডিওসাক্ষাৎকারে সঙ্গীতশিল্পী সায়ান এবং প্রবীণ অভিনেতা সোহেল রানাও ব্যক্তিগতভাবে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছে আলোচনায় এসেছেন। কোটা সংস্কারের পক্ষে দুজন যেমন মন্তব্য করেছেন, তেমন শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণের জন্যও তারা দুঃখ প্রকাশ করেন। সায়ান বলেন,‘জয়ের বাংলা ভয়ের বাংলা কেন হবে? একটা বাচ্চা ছেলে বুক উচিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। নিরস্ত্র ছেলেকে যে গুলি করে মারা হলো, এটার জবাব কে দেবে? আমি ছাত্রদের পক্ষে, আমার পেইজে গেলেই দেখতে পাবেন। কেউ রাজাকার তকমা চায়না। আমি তো চাই না। আমার দেশ অনেক কষ্ট করে অর্জন করা।’         

এছাড়া একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পার হয়ে গেছে। যদি একজন ১২ বছর বয়সেও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকে, তাহলে তার বয়স এখন ষাটোর্ধ্ব। তিনি অবশ্যই সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে যাবেন না। যদি তার সন্তানের কথা চিন্তা করি, ২০ বছর বয়েসি কোনো যোদ্ধারও যদি ছেলে হয়, তার বয়স এখন ৪০-৪৫ বছর হবে। তিনিও অবশ্যই চাকরির পরীক্ষা দিতে যাবেন না। এই কোটা তাহলে আসলে কাদের জন্য?’

বিজ্ঞাপন

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ফেইসবুকে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন,   ‘বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো এই নিরস্ত্র মানুষটাকে সরাসরি গুলি করা পুলিশ ভাই কি কাল রাতে ঘুমাতে পেরেছেন? উনার কি কোনো সন্তান আছে? সেই সন্তানের চোখের দিকে তাকাতে উনার কি একটুও লজ্জা লাগবে না!’ এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে জানান, তিনি ছাত্রদের পক্ষে। এছাড়া এরপর তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘দয়া করে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাদের পরিবার নিয়ে কোনো প্রকার বাজে মন্তব্য করবেন না।’

এছাড়া সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন,‘মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতেই এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা তুলে নেওয়া উচিত।’