আন্দালিবের গ্রেফতারে যা বললেন পিয়া জান্নাতুল

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পিয়া জান্নাতুল / ছবি : বার্তা২৪.কম ও আন্দালিব রহমান পার্থ

পিয়া জান্নাতুল / ছবি : বার্তা২৪.কম ও আন্দালিব রহমান পার্থ

সেতু ভবনে হামলার মামলায় আজ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পার্থ রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি একজন ব্যারিস্টার এবং আইনবিষয়ক শিক্ষক।

জনপ্রিয় শোবিজ তারকা ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল আইন নিয়ে পড়ার সময় সরাসরি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন আন্দালিব রহমান পার্থকে। শুধু তাই নয়, পিয়া একাধিক ইন্টারভিউতে পার্থ’র প্রতি তার অনুরাগের কথা বলেছেন।

বিজ্ঞাপন
পিয়া জান্নাতুল / ছবি : বার্তা২৪.কম

প্রসঙ্গক্রমেই পার্থ’র এই গ্রেপ্তার ও রিমান্ড ইস্যু নিয়ে যোগাযোগ করা হয় পিয়া জান্নাতুলের সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আন্দালিব রহমান পার্থ আমার একজন শিক্ষক। আমি সরাসরি তার ক্লাস পেয়েছি। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে একজন শিক্ষকের এমন দুঃসংবাদে নিঃশ্চয়ই আমার খারাপ লাগছে। তবে ঘটনাটি যেহেতু আজকের তাই এ বিষয়ে এখনো গভীরভাবে স্ট্যাডি করিনি যে কেন তাকে গ্রেফতার কিংবা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এটা সত্যি যে খবরটি শুনেই মন খারাপ হয়েছে। এই মন খারাপ যে কোন শিক্ষার্থীরই হবে তার শিক্ষকের জন্য। এর বাইরে কিছু নয়।’

পার্থ’কে নিয়ে আলাদাভাবে ইন্টারভিউতে কথা বলার বিষয়টি তুলতেই পিয়া বলেন, ‘দেখুন, ক্লাসরুমের বাইরে পার্থ স্যারের সঙ্গে আমার এক মিনিটও দাঁড়িয়ে বা বসে কথা বলার সুযোগ হয়নি। তবে ইন্টারভিউতে আমি তার নাম বলেছিলাম কারণ আমাকে প্রশ্ন করা হয় তার ব্যক্তিত্ব আমার পছন্দ? সেই প্রশ্নের উত্তরে আমি পার্থ স্যারের কথা বলি। কারণ তিনি অসম্ভব মেধাবী একজন মানুষ। একইসঙ্গে তার পোশাক-পরিচ্ছদ, বিশেষ করে কথাবার্তা আমাকে মুগ্ধ করে। শুধু আমি নই, তার বাচনভঙ্গির ভক্ত এ দেশে অনেকেই, সে কথা জোর গলায় বলাই যায়। সবমিলিয়ে এই পরিপাটি মানুষটি আমার পছন্দের শিক্ষক ছিলেন।’

বিজ্ঞাপন
আন্দালিব রহমান পার্থ

প্রিয় শিক্ষকের হয়ে আদালতে লড়বেন কি না জানতে চাইলে পিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এখনো অতো বড় আইনজীবী হইনি। তবে সত্যি যদি তেমন পজিশনে থাকতাম তবে আমি তার হয়ে লড়তাম। কারণ আইনের মাধ্যমে সুবিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। তারচেয়ে বড় কথা আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতে স্বপেক্ষ লড়াই করার অধিকারও সবার আছে। কে দোষী কিংবা কে নির্দোষ সে তো মামলা শেষে আদালত বিচার করবে, লড়তে তো দোষের কিছু দেখি না।’