মৃত্যুবার্ষিকীতে ম্যাথিউ পেরির ইচ্ছাপূরণ করলো পরিবার
বিখ্যাত সিটকম সিরিজ ‘ফ্রেন্ডস’-এ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ম্যাথিউ পেরি। চ্যাডলার বিং-এর ভূমিকায় অভিনয় করার সময় সংলাপে তাকে একাধিক বার বলতে শোনা যেত,‘আমি সম্ভবত একাই মারা যাব।’ গল্পের চরিত্রের সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন ম্যাথিউ।
সম্প্রতি ম্যাথিউর মৃত্যুর এক বছর পার হয়েছে। অকালপ্রয়াত অভিনেতার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে ম্যাথিউর প্রিয় জনেরা চেষ্টা করছেন তার অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করতে।
সমাজসেবা করতে পছন্দ করতেন ম্যাথিউ। বরাবরই গণমাধ্যমে এই দীর্ঘদিনের ইচ্ছার কথা জাহির করতেন। তাই তাকে স্মরণ করে গত সপ্তাহে ‘দ্য ম্যাথিউ পেরি ফাউন্ডেশন অব কানাডা’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যে বাস্তুহারা মানুষদের সাহায্য করা। সাহায্যপ্রার্থীদের আর্থিক ও মানসিক সাহায্য কার ছাড়াও চাকরি এবং থাকার জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেরির নিকটাত্মীয়রা।
পেরির পরিবার এবং কাছের মানুষরা তার ইচ্ছাপূরণের উদ্দেশ্যে এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বেঁচে থাকতে পেরি প্রায়ই এই সাহায্যপ্রার্থী মানুষদের নিয়ে আফসোস করতেন এবং সাহায্য করতে চাইতেন। ম্যাথিউয়ের চলে যাওয়ার পর তার প্রিয়জনদের জন্য সময় অনেক কঠিন হয়ে যায় বলে জানান তান বোন কেইটলিন মোরিসন। তাই তারা সকলে মিলে এই ফাউন্ডেশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পেরির মা সুজান মোরিসন এবং তার ছোটবেলার দুই বন্ধু ব্রিয়ান ম্যুরে ও কারা ভ্যাকারিনো এই সংস্থার প্রেসিডেন্ট এবং সিইও-র দায়িত্বে রয়েছেন। ম্যাথিউকে হারানোর দুঃখ কাটিয়ে উঠতেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতবছর ২৮ অক্টোবর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ফ্রেন্ডস ক্যাত হলিউড অভিনেতা ম্যাথিউ পেরিকে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিল দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। তার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে একাই ছিলেন দিন। ঘটনার দিন বাথটাব থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আচমকাই তার মৃত্যুর খবরে সকলে হতবাক হয়ে যান।
সেসময় মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানারকম মত প্রকাশ করা হচ্ছিল বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। কিন্তু ১০ মাস পর জানা যায়, অতিরিক্ত মাদক প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছিল অভিনেতার। শুধু তার পরিবার, বন্ধু বা সহকর্মীরা নয়; এমন অনাকাক্ষিত মৃত্যুতে কেঁদেছে লাখো ভক্ত।