বিচ্ছেদের গুঞ্জনে পানি ঢেলে একসঙ্গে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া!
বিনোদন
কয়েক মাস ধরে ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম বলিপাড়া। আম্বানিদের বিয়ের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে উপস্থিত না হওয়া, আরব আমিরাতের একটি শোতে নাম থেকে বচ্চন পদবি বাদ দেওয়া- এসব নিয়ে চলছে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। মাঝেমধ্যে অমিতাভ বচ্চন সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হচ্ছেন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নিয়ে। তবে সব গুঞ্জনকে এক পাশে রেখে এক ফ্রেমে হাজির সবাইকে চমকে দিলেন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক দম্পতি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাইয়ের সান এন স্যান্ড হোটেলে একটি বিয়ের সংবর্ধনায় ঐশ্বরিয়া-অভিষেককে একই ফ্রেমে দেখা গেল! সাধারণত জনসমক্ষে কম দেখা দেওয়া এই দম্পতি ঐশ্বরিয়ার মা বৃন্দা রাইয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিজ্ঞাপন
চলচ্চিত্র প্রযোজক অনু রঞ্জন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এতটা ভালোবাসা আর উষ্ণতা!’
ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক হাস্যোজ্জ্বল মুখে ছবি তুলেছেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক মনীশ গোস্বামীর শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা যায়, এই দম্পতি অতিথিদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। অভিনেত্রী আয়েশা জুলকাও অনুষ্ঠানের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন।
বিজ্ঞাপন
১৭ বছরের বেশি সময় একসঙ্গে পার করেছেন এই দম্পতি। তাদের একমাত্র সন্তান আরাধ্যা। সম্প্রতি অভিষেক তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে পারার জন্য আরাধ্যাকে সামলানোয় ঐশ্বরিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তানজিন তিশা, সাফা কবির, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়ার মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় চলছে শোবিজ অঙ্গনে। মাদকাসক্ত মডেল, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই এখন এ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
সূত্র জানায়, মাদকসহ গ্রেপ্তার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে তথ্যপ্রমাণসহ সাফা কবির, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তানজিন তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নাম বেরিয়ে আসে। একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা নিয়মিত মাদক সংগ্রহ করে আসছিলেন। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এমন পরিস্থিতিতে একটু আগেই এক ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সেই পোস্টে তিনি কারও নাম উল্লেখ না করলেও শোবিজের জনপ্রিয় এক তারকা দম্পতিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছে নেটিজেনরা। কারণ, তিনি তার পোস্টে এমন কিছু ক্লু দিয়েছেন যাতে সহজেই বোঝা যায় কাদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো লিখেছেন।
সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘সবাই বলছে আমি কেন মাদককাণ্ডে “রিলের বঙ্গমাতার” স্ক্রিনশট পোস্ট করছি না? করছি না কারণ, ওর হাজবেন্ডের মত আমাদের আজাইরা স্ক্রিনশট বেচার ব্যবসা নাই!’
‘রিলে বঙ্গমাতা’ কথাটি দিয়েই সাবা মোটামুটি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার কথাই বলেছেন। কারণ তিশা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বায়োপিকে বঙ্গমাতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর স্বামী প্রখ্যাত নির্মাতা ও বর্তমানে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এই পোস্টের কমেন্ট বক্সেও তিশা-ফারুকীকে ইঙ্গিত করেই একাধিক মন্তব্য এসেছে। শাহাদাৎ রাসেল নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ডিসেম্বরের পরে সবাইকে দেখে নেবে হিজবুতি ফারুকীর বউ। সবাই সাবধান’। একই কথা এসেছে জনপ্রিয় তারকা মেহের আফরোজ শাওনের কমেন্টেও। তিনি লিখেছেন, ‘ডিসেম্বরের পর সবাইকে দেখে নিবে।’
এদিকে জানা গেছে, শোবিজের অনেকেই শুধু মাদক সেবন নয়, মাদক কারবারেও জড়িত। ফলে মাদকসংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে- এমন আতঙ্কে ভুগছেন তাদের অনেকেই। অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাকে হঠাৎ করেই সরিয়ে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা নানাভাবে তাদের প্রভাব খাটাচ্ছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক (ডিজি) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তলবের জন্য ব্যবস্থা নেবেন তদন্ত কর্মকর্তা।
নিঃসন্দেহে এ সময়ে শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম আলোচিত তারকা আজমেরী হক বাঁধন। অকারণে নয়, শুধু ভালো কাজ আর ভালো উদ্যোগের জন্য আলোচিত তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নিজের কাজ দিয়ে বাংলাদেশকে করে চলেছেন গর্বিত।
কয়েক মাস আগেই তিনি ঘোষণা করেন, প্রযোজকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন তিনি। সে সময় বাঁধন বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, ‘আমি একটি সিনেমার এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার হতে চলেছি। গল্প, নির্দেশক সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে। এখন ফাইন্যান্সার খুঁজছি। সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে বড়পর্দার জন্যই ছবিটি করব।’
বাঁধন আরও জানিয়েছিলেন, তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমাটির নাম ‘মেয়েদের গল্প’। নারীকেন্দ্রীক সেই সিনেমায় মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমাদের সমাজ কেমন সেটি ফুটে উঠবে। ছবিটি পরিচালনা করবেন লামিয়া চৌধুরী। পাঠকের অবগতির জন্য বলা, লামিয়া একজন স্টারকিড। তার বাবা-মা এ দেশের চলচ্চিত্রঅঙ্গনের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও চিত্রনায়িকা দিতি।
আর দিতির মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। দিতির বিভিন্ন কাজ ও গুণাবলীর দ্বারা একসময় প্রভাবিত হয়েছেন বাঁধন। ফলে সেই সম্পর্কের খাতিরেই কি লামিয়ার মতো একজন নতুন পরিচালকের ওপর ভরসা করে কাজ করছেন বাঁধন? তিনি এখন প্রতিটি কাজ যতোটা বিচার বিশ্লেষণ করে করছেন, এই কাজটিও কি সেই মান বজায় রাখতে সক্ষম হবে?
সরাসরি এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই কাজটি খুব ভালো হবে। লামিয়া আমার ওপর কিছুই চাপিয়ে দেয়নি। ইনফ্যাক্ট সে একবারও আমাকে কাজটি করার অনুরোধ করেনি। গল্প আমাকে দিয়েছে, আমার পছন্দ হয়েছে বলে নিজেই তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছি। গল্পের কিছু জায়গায় আমার ইনপুটও দিয়েছি। সে সাদরে সেগুলো গ্রহণ করেছে।’
তবে সেই ঘোষণার পর ছবিটির আর কোন অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি। এবার সেই বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গেই প্রথম কথা বললেন বাঁধন। ছবিটির কাজ এখন কি অবস্থায় আছে? জানতে চাইলে বাঁধন বলেন, ‘আমি এখন আর সেই ছবিটির সঙ্গে নেই। সুতরাং এ নিয়ে এর বেশি কিছু এখন আর বলতে চাই না।’
হয়তো বাঁধন আর লামিয়ার সবকিছু ব্যাটে বলে মেলেনি বলেই তারা একসঙ্গে ছবিটি আর করতে পারছেন না।
তুর্কি টিভি সিরিজগুলোর জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশেও প্রচুর দর্শক আছে, যারা তুর্কি সিরিজে বুঁদ হয়ে থাকেন। এ যাবত বাংলায় ডাবিংকৃত বেশ কিছু তুর্কি সিরিজ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় এবার মাছরাঙা টেলিভিশন পর্দায় আনছে ‘বড় ভাই’ নামে একটি সিরিজ।
তুর্কি ভাষায় এর নাম ‘কারদেসলারিম’। আন্তর্জাতিকভাবে এটি প্রচারিত হচ্ছে ‘মাই ফ্যামিলি’ এবং ‘মাই সিবলিংস’ নামে। সিরিজটি তুরস্কের এটিভি চ্যানেলে প্রথম প্রচার হয় ২০২১ সালে। অল্প সময়ের মধ্যেই তুরস্ক ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমানে ৪০টিরও বেশি দেশে প্রচার হচ্ছে এই সিরিজ। যার মধ্যে রয়েছে স্পেন, চীন, চিলি, পেরু, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, ক্রোয়েশিয়া, বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, কাজাখিস্তান, উজবেকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরাক, ইসরায়েল, লেবানন, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া প্রভৃতি দেশে।
বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি, ২০২৫) থেকে এই বহরে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ নামটিও। খবরটি নিশ্চিত করেন মাছরাঙা টেলিভিশনের গণমাধ্যম মুখপাত্র রিয়াদ শিমুল।
‘বড় ভাই’ নামের বাংলা ডাবিং করা সিরিজটি চার ভাইবোনের জীবন সংগ্রাম ও পারিবারিক বন্ধনের গল্প নিয়ে আবর্তিত। বাবা-মায়ের অকাল মৃত্যু তাদের জীবনে নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। একসঙ্গে থেকে সেই প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে তারা। পরিবার, ভালোবাসা এবং ট্র্যাজেডির চমৎকার মিশেলে নির্মিত সিরিজটি খুব দ্রুত দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
মাছরাঙা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় প্রচার হবে সিরিজটি।
প্রচলিত আছে, একসঙ্গে শো করতে গিয়ে র্যাপার হানি সিংকে থাপ্পড় মেরেছেন শাহরুখ খান- এই শিরোনামে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম ৯ বছর আগে সংবাদ প্রকাশ করে। তখন হানি সিং এ বিষয়ে চুপ ছিলেন। এমনকি শাহরুখও এ বিষয়ে কখনোই মুখ খোলেননি।
সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে হানি সিংয়ের জীবনীনির্ভর তথ্যচিত্র ‘ইয়ো ইয়ো হানি সিং’। সেই তথ্যচিত্রে হানি নিজেই জানিয়েছেন প্রকৃত ঘটনা। ‘শাহরুখ কখনোই আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না। উনি এমন মানুষই নন’, প্রকৃত ঘটনা বলতে গিয়ে শাহরুখকে নিয়ে এভাবেই কথা বলেন হানি সিং।
তিনি বলেন, ‘৯ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি। কেউ জানে না প্রকৃত ঘটনা। সবাই বলেছিলো, শাহরুখ আমাকে থাপ্পড় মেরেছিলো! সে কখনোই এটা করতে পারে না।’
এরপর সেই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন হানি। বলেন, ‘‘যখন আমাকে শিকাগো গিয়ে শো করতে বলা হয়েছিলো, আমি রাজি হইনি। আমার মনে হয়েছিলো, ওই শোতে গেলে আমি আর ফিরবো না। আমাকে মেরে ফেলা হবে। কিন্তু সবাই আমাকে জোর করছিলো। তারা বলছিলো আমার শো করতে যাওয়া উচিত। এরপর আমার ম্যানেজার এসে বারবার তাড়া দিচ্ছিলো যে, কেন আমি রেডি হচ্ছি না। আমি যাচ্ছি না, এটা তাকে জানিয়ে দিলাম। এরপর ট্রিমার নিয়ে ওয়াশরুমে গেলাম। আমার মাথার সব চুল কামিয়ে ফেললাম। বাইরে এসে তাদের বললাম, ‘দেখো, আমি কীভাবে এখন শো করতে যাবো?’ আমার ম্যানেজার বললো, ‘মাথায় ক্যাপ পরে চলে যাও।’ হাতের কাছেই একটা কফির মগ ছিলো। মগটি নিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলাম এবং মাথা ফেটে গেল!”
ডকুমেন্টারিতে হানি সিং-এর বোনও স্বীকার করেন যে, তখন তার ভাই শো করতে যেতে চায়নি শিকাগোতে। কারণ হানির মনে হচ্ছিলো কোথাও একটা ঘাপলা আছে।