রাজবংশের মেয়ে জয়া!
মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এলেন এক রাজা। সারা গা ভর্তি ক্ষত, রুক্ষ জট পড়া চুল, পরনে যত্সামান্য কাপড়, স্মৃতিশক্তি হারানো ও তা ফের পুনরুদ্ধারের পর চিতা থেকে উঠে এলেন তিনি। প্রায় এক যুগ পর। নিজ রাজ্যের প্রজাদের ব্রিটিশ অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে যে! ফিরে এলেন সন্ন্যাসী রাজা নিজ রাজপ্রাসাদে।
নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় এই গল্পটিকে ইতিহাস থেকে নিয়েছেন।
এটি ভাওয়াল মামলা।
রাজা কি আসল না নকল, তা চিহ্নিত করার লড়াই।
রাজা মহেন্দ্র কুমার চৌধুরীর জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই ছবির পটভূমি।
পরিচালক জানালেন-
ছোট থেকে ঠাকুমার ঝুলির মতোই এই গল্প শুনে বড় হয়েছি। তারপর সিনেমায় দেখেছি। পরবর্তীকালে সিরিয়ালও হয়েছে। কিন্তু, সেখানে গল্পটাকে বড্ড ফিক্সনালাইজড করা হয়েছে। আসল গল্প কেউ বলেনি। তারপর আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'প্রিন্সলি ইম্পোস্টার' বইটা পড়ি। সেটা পড়েই আমি এই ছবিটা তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করি।
সৃজিতের ইচ্ছে ছিলো, এই ছবির শুটিং হবে বাংলাদেশের গাজীপুরে, ভাওয়াল রাজার জাদুঘরে, ভাওয়াল জমিদার বাড়ি ও আশেপাশের অন্য এলাকায়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে তা আর হয়ে উঠেনি।
‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিতে জয়া আহসানকে দেখা যাবে ভাওয়াল রাজার বোনের চরিত্রে।
টিজারেই দেখা যাচ্ছে জয়ার একঝলক।
ভাওয়াল রাজার ৭২ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে টিজার।
রাজা চরিত্রটি বাস্তবায়ন করেছেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত।
তার জন্য তাকে ভীষণ পরিশ্রম করতে হয়েছে।
পরিচালক জানালেন-
এই ছবির জন্য যীশু সেনগুপ্তকে ৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খালি গায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে এবং সেই সময় গায়ে জল দিয়ে বৃষ্টির দৃশ্য তৈরি করা হয়েছে; ৪৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খালি পায়ে মরুভূমির বালিতে হাঁটতে হয়েছে; শ্মশানে মরা পুড়ছে, তার পাশে বসে মরার খুলিতে চা পান করতে হয়েছে। আর এই সবটাই সে করেছে এই চরিত্রটার জন্য।
ছবিটিতে আরও দেখা যাবে- অঞ্জন দত্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অপর্ণা সেন, রুদ্রনীল ঘোষ, বরুণ চন্দ এবং রাজনন্দিনী পালক সহ আরও অনেককেই।
‘এক যে ছিলো রাজা’ মুক্তি পাবে দুর্গা পুজোয়।