হাতে নিয়েছেন ‘বাংলাদেশ’ সিরিজের নতুন প্রজেক্ট, ‘খেলাধুলার বাংলাদেশ’।
বাংলাদেশের খেলাগুলোকে একটি গানের মাধ্যমে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস এটি।
বুশরা বলছেন-
বিজ্ঞাপন
আমার চেষ্টা বাংলাদেশের খেলাগুলোকে একটি গানের মাধ্যমে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরা। এরমধ্যে অনেক রকমের খেলা আমাদের গ্রামবাংলা থেকে হারিয়েও গেছে। সেই ভাবনা থেকেই খেলাগুলোকে একসঙ্গে তুলে আনার এই চেষ্টা। জানি না কতটুকু পেরেছি। তবে চেষ্টার কোনও কমতি রাখিনি।
বিশেষ এই গানের ভিডিওতে মডেল হয়েছেন দেশের অনেক তারকা খেলোয়াড়।
ভিডিও নির্মাতা তানিম রহমান অংশু।
বিজ্ঞাপন
বুশরা বলছেন-
ভিডিওটির বাড়তি চমক হিসেবে থাকছে দেশের বিভিন্ন তারকা খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ। এতে মডেল হিসেবে দেখা যাবে ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, ফুটবলার আসলাম, দাবার গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমানসহ খেলার সঙ্গে জড়িত অনেকেই।
ভিডিওতে বুশরা নিজেও থাকছেন শুটার হিসেবে।
সঙ্গে থাকছেন রাশিয়ান মডেল আর্টেম, বিদেশী পর্যটকের ভূমিকায়।
‘খেলাধুলার বাংলাদেশ’ গানটিতে কন্ঠ তো দিয়েছেনই, কথা ও সুরও করেছেন বুশরা নিজেই।
সংগীতায়োজনে ইমন চৌধুরী।
বুশরা বলছেন-
এই মিউজিক প্রজেক্টের মাধ্যমে ক্রিকেট, ফুটবল, দাবা, গল্ফ ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামীণ ও ঐতিহ্যবাহী খেলার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা। যেমন সাতচাড়া, ফুলটোকা, কেরাম, কানামাছি, কুতকুত, মার্বেল, লাটিম, হাডুডু, শুটিং, সুইমিং, জুডো, কারাতে ইত্যাদি নিয়ে একটি গল্প বলার চেষ্টা করেছি।
সামনেই এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
বুশরা মাথায় রেখেছেন এই বিষয়টি।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গানটি আসবে বুশরা শাহরিয়ারের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
গত শুক্রবার দেশজুড়ে ৮৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের প্রথম প্যান ইন্ডিয়া সিনেমা ‘দরদ’। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বেশ বড় পরিসরের মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। শাকিব খানের এই সিনেমা নিয়ে ভক্তদের উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনার কমতি ছিল না। মুক্তির প্রথম দিনে মাল্টিপ্লেক্সে সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড গড়ে সিনেমাটি। সিঙ্গেল স্ক্রিনেও শুরুটা খারাপ ছিল না। কিন্তু দুই দিন না পেরোতেই দর্শক–খরায় ভুগছে সিনেমাটি। শাকিবের সিনেমা দিয়ে যেখানে বাজিমাত করার কথা, সেখানে পুঁজি তোলার শঙ্কায় আছেন সিঙ্গেল স্ক্রিনের হলমালিকেরা।
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার মধুমতি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘দরদ’। গত শনিবার, সিনেমার দ্বিতীয় দিনে সেখানে গিয়ে বেলা সাড়ে তিনটার শোতে দেখা যায় নিস্তব্ধ নীরবতা। নিচে দর্শকশূন্য থাকলেও ডিসিতে গিয়ে পাওয়া যায় ১২ থেকে ১৫ জন দর্শক। হলে দায়িত্বরত এক কর্মচারী গণমাধ্যমকে জানান, কোনো শোতে আশানুরূপ দর্শক পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে চললে পুঁজি ওঠানো অসম্ভব।
এই জেলার পার্শ্ববর্তী কুলিয়ার উপজেলার রাজ ও আনন্দ—দুই সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘দরদ’। সবশেষ শাকিবের ‘তুফান’ দিয়ে ভালো ব্যবসা করে রাজ সিনেমা। তাই ‘দরদ’ নিয়েও বেশ আশাবাদী ছিলেন তারা। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ফেসবুক ও আশপাশের উপজেলায় মাইকিংয়ে সিনেমাটির প্রচার চালায় হলটি। তবে আশায় গুড়েবালি। সিনেমাটির কোনো শোতেই সাড়া পাচ্ছেন না তারা। হলটির প্রদর্শক কৃষ্ণ দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজ সিনেমায় যেকোনো সিনেমা প্রথম সপ্তাহে বেশ ভালোই চলে। আর শাকিব খানের সিনেমা হলে তো কথাই নেই। তবে এই সিনেমার কোনো শোতে আমরা তেমন দর্শক পাচ্ছি না। তিন দিন তো গেল, দেখি বাকি সপ্তাহে কপালে কী আছে।’
সম্প্রতি সিনেপ্লেক্সের যুগে পা রাখল যশোরের ঐতিহ্যবাহী মণিহার সিনেমা হল। হলটিতে মুক্তি পেয়েছে শাকিবের ‘দরদ’। মণিহার সিনেপ্লেক্সের ম্যানেজার ফারুক আহমেদ জানান, শুক্রবার মোটামুটি ভালোই শুরু করেছিল ‘দরদ’, কিন্তু শনিবার থেকেই ছন্দপতন। প্রতিদিন পাঁচটি শো চললেও কোনো শোতেই তেমন দর্শক হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে শাকিব খানের কোনো ছবিতে মুক্তির প্রথম তিন দিনেই এমন খরা তাদের দেখতে হয়নি বলেও জানান তিনি।
নীলফামারী জেলার একমাত্র হল সৈয়দপুরের তামান্না ডিজিটাল সিনেমা। হাজারের বেশি দর্শক ধারণক্ষমতার এ হলটিতে শাকিবের সিনেমা মুক্তি মানেই উৎসব। পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে দর্শকের ঢল নামে এখানে। সে আশায় সব সময়ের মতো বেশি রেন্টাল দিয়ে শাকিব খানের সিনেমা নিয়েছিল হলটি। তবে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘দরদ’, সে আশা পূরণ করতে পারেনি।
হলটির অপারেটর শায়েখ আব্দুর রহমান বলেন, ‘লাভের আশা তো পরে, রেন্টালের টাকাই ওঠাতে পারব না। শনিবার দ্বিতীয় দিনে পাঁচটা শোতে বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। গতকাল রোববার বিক্রি হয়েছে আট হাজার টাকার টিকিট। আর আজ কী বলব, রানিং দুপুর সাড়ে ১২টার শোতে দর্শক মাত্র আটজন। বাকি দিন কেমনে যাবে জানি না। শাকিবের পুরোনো সিনেমা মুক্তি দিলেও এর চেয়ে বেশি বিক্রি হয়।’
সিনেমাটি নিয়ে হলফেরত দর্শক প্রতিক্রিয়া কী? এ প্রশ্নে শায়েখ আব্দুর রহমান বলেন, ‘দর্শক হল থেকে বের হয়ে বলছেন, তাঁরা গল্প বুঝতে পারেন নাই। তবে শাকিব ভাইয়ের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন তারা।’
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হল বেশ আশাবাদী শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে। প্রথম দুই দিনের মতো সাড়া না পেলেও সিনেমাটিকে সময় দিতে চান হলটির কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই দিন বেশ ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তবে আজ কিছুটা ভাটা। সিনেমাটার দম একটু কম। তবে আমি ভালো সিনেমা সময় দেওয়ার পক্ষে। অন্তত দুই সপ্তাহ না দেখে মন্তব্য করতে চাই না।’
‘দরদ’ সিনেমায় দুলু মিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান। ফাতিমা চরিত্রে তার নায়িকা বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় রোমান্টিক সাইকো–থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। ছবির প্রযোজক হিসেবে আছেন অশোক ধানুকা, হিমাংশু ধানুকা, কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া ও অনন্য মামুন। সহপ্রযোজক (হিন্দি) হিসেবে আছেন করণ শাহ (ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ)। বিশ্বজুড়ে পরিবেশন করছে অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট।
শাকিব খান ও সোনাল চৌহান ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন পায়েল সরকার, রাহুল দেব, অলোক জৈন, রাজেশ শর্মা, সাফা মারওয়া, ইমতু রাতিশ, তানভীর তারেক, জাকির হোসাইন, ফারহান খান রিও এবং বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।
ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী মুনমুন সেন স্বামী হারালেন। ফলে তার দুই কন্যা জনপ্রিয় তারকা রিয়া সেন ও রাইমা সেন হলেন বাবাহীন।
কিংবদন্তি সুচিত্রা সেনের মেয়ের জামাতা ভরত দেব বর্মা মারা গেছেন। ৪৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জড়িয়েছেন ভরত বর্মা। আজ (১৯ নভেম্বর) সকালে দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এদিন সকালে শরীরে অস্বস্তিবোধ করেন ভরতবাবু। দ্রুত খবর যায় ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে, সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই সব শেষ। বাবাকে হারালেন মুনমুনের দুই কন্যা রিয়া ও রাইমা সেন।
দুই মাস আগেই বাবার জন্মদিনে আদুরে পোস্ট শেয়ার করেছিলেন রাইমা। বাবা তার চোখে ‘রকস্টার’ এবং ‘সেরা বাবা’, জানিয়েছিন অভিনেত্রী। ৪৫ ছুঁইছুঁই রাইমা অবিবাহিত, বাবা-মা’র সঙ্গেই থাকতেন তিনি।
১৯৭৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাধা পড়েছিলেন মুনমুন সেন ও ভরত দেব ভর্মা। ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে ভরত দেব বর্মা।
নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ভরতের মা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকুমারী, যার ছোট বোন গায়ত্রী দেবী জয়পুরের মহারানি। ১৯৪১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ইলা দেবী ও ত্রিপুরার মহারাজা রমেন্দ্রকিশোর দেব বর্মার ছেলে ভরতের।
পড়াশুনা ও নাগরিকত্ব ইস্যুতে লম্বা সময় সংগীত ও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আজমেরী নির্ঝর। যিনি হাবিবের সংগীতে ‘একটা দেশলাই কাঠি জালো’, হৃদয় খানের সঙ্গে ‘জানি একদিন আমি চলে যাবো’সহ বেশকিছু গানের জন্য এখনো শ্রোতামনে জায়গা করে রেখেছে।
ফ্রান্স প্রবাসী এই কণ্ঠশিল্পী এবার আবদ্ধ হলেন বিয়েবন্ধনে। গত ১৫ নভেম্বর প্যারিসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে বলে জানান নির্ঝর নিজেই। বর ফেনীর ছেলে জাহেদ আহমেদ মামুন। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে ফ্রান্সে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মূলত তিনি ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক।
অন্যদিকে আজমেরী নির্ঝর গেল কয়েক বছর ধরে প্যারিসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বর্তমানে ফ্রান্সের ইমিগ্রেশন বিভাগে ৪টি ভাষার ট্রান্সলেটর হিসেবে কর্মরত আছেন।
নির্ঝর প্যারিস থেকে বলেন, ‘সবার কাছে দোয়া চাই আমাদের নতুন জীবনের জন্য। দ্রুতই আমরা দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। তখন বড় করে আনুষ্ঠানিকতার ইচ্ছে আছে।’
বলা দরকার, আজমেরী নির্ঝর নতুন গান প্রকাশের চেয়েও যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ফ্রান্সে ছুটেছেন উচ্চশিক্ষার জন্যে। অবশেষে থিতু হলেন প্যারিসে।
ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে যুক্ত আছেন নির্ঝর। খুলনা নজরুল একাডেমিতে ১০ বছর নজরুলসংগীতের তালিম নিয়েছেন। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ, নতুন কুঁড়ি, জাতীয় শিশু পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারই পেয়েছেন এই শিল্পী। এ পর্যন্ত তিনটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে নির্ঝরের। এগুলো হচ্ছে ‘পোড়ামুখী’ (২০০৩), ‘সূর্যমুখী’ (২০০৫) ও ‘স্বপ্নমুখী’ (২০১২)।
সিঙ্গেল গানের মধ্যে ‘জানি একদিন’ ও ‘আজকের এই নিশি’ গান দুটি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, ২০১৫ সালে দেশ ছাড়ার আগে আগে। জানা গেছে, বেড়ানোর জন্য আসছে বছরে দেশে ফিরলেও গানে ফেরার ইচ্ছা নেই আজমেরী নির্ঝরের।
বাংলা সিনেপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের খবর! অস্কারজয়ী একমাত্র বাঙালী নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সিনেমা ‘পথের পাঁচালি’ দেখেননি বা এই সিনেমার কথা শোনেননি এমন দর্শক খুব কম আছে।
এই ছবি যারা দেখেছেন তারা নস্টালজিয়ায় ভোগেন ক্ল্যাসিক ‘দূর্গা’ চরিত্রটি নিয়ে। হাত ধরে ক্ষেত দিয়ে ছুটে যাচ্ছে দুই ভাই-বোন। অথবা সেই বৃষ্টিতে ভেজার দৃশ্য, গ্রামের বৃষ্টিতে মন জুড়নো সেই ছবি। অথবা সেই মায়ের কাছে মার খাওয়ার দৃশ্য। প্রত্যেকটা দৃশ্যকেই জীবন্ত করে তুলেছিলেন ‘দুর্গা’ চরিত্রের শিশুশিল্পী উমা দাশগুপ্ত। সেই ছোট্ট দূর্গা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়েছেন, বার্ধক্য তাকে ঘিরে ধরেছিলো।
কিন্তু আজ একেবারেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রয়াত হয়েছেন পথের পাঁচালির ‘দুর্গা’, উমা দাশগুপ্ত। আজ (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
সপ্তাহখানের ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই থিয়েটার করতেন উমা দাশগুপ্ত। স্কুলে পড়ার সময় তার অভিনয় দেখেই সত্যজিৎ রায় তাকে। বেছে নিয়েছিলেন পথের পাঁচালির দুর্গার চরিত্রটির জন্য। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই বাংলা সিনেমার ইতিহাসে জায়গা করে নেন তিনি। তবে সিনে-দুনিয়ার লাইম লাইট থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করতেন উমা দাশগুপ্ত।
কয়েক বছর আগে ক্যানসার হয়েছিল উমা দাশগুপ্তের। চিকিৎসা চলছিল। প্রাথমিকভাবে তিনি সাড়াও দিয়েছিলেন চিকিৎসায়। সুস্থ হয়ে ফের শুরু করে স্বাভাবিক জীবন যাপন। তবে কয়েক বছর আগেই আবার ফিরে আসে মারণ-রোগ। আর লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি উমা। ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন তিনি। প্রথম ছবির পরে আর রুপোলি পর্দায় দেখা যায়নি তাকে। রূপোলি পর্দা থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করতেন অভিনেত্রী। নিজের মতো করে জীবন সাজিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সংসার করতেন। কন্যসন্তান ছিল তার।
এর আগে একাধিকবার উমা দাশগুপ্তের মৃত্যুর ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। শোনা গিয়েছিল তিনি নাকি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। তবে সেই সমস্ত খবর বানোয়াট। কিন্তু এবার সত্যি হল তার মৃত্যুর খবর। যে অভিনেত্রী মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্য কেবল একটি সিনেমাই যথেষ্ট, আজ প্রয়াত হলেন সেই কিংবদন্তি।