পারস্যের আশ্চর্য গ্রাম ‘কান্দোভান’



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পারস্যের আশ্চর্য গ্রাম কান্দোভান

পারস্যের আশ্চর্য গ্রাম কান্দোভান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের নাম তখনও ইরান হয়নি। পারস্যদেশ নামে সারা বিশ্বে মশহুর। সেসময় পত্তন হয় এক গ্রামের। দূর থেকে দেখলে মনে হয় অবিকল উইয়ের ঢিবির মতো। যদিও উই নয়, ঢিবিগুলো মানুষের আবাস। উত্তর-পশ্চিম ইরানের  পাহাড়ি কোলে এক ঐতিহাসিক প্রত্যন্ত গ্রাম কান্দোভান । আধুনিক যুগেও এখানকার বাসিন্দারা ঢিবির মতো গুহায় থাকেন সেই আশ্চর্য গ্রামে।

'কান্দোভান' নামটি ফার্সি শব্দ 'কান্দো' থেকে । এর অর্থ স্থানীয় তুর্কি উপভাষায় 'করণ'। যার অর্থ মৌচাক। বাড়িগুলোর ডাকনাম 'করণ'। হাজার হাজার বছর আগে এখানে এক আগ্নেয়গিরির ঘুম ভাঙে। নির্গত লাভা ঠান্ডা হওয়ার পর অঞ্চলটিতে উষ্ণ ঢিবির জন্ম।

প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, কান্দোভানের ইতিহাস ১০ হাজার বছরেরও বেশি পূর্বের। অঞ্চলটিতে প্রথম বসতি স্থাপন করে প্রাগৈতিহাসিক মানুষেরা। কান্দোভানের আশপাশের অঞ্চলে সহস্রাব্দ ধরে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। এর মধ্যে মেডিস, অ্যাকেমেনিডস, পার্থিয়ান, সাসানিড অন্যতম। গোষ্ঠীগুলো তাদের ব্যবহার্য জিনিস, মৃৎপাত্র কিংবা অন্যান্য শিল্পকর্মের মধ্যে রেখে গেছে তাঁদের সভ্যতার চিহ্ন।

সময় ছুটে চলে। সময়ের সঙ্গে ছুটতে ছুটতে এই এলাকায় বাড়ে জনবসতি। প্রসারিত হয় গ্রাম। পরিবারদলোর প্রয়োজনেই আবশ্যিক হয় গুহাবাড়ির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন। গ্রামবাসীরা পানীয় ও সেচের জন্য নিকটবর্তী ঝরনা থেকে জল গ্রামে আনার জন্য তৈরি করে জলের চ্যানেল। কিন্তু বাড়ির ঐতিহ্যবাহী আকার, আকৃতি ও কাঠামো বদল করেননি তাঁরা।

ইরানে যখন ইসলামি স্বর্ণযুগ, তখন কান্দোভানের আশপাশের অঞ্চলটি বৃত্তি ও শিক্ষার আদর্শ কেন্দ্রে পরিণত হয়। পণ্ডিত-দার্শনিকদের কাছেও প্রিয় ছিল এই এলাকা। 

১১ এবং ১২ শতকে সেলজুক তুর্কিরা এই অঞ্চলে একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। কান্দোভান সুপ্রাচীন বাণিজ্যপথ সিল্ক রোডের নিকটবর্তী হওয়ায় বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফলে কান্দোভান অনেক উল্লেখযোগ্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে, বিশেষ করে ২০ শতকে। এই সময় নগরায়ণের ফলে কান্দোভান অনেক বেশি আধুনিক হয়ে ওঠে।

স্থানীয়দের দাবি, প্রায় সাতশো বছর আগে কিছু মানুষ মঙ্গোল হানাদারদের হাত থেকে বাঁচতে এই টিলাগুলোতে বসতি স্থাপন শুরু করে। আর এখন? ইরানের তাবরিজ শহরের কাছে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের প্রাচীন এই গ্রাম আয়তনে বেড়েছে। প্রায় সাড়ে ছ'শো মানুষের নিবাস কান্দোভানে। এখানকার মানুষের আয়ের উৎস কৃষি ও ভেড়া পালন। ভালো আয় আসে পর্যটন থেকেও। হস্তশিল্প তৈরি করে বিক্রিও করেন স্থানীয়রা। 

নিবাসীদের প্রচেষ্টায় একেকটা বাড়ি এখন হেরিটেজ হোটেল। ঘরগুলো শীতকালে উষ্ণ এবং গ্রীষ্মে শীতল। এমনটা কীভাবে সম্ভব? ঘরগুলোর দেওয়াল প্রায় দুই মিটার পুরু। মেদবহুল এই দেওয়ালই গ্রীষ্মে শীতল বাতাস প্রবাহিত করে এবং শীতকালে উষ্ণ বাতাস আটকে রাখে। বছরের যে-কোনো সময়েই ঘরগুলো থাকে আরামদায়ক।

কান্দোভানের ঢিবির মতো গুহাবাড়িগুলোর অনন্য নকশা এবং নির্মাণ গ্রামের প্রধান আকর্ষণ। ঘরগুলো আগ্নেয়গিরির ছাই ও শিলা কেটে এমনভাবে তৈরি, যা নিয়েছে শঙ্কু আকৃতি। বাসিন্দাদের নিবিড় শ্রম ও ধৈর্য না থাকলে এমন শৈলীর ঘর বানানো অসম্ভব। দরজা খুলে একচিলতে ঘরটায় ঢুকে বাইরেটা দেখলে মনে উঠবে খুশির তুফান। না, কেবল বাইরে নয়, ঘরের ভিতরটাও পাল্লা দিয়ে পরিপাটি। মেঝেতে পাতা কার্পেট, ঐতিহ্যশালী কম্বল, কুশন, কাঠ-পোড়া চুলা, রঙিন ট্যাপেস্ট্রি বা পর্দা দেখে মন ছুঁয়ে যাবে যেকারোই।

বাড়িগুলোর বেশিরভাগই দোতলা। যদিও সেগুলো কিছু ক্ষেত্রে তিন, এমনকী চার তলাও। ভিতর থেকে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় ঘরগুলো। গ্রামীণ মানুষ এই পাহাড়ের মধ্যে কেবল আবাস নয়, তৈরি করেছে চারণভূমি, গুদামসহ নানান কর্মশালাও। মাল্টি-স্টোর হাউস এবং সিঁড়িগুলো সাধারণত প্রতিটি তলের সঙ্গে অন্য তলের সংযোগের জন্য তৈরি।

গ্রামটিতে রয়েছে গণশৌচালয়, জলের কল, মসজিদসহ সমস্ত সুবিধা। মসজিদটি কান্দোভানের বৃহত্তম করণগুলোর মধ্যে একটি। বাড়িগুলোর অনন্য স্থাপত্য, সুন্দর উপত্যকা, মনোরম আবহাওয়া, জৈব দুগ্ধ, বাদাম ও ঔষধি গাছ, মধু এবং কারুশিল্প অঞ্চলটিকে ইরানের অন্যতম পর্যটন অঞ্চলে পরিণত করেছে। কান্দোভানের বাড়িগুলো ভূমিকম্প-প্রতিরোধী। কারণ প্রাকৃতিক এই শিলা শক্তিশালী এবং নমনীয়। গ্রামে রয়েছে রোগা গলির গোলকধাঁধা। ইতিহাস, স্থাপত্য এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে কান্দোভান এখনও এক বিস্ময়।

   

রাতেও সূর্য অস্ত যায় না যেখানে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাতেও সূর্য অস্ত যায় না যেখানে

রাতেও সূর্য অস্ত যায় না যেখানে

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টায় দিন রাত সেতো আমরা সকলেই জানি। সারা দিনের ক্লান্তি কাটিয়ে রাতে ঘুমাই আমরা, প্রত্যাশায় থাকি নতুন এক ভোরের। কিন্তু একবার ভাবুন তো, যেখানে সূর্যই অস্ত যায় না সেখানে নতুন ভোর আসবে কীভাবে? কিংবা যেখানে রাত হয় না, সেখানকার মানুষ দিনের ক্লান্তি দূর করতে ঘুমাবে কখন? ভাবছেন এমনও জায়গা আছে নাকি! অবাস্তব নয়, পৃথিবীর বুকেই আছে এমন কিছু স্থান যেখানে কখনো সূর্য অস্ত যায় না। দীর্ঘ ঘুমের পর যেখানকার মানুষ কাকডাকা ভোরের দেখা পায় না। 

আজকের আলোচনায় আমরা জানব পৃথিবীর এমন কিছু স্থান, যেখানে সূর্য অস্ত যায় না রাতেও!

নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ে, টানা আড়াই মাস রাত হয় না যেখানে!

নরওয়ে: নরওয়েকে বলা হয় নিশীথ সূর্যের দেশ। দেশটি ভৌগলিক অবস্থান এটিকে দিয়েছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে ভিন্নরূপ। মে থেকে জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত নরওয়ের আকাশ হতে সূর্য অস্ত যায় না। ফলে টানা এই আড়াই মাস নরওয়ের মানুষ রাতের দেখা পায় না! দেশটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো আর্কটিক অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর থেকে রাতেও দিগন্ত রেখায় সূর্যের দেখা মেলে। 

যেখানে বছরে দুই মাস সূর্য ডোবে না। নুনাভুত, কানাডা

নুনাভুত, কানাডা: কানাডার নুনাভুট অঞ্চল আর্কটিক সার্কেলের ২ ডিগ্রি উপরে অবস্থিত। এখানে বছরের প্রায় দুই মাস সূর্য ডোবে না। শুধু তাই নয়, শীতকালে এই স্থানে টানা ৩০ দিন দেখা মেলে না সূর্যের। অর্থাৎ এখানকার মানুষ একদিকে যেমন দুই মাসের টানা সূর্যের ছায়াতলে থাকে, একইভাবে যাপন করতে হয় দীর্ঘ এক মাসের রাত।

জুন মাসে রাতের বেলায়ও সূর্য দেখা যায় আইসল্যান্ডে

আইসল্যান্ড: আইসল্যান্ড বিখ্যাত সে দেশে সাপ ও মশার অনুপস্থিতির কারণে। গ্রেট ব্রিটেনের পর আইসল্যান্ড ইউরোপের সবথেকে বড় দ্বীপ। জুন মাসে রাতের বেলায়ও সূর্য দেখা যায় এ দ্বীপে। 

পোলার নাইটস নামে পরিচিত, গ্রীষ্মকালে রাতের আকাশেও সূর্য থাকে যেখানে!

ব্যারো, আলাস্কা: আলাস্কার এ অঞ্চলে মে মাসের শেষ থেকে জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত (গ্রীষ্মকালে) রাতের আকাশেও সূর্যের দেখা মেলে। রয়েছে মুদ্রার উল্টোপিঠও! শুধু সূর্য অস্ত যায় না তাই নয়, নভেম্বরের শুরু থেকে ডিসেম্বর শুরু পর্যন্ত টানা রাত থাকে এখানে। যেকারণে ‘পোলার নাইটস’ নামেও পরিচিত এই স্থানটি।

 হাজার হ্রদের দেশ ফিনল্যান্ডে টানা ৭৩ দিন সূর্য ডোবে না!

ফিনল্যান্ড: ফিনল্যান্ডকে বলা হয় হাজার হ্রদ এবং দ্বীপের দেশ। ইউরোপের এই দেশে গরমকালে একটানা ৭৩ দিন সূর্য ডোবে না। আবার একইভাবে শীতকালে টানা ৩২ দিন সূর্যের দেখা মেলে না এখানে। এই অদ্ভুত প্রাকৃতিক বৈষম্যতার কারণে সে দেশের অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে যে, মানুষ শীতকালে বেশি ঘুমায় এবং গরমকালে কম ঘুমায়।

 সুইডেনে বছরের অর্ধেক সময় থাকে দিন, বাকি অর্ধেক রাত!

সুইডেন: ৩৬৫ দিনে এক বছর তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু সুইডেনের বছর শেষ হয় একদিনে! কারণ বছরের অর্ধেক সময় এখানে থাকে দিন, বাকি অর্ধেক থাকে রাত। তাও আবার টানা! তাই দিন-রাতকে সূর্যের হিসবে ধরে, বলায় যায় যে সুইডেনে বছর কাটে এক দিনেই! আর এখানকার মানুষ বছরের অর্ধেক সময় থাকে অন্ধকারে বাকি অর্ধেক থাকে আলোতে।

;

উড়োজাহাজকেই বাড়ি বানিয়েছেন এই নারী !



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উড়োজাহাজে বানানো বাসায় জো অ্যান ইউসারি। ছবি: সংগৃহীত

উড়োজাহাজে বানানো বাসায় জো অ্যান ইউসারি। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি দেখে বুঝার উপায় নেই এটি উড়োজাহাজের ভিতরে তৈরি করা সুন্দর, পরিপাটি একটি রুম। বলতে গেলে উড়োজাহজটিকে তিনি একটি সম্পূর্ণ বাড়িতেই রূপ দিয়েছেন। কি নেই এর মধ্যে? ১৫০০ বর্গফুটের এই বাসায় আছে তিনটি শয়নকক্ষ, দুটি গোসলখানা এমনকি একটি উষ্ণ পানির বাথটব। 

এতক্ষণ যেসব বিবরণ দেয়া হয়েছে তার মালিক যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের বেনোইট শহরের বাসিন্দা জো অ্যান ইউসারি। পেশায় তিনি একজন রূপচর্চাবিশেষজ্ঞ। খবর সিএনএন।

এ ঘটনাটির সময়কাল নব্বই দশকের দিকে। তখন এই পুরো কাজটিতে অ্যানকে ব্যয় করতে হয়েছে ৩০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান হিসাবে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের বেনোইট শহরের বাসিন্দা জো অ্যান ইউসারির বাড়িঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর তিনি নতুন করে বাড়ি বানানোর চিন্তা বাদ দিয়ে পরিত্যক্ত বোয়িং ৭২৭  উড়োজাহাজকেই বানিয়ে ফেলেছেন নিজের বসবাসের জায়গা।

১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ওই উড়োজাহাজে বসবাস করেন তিনি। বাড়ি বানানোর এই কাজটির বেশিরভাগ অংশই তিনি নিজে করেছেন।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বেসামরিক বিমান পরিবহনের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগসূত্র ছিল না। উড়োজাহাজে থাকার এই উদ্ভট পরামর্শ দেন তার দুলাভাই। তিনি পেশায় একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার।  

যদিও অ্যানই উড়োজাহাজকে বাসাবাড়ি বানানো একমাত্র ব্যক্তি নন। তাঁর এই নিখুঁত প্রকল্পে অন্যরাও উৎসাহিত হয়েছেন। ৯০’র দশকের শেষ দিকে ব্রুস ক্যাম্পবেল নামক এক ব্যক্তিও উড়োজাহাজে বসবাস শুরু করেন। তিনি পেশায় তড়িৎ প্রকৌশলী ছিলেন। তবে ক্যাম্পবেলের বেসরকারি বৈমানিক লাইসেন্স রয়েছে।

ক্যাম্পবেল বলেন, একদিন আমি গাড়ি চালিয়ে রেডিও শুনতে শুনতে বাসায় ফিরছিলাম। ওই সময় অ্যানের উড়োজাহাজে বসবাসের গল্পটি শুনে খুবই বিস্ময়কর আর মজার লাগছিল। তখন থেকে আমিও এরকম বাড়ি বানানোর চিন্তা করি। 

ক্যাম্পেবল পরিত্যক্ত বোয়িং ৭২৭ উড়োজাহাজকেই নিজের বাড়ি বানিয়ে ফেলছেন। ২০ বছর ধরে তিনি দেশটির অরেগন অঙ্গরাজ্যের হিলসবোরোতে গাছগাছালিঘেরা একটি এলাকায় বসবাস করছেন। এমন একটি অগ্রসর ধারণা দেওয়ার জন্য অ্যানার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এত বছর উড়োজাহাজে বসবাস নিয়ে কোনো আফসোস নেই ক্যাম্পবেলের। তিনি এটি উপভোগ করেন এবং এই বাসাবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। 

;

চীনা শিশুর রান্নার দক্ষতায় অবাক হবেন আপনিও?



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাধুঁনীর ভূমিকায় ভাইরাল শিশুটি। ছবি: সংগৃহীত

রাধুঁনীর ভূমিকায় ভাইরাল শিশুটি। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তারা প্রায়ই প্রাপ্তবয়স্কদের ক্রিয়াকলাপ অনুকরণ করে থাকে। অনেক সময় তাদের প্রিয় খেলনা হয়ে উঠে বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র যেমন, থালা, বাটি, খুন্তিসহ আরও অনেক কিছু। এসব নিয়ে খেলা করা পর্যন্ত ঠিকাছে। কিন্তু, কয়েক বছরের এক শিশুর রান্নার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাও আবার সেই রান্নার কৌশল অবিশ্বাস্য! চীনের সিচুয়ান প্রদেশের নেইজিয়াং প্রদেশের এক শিশু ইন্টারনেট থেকে বিখ্যাত এক শেফের রান্নার কৌশল অনুসরণ করে ইন্টারনেটে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শিশুটির রান্নার ভিডিওটি গত ফেব্রুয়ারিতে পোস্ট করা হয়। এতে শিশুটি অগণিত নেটিজেনদের হৃদয় জয় করে নেয়। ভিডিওটি দেখলে আপনি অবাক হবেন নিশ্চিত! শিশুটি যেভাবে কড়াই আর খুন্তি-হাতা যেভাবে নাড়াচাড়া করছিল, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে চীনের একটি শিশুর রান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (আগের নাম টুইটার) ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে অভিনব কৌশলে রান্না করতে দেখা যায় শিশুটিকে। ওই শিশুটি ইন্টারনেট থেকে রান্না শিখেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। 

শিশুটির মা জানান, আমার ছেলের যখন মাত্র কয়েক মাস তখন থেকেই তার রান্নার প্রতি আগ্রহ শুরু হয়। টেলিভিশনে রান্নার অনুষ্ঠান দেখে এমন শেফদের নকল করে সেসব কৌশল শিখতো এবং সেগুলো বাসায় বানানোর চেষ্টা করতো।

ভিডিওতে, ছোট্ট শিশুটিকে একটি মইয়ের সাহায্যে দক্ষতার সাথে কড়াইয়ে চামচ দিয়ে সবজি নাড়তে দেখা যায়। এর সঙ্গে নিজেও তালে তালে একটু নাচছে। একপর্যায়ে কড়াইয়ের হাতলে বিশেষ কৌশলে চামচটি আটকে নেয়। এরপর কড়াইটিকে নিয়ে ঘাড়ের ওপর দিয়ে শরীরের চারপাশে ঘুরাতে থাকে। আবার কড়াইটি চুলার ওপর রেখে সবজি নাড়তে নাড়তে গান গাইতে থাকে। আর পুরো রান্নাটি হয় তিন পায়া বিশিষ্ট একটি বানানো চুলায়।

এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। 

ভিডিওটির নিচে অলিভিয়া ওয়াং নামে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করে লিখেছেন, এই ছোট্ট ছেলেটি কীভাবে এত দ্রুত এই রান্নার প্যানটি (কড়াই) পরিচালনা করতে পারে এবং তার রান্নার দক্ষতা এতো আশ্চর্যজনক?

;

এই বয়সেও বৃদ্ধার বিশ্ব রেকর্ড!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বয়স কেবলই একটা সংখ্যা’ বাংলায় এমন একটি কথা প্রচলিত রয়েছে। এই কথাটি সম্পূর্ণ সত্য বলে প্রমাণ করেছেন মার্কিন এক নারী। স্বাভাবিকভাবে দেখলে যে বয়সে মানুষ যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করে যান, সে বয়সের এক বৃদ্ধা কিনা নিঞ্জা প্রতিযোগিতায় (রিং দোলানো ও দড়ি আরোহণ) করেছেন বিশ্ব রেকর্ড। তাও আবার বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী হিসেব। ল্যানোর ম্যাককল (৭১) নামে ওই নারী যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৭১ বছর বয়সী মার্কিন নারী ল্যানোর ম্যাককল নিঞ্জা প্রতিযোগিতার রাউন্ডআপে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। তার এমন সাফল্যের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে এবং অভিনন্দন জানানো হয়েছে। 

রেকর্ড সংরক্ষণকারী সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (আগের নাম টুইটার) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে ম্যাককলকে নিঞ্জা প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জে ভরা রিং দোলানো, দড়ি আরোহণ এবং একটি বার থেকে অন্য বারে লাফ দিতে দেখা যায়। এ কাজগুলো তিনি খুব সহজেই করেছেন। 

ল্যানোর জানান, আমার মেয়ে (জেসি গ্রাফ) আমেরিকান নিঞ্জা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতায় যখন তার সাফল্য দেখি তখন নিজের মধ্যেও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে তৈরি হয়। আমার বয়স যখন ৬৬ তখন আমি এই প্রতিযোগিতার যাত্রা শুরু করি। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমার মেয়ে (জেসি গ্রাফ) আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

তার ব্যায়ামের রুটিন সম্পর্কে তিনি জানান, আমার প্রাথমিক খাদ্যতালিকা হল মাছ, শাকসবজি এবং কিছু টার্কি মুরগি। আমি দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং চিনি এড়িয়ে চলি।

এতোদূর আসার পিছনে তার সবচেয়ে বড় সমর্থক এবং উৎসাহদাতা ছিল তার স্বামী এমনটাও জানিয়েছেন তিনি।  

এতো সাফল্যের পরও থামতে নারাজ ৭১ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা। বরং তিনি এখন আরো বেশি প্রতিজ্ঞ। পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চান বয়সের বাঁধা কোনো বাঁধাই নয়।

;