বিশ্ব চকলেট দিবস ২০২৪: চকলেটের ইতিহাস এবং প্রভাব

  • ড. মতিউর রহমান
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত,  ৭ জুলাই আন্তর্জাতিক চকোলেট দিবস

ছবি: সংগৃহীত, ৭ জুলাই আন্তর্জাতিক চকোলেট দিবস

চকলেটের প্রতি মানুষের আকর্ষণ ও ভালোবাসা বহু প্রাচীন এবং বিস্তৃত। প্রাচীন মায়া সভ্যতা থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের বিখ্যাত চকোলেটারিয়ার পর্যন্ত চকলেটের একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ইতিহাস রয়েছে। চকলেট শুধুমাত্র স্বাদের কারণে নয়; এর ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণেও গুরুত্বপূর্ণ।

৭ জুলাই বিশ্ব চকলেট দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। এটি সেই দিনটির স্মৃতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যেদিন চকলেট প্রথম ইউরোপে এসেছিল। এই দিবসটি চকলেটপ্রেমীদের জন্য তাদের প্রিয় মিষ্টান্ন উপভোগ করার এবং এর ইতিহাস ও গুরুত্ব সম্পর্কে আরো জানার একটি সুযোগ।

বিজ্ঞাপন

চকলেটের উৎপত্তি প্রাচীন মেসোআমেরিকায়, যেখানে মায়ান এবং অ্যাজটেকরা কোকোগাছ থেকে চকলেট তৈরি করতেন। তারা কোকোবীজকে পিষে পানীয় তৈরি করতেন, যা বেশ তিতা ছিল এবং প্রায়ই মশলা দিয়ে মেশানো হতো। মায়ানরা চকলেটকে দেবতাদের উপহার হিসেবে বিবেচনা করতেন এবং এটি ধর্মীয় আচার এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো।

ইউরোপে চকলেট ধনী এবং রাজপরিবারের জন্য একটি বিলাসবহুল পানীয় হয়ে ওঠে, ছবি- সংগৃহীত

বিজ্ঞাপন


অ্যাজটেকরা কোকো বীজকে মুদ্রার মতো মূল্যবান বিবেচনা করতেন এবং এটি ধনী ও অভিজাতদের পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

১৫০০ শতকের শুরুর দিকে স্প্যানিশরা আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করার সময় চকলেটের সন্ধান পান। তারা চকলেটকে ইউরোপে নিয়ে আসেন এবং সেখানে এটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

প্রাথমিকভাবে, চকলেট পানীয় হিসেবেই ব্যবহৃত হতো এবং এর তিতা স্বাদ মধু বা চিনি দিয়ে মিষ্টি করা হতো। ইউরোপে চকলেট ধনী এবং রাজপরিবারের জন্য একটি বিলাসবহুল পানীয় হয়ে ওঠে এবং এটি ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে চকলেটের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয়। ১৮২৮ সালে কোকো প্রেস আবিষ্কার করে কোকো বাটার এবং কোকো পাউডারকে পৃথক করা সম্ভব হয়, যা শক্ত চকলেট তৈরির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। ১৮৪৭ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি ফ্রাই অ্যান্ড সন্স প্রথমবারের মতো খাওয়ার উপযোগী চকলেট বার তৈরি করে। এরপর থেকে, চকলেটের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এটি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন এবং স্ন্যাকসের প্রধান উপাদান হয়ে ওঠে।

১৮৪৭ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি ফ্রাই অ্যান্ড সন্স প্রথমবারের মতো খাওয়ার উপযোগী চকলেট বার তৈরি করে, ছবি- সংগৃহীত


চকলেটের বিভিন্ন প্রকার এবং প্রস্তুত প্রণালী রয়েছে, যা বিভিন্ন স্বাদ এবং ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

ডার্ক চকলেট উচ্চ কোকো কনটেন্ট এবং কম চিনি দিয়ে তৈরি হয়, যার ফলে এটি একটি তিক্ত স্বাদ পায়। এতে সাধারণত ৫০ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশ কোকো সলিডস থাকে। ডার্ক চকলেটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী রয়েছে এবং এটি হার্টের স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

মিল্ক চকলেট ডার্ক চকলেটের তুলনায় মিষ্টি এবং ক্রিমি। এটি কোকো সলিডস, কোকো বাটার, চিনি এবং দুধ বা দুধের পাউডার দিয়ে তৈরি হয়। মিল্ক চকলেটের সাধারণত ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ কোকো সলিডস থাকে এবং এটি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন এবং স্ন্যাকসের জন্য জনপ্রিয় উপাদান।

হোয়াইট চকলেট কোকো সলিডস ছাড়া শুধুমাত্র কোকো বাটার, চিনি এবং দুধ বা দুধের পাউডার দিয়ে তৈরি হয়। এর ফলে এটি একটি মিষ্টি এবং ক্রিমি স্বাদ পায় এবং এটি সাধারণত ডার্ক এবং মিল্ক চকলেটের তুলনায় কম তিতা হয়।

যদিও হোয়াইট চকলেটের কোনো কোকো সলিডস নেই। এটি বিভিন্ন মিষ্টান্ন এবং বেকড পণ্যের জন্য একটি জনপ্রিয় উপাদান।

ডার্ক চকলেটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি রক্তচাপ কমাতে, রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত ডার্ক চকলেট গ্রহণ হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে।

চকলেট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। চকলেটের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ক্যাফেইন মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করতে এবং মানসিক সক্রিয়তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত চকলেট গ্রহণ বয়সজনিত মস্তিষ্কের অবক্ষয় কমাতে সহায়ক হতে পারে।

চকলেট মেজাজ উন্নত করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। চকলেটের মধ্যে থাকা থিওব্রোমাইন এবং ফেনাইলএথাইলামিন মস্তিষ্কের সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোনের উত্পাদন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে এবং হতাশা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

চকলেটশিল্প একটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে; বিশেষ করে কোকো উৎপাদনকারী দেশগুলির জন্য। কোকো চাষ বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ।

কোকোগাছ প্রধানত পশ্চিম আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশে চাষ করা হয়। আইভরি কোস্ট, ঘানা এবং ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম কোকো উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। কোকো চাষ প্রায় ৫০ লাখ কৃষক এবং তাদের পরিবারকে জীবিকা-নির্বাহের সুযোগ প্রদান করে।

চকলেটশিল্প একটি বৈশ্বিক বাণিজ্য কার্যকলাপ এবং এটি প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শিল্প, ছবি- সংগৃহীত


চকলেটশিল্প একটি বৈশ্বিক বাণিজ্য কার্যকলাপ এবং এটি প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শিল্প। কোকো উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং চকলেট উৎপাদন এবং বিপণনের সঙ্গে যুক্ত লাখ লাখ মানুষ এই শিল্পে কাজ করেন।

চকলেটশিল্পের অর্থনৈতিক প্রভাব কোকো উৎপাদক দেশগুলির জিডিপির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গঠন করে।

চকলেটের একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে, যা বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য এবং রীতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বিশ্বজুড়ে চকলেট উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চকলেটপ্রেমীরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের চকলেট উপভোগ করেন। এই উৎসবগুলি চকলেটশিল্পের উদ্ভাবন এবং নতুন পণ্যগুলি প্রদর্শনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করে।

বিভিন্ন দেশে চকলেটের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ঐতিহ্য এবং রীতিনীতি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম চকলেট তৈরির জন্য বিখ্যাত এবং তাদের নিজস্ব বিশেষ ধরনের চকলেট রয়েছে। মেক্সিকোতে চকলেট প্রাচীন ঐতিহ্য এবং উৎসবের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

চকলেটের মিষ্টি স্বাদ এবং আকর্ষণীয় বুনন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

একসময় বিদেশি মিষ্টান্ন হিসেবে পরিচিত এই খাদ্যবস্তুটি এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চকলেটের জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ। যেমন, বৈশ্বিকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং তরুণ প্রজন্মের পছন্দের পরিবর্তন।

চকলেটের প্রাথমিক প্রচলন বাংলাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে শুরু হলেও, তা ছিল সীমিত পরিসরে এবং মূলত ধনী ও অভিজাতদের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

বৈশ্বিকরণের ফলে বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের চকলেট সহজলভ্য হয়েছে, ছবি- সংগৃহীত


স্বাধীনতার পর, বিশেষত ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে, বাংলাদেশের অর্থনীতি উম্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির কারণে চকলেটের আমদানি বাড়তে থাকে। তখন থেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের চকলেট দেশের বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করে।

প্রথমদিকে চকলেটের বেশিরভাগই আমদানি করা হলেও, ধীরে ধীরে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে চকলেট উৎপাদন শুরু হয়। স্থানীয় চকলেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের বাজার তৈরি করতে শুরু করে এবং বিভিন্ন ধরনের চকলেট বাজারে আনে।

তাদের মধ্যে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান উচ্চমানের চকলেট উৎপাদন করতে সক্ষম হয় এবং তারা দেশের মানুষের মধ্যে চকলেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিলাসী খাদ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। শহুরে এলাকায় বসবাসরত মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি এবং তাদের খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য আনার প্রচেষ্টা চকলেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

বৈশ্বিকরণের ফলে বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের চকলেট সহজলভ্য হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিদেশি ব্র্যান্ডের চকলেটের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলি শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয়, উপহারের জন্যও জনপ্রিয়।

বাংলাদেশি সমাজে খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। উৎসব এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে চকলেট একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে। যেমন- ঈদ, জন্মদিন এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে চকলেটের উপস্থিতি প্রায় আবশ্যিক হয়ে উঠেছে। এটি শুধু একটি মিষ্টান্নই নয়, বরং সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকমানের প্রতীকও হয়ে উঠেছে।

চকলেটের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলি স্বাস্থ্যগত উপকারিতা প্রদান করতে পারে। যেমন- হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করা। তবে, অতিরিক্ত চকলেট গ্রহণ ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। সে কারণে পরিমিত মাত্রায় গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের স্থানীয় চকলেটশিল্প ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। স্থানীয় চকলেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনছে। এছাড়া, চকলেট আমদানি এবং বিক্রয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

চকলেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটি বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। চকলেট এখন শুধুমাত্র খাদ্যই নয়, এটি ‘বন্ধুত্ব’ এবং ‘আন্তরিকতার প্রতীক’ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। চকলেট উপহার দেওয়া এবং গ্রহণ করা একটি সাধারণ সামাজিক রীতি হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশি সমাজে চকলেটের প্রচলন এবং জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কারণে চকলেট এখন দেশের মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। স্থানীয় চকলেটশিল্পের উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের উপস্থিতি চকলেটের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। চকলেট শুধু একটি মিষ্টান্নই নয়, এটি এখন একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রতীক, যা মানুষের জীবনে আনন্দ এবং সুখ এনে দেয়।

বিশ্ব চকলেট দিবস-২০২৪ চকলেটের ইতিহাস, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যগুণ এবং অর্থনৈতিক প্রভাবকে উদযাপন করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ প্রদান করে। চকলেট একটি প্রিয় মিষ্টান্ন, যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

এই বিশেষ দিনটি চকলেটপ্রেমীদের জন্য তাদের প্রিয় মিষ্টান্ন উপভোগ করার এবং এর ইতিহাস ও গুরুত্ব সম্পর্কে আরো জানার একটি উপলক্ষ। চকলেটের বৈচিত্র্যময় ইতিহাস এবং প্রভাব আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, এটি শুধুমাত্র একটি মিষ্টান্নই নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পদ, যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী, মেইল: matiurrahman588@gmail.com