পিৎজা অর্ডারেই মিলতো কোকেন!

  • ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির একটি রেস্তোরাঁয় খাবারের মেন্যুতে থাকা ৪০ নম্বরের আইটেমটি খুবই জনপ্রিয় ছিলো। যার জন্য রেস্তোরাঁটিতে ভিড় লেগে থাকতো এবং সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পিৎজাগুলোর মধ্যে এটি ছিলো একটি। প্রশ্ন হচ্ছে, কী আছে এই পিৎজায়? যার জন্য সবাই এর প্রতি এতো আকৃষ্ট। হয়তো ভাবছেন এটা এমন কোনো স্পেশাল উপাদান দিয়ে বানানো যার জন্য এর এতো চাহিদা। কিন্তু না! এমনটি ভাবার কোন সুযোগ নেই। কেননা পরের বাক্যটি পড়লেই আপনার এমন ধারণা নিমিষেই উধাও হয়ে যাবে। 

এর আসল রহস্য হচ্ছে ৪০ নম্বর আইটেমটি অর্ডার দিলেই পিৎজার সঙ্গে মিলতো কোকেন। সম্প্রতি এমন সন্দেহে পশ্চিম জার্মানির ডুসেলডর্ফের একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই অভিযানেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। এরপর রেস্তোরাঁটি পুলিশ ভেঙে ফেলে। 

বিজ্ঞাপন

পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম জার্মানির ডুসেলডর্ফের একটি রেস্তোরাঁয় গ্রাহকরা খাবারের মেন্যুর ৪০ নম্বরের আইটেম অর্ডার করলেই পিৎজার সঙ্গে দেওয়া হতো কোকেন। তবে বিশেষ এই পিৎজার জন্য কত টাকা নেওয়া হতো তার তথ্য জানা যায়নি।

অপরাধী পরিচালক মাইকেল গ্রাফ ফন মল্টকে বলেন, "এটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পিৎজাগুলোর মধ্যে একটি ছিল। মার্চ মাসে খাদ্য পরিদর্শকদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে প্রথমে খবর দেওয়া হয়। তারপর তারাই রেস্তোরাঁটিতে অভিযান চালিয়ে ভেঙে ফেলে।

বিজ্ঞাপন

ডুসেলডর্ফ পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে ড্রাগ স্কোয়াডের কর্মকর্তারা যখন রেস্তোরাঁটি পর্যবেক্ষণ শুরু করেন তখনই তারা এর সন্ধান পান। তারপর ম্যানেজারের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালালে রেস্তোরাঁটির ম্যানেজার জানালা দিয়ে মাদকের একটি ব্যাগ নিক্ষেপ করেন। কিন্তু ওই ব্যাগ পুলিশ অফিসারদের হাতে এসে পড়ে। 

ওই ব্যাগ থেকে পুলিশ ১ দশমিক ৬ কেজি কোকেন, ৪০ গ্রাম গাঁজা এবং নগদ ২ লাখ ৬৮ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ টাকা)  উদ্ধার করে। এর জন্য রেস্তোরাঁর ম্যানেজার কয়েকদিনের জন্য আটকও ছিলো।

তবে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি আবার এই ব্যবসা শুরু করেন এবং অন্যান্য আইটেমের সঙ্গে এই বিশেষ পিৎজাটিও বিক্রি করতে শুরু করেন।  

এরপর তদন্তকারীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে থাকে এবং তদন্ত চালানোর কয়েক সপ্তাহ পরে প্রায় ১৫০ জন কর্মকর্তা মিলে পশ্চিম জার্মানিতে এই মাদকচক্রকে আটক করতে সক্ষম হন। ওই অভিযানে ২২ বছর বয়সী একজন প্রধান সন্দেহভাজনসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যবসার স্থান এবং বাড়িতেও অভিযান চালিয়ে আরো ১২ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও পুলিশ এই অভিযানে দেশটির মনচেনগ্লাডবাক ও সোলিংজেন শহরে ৩০০ এবং ৬০টি গাছপালাসহ দুটি গাঁজার খামারেরও হদিস পায়।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় রেস্তোরাঁটির ম্যানেজারকে দেশ থেকে পালানোর সময় গ্রেফতার করা হয় এবং এখনো সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।