প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিলো আরব আমিরাত

  • তোফায়েল পাপ্পু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম, দুবাই
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

দুবাই থেকে: ৫০ বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শ্রম বাজারের প্রতিযোগীতা ও দক্ষতার বিকাশ এবং বিদেশি শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আরব আমিরাতের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশটিতে বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে কেউ যদি চাকরি হারায় বা অব্যহতি নিলে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে নতুন ওয়ার্ক পারমিট কিংবা দেশ ত্যাগের বিধান থাকলেও গ্রেস পিরিয়ড বা ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সংস্কৃতি আইনে এখন থেকে ৯০ দিন থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত করা হয়েছে। অথবা যদি কোনো প্রবাসী চাকরি হারায় তাহলে ওই প্রবাসী পূর্বের আইন অনুযায়ী এক মাস সময় পেতো নতুন কাজে যোগদান করার জন্য কিন্তু এই নিয়ম বা আইন এখন আর থাকছে না।

বিজ্ঞাপন

এখন থেকে যদি কোনো প্রবাসী চাকরি হারায় বা কাজ থেকে অব্যহতি নেয় তাহলে প্রবাসীদের ভিসা অনুযায়ী ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করার জন্য বা আরব আমিরাত ত্যাগ করার জন্য ৩ মাস থেকে ৬ মাস সময় পাবেন। দেশটির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রজেক্ট অব দ্যা ফিফটি এর অংশ হিসেবে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এরমধ্যে রয়েছে এন্ট্রি এবং রেসিডেনসি সিস্টেমের পূর্ণ গঠন।কর্মী বিনোয়োগ, উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও আদর্শ গন্তব্য হিসেবে অবস্থান নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে
আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, যে দেশটির ভিসা পদ্ধতিতে উল্লেখযোগ্য যেসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে বাণিজ্যিক ভ্রমণের অনুমতি ৩ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ পর্যন্ত মাস করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অধীনে পিতা-মাতাকে সরাসরি ইস্পন্সর করা যাবে। মানবিক ক্ষেত্রে রেসিডেন্সি ১ বছর সময় বৃদ্ধি পিতা- মাতার বসবাসের ক্ষেত্রে সন্তানদের স্পন্সরের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

চাকরি থেকে অব্যহতি কিংবা বরখাস্থ হলে গ্রেস পিরিয়ড বা ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন বা নতুন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগানোর জন্য ৯০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় পাবেন প্রবাসীরা।

এছাড়া দেশটির প্রতিযোগীতামূলক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আগামী ৯ বছরের মধ্যে ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি বিদেশি বিনোয়োগের জন্য ৫০ টি নতুন অর্থনৈতিক উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। যা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের সামনে আরও একবার পরিচিত করে তুলবে।